ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

ধরা পড়ে বিয়ের পিঁড়িতে নারী ভাইস চেয়ারম্যান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০৩:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০ ৪০২ বার পড়া হয়েছে

পরকীয়া প্রেমিকের সাথে নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন

সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্কঃ

পরকীয়া প্রেমের জের ধরে অবশেষে ২০ লাখ টাকা দেন মোহরে আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন গাংনী উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াছমীন। বর মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আনসারুল হকের ছেলে গোলাম সরোয়ার ওরফে সবুজ। তিনি এক সন্তানের জনক। তার প্রথম স্ত্রী একজন স্কুলশিক্ষক। ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানার স্বামী শাহাবুদ্দীন আহমেদ প্রায় তিন মাস আগে স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যান। এক সন্তানের জননী ফারহানা গাংনী উপজেলা আওয়ামী মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের উপস্থিতিতে এ বিয়ে পড়ানো হয়।বিয়েতে উকালতির দায়িত্ব পালন করেন গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম।

জানা গেছে, ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াছমীনের গাংনী পৌরসভার চৌগাছা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে স্থানীয়রা আপত্তিকর অবস্থায় তাদের দুইজনকে আটক করে। এরপর খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম, গাংনী থানার ওসি ওবায়দুর রহমানসহ স্থানীয় লোকজন একত্রিত হন। প্রথমে তাদের পরকীয়া প্রেমের কথা অস্বীকার করে ধর্ম ভাই পরিচয় দিলেও পরে ছেলের মোবাইলে দুইজনের আপত্তিকর বিভিন্ন কথোপকথন ও অসামজিক ছবি উদ্ধার করা হয়। পরে ছেলের  স্বীকারোক্তিতে তাদের দুইজনের বিয়ের আয়োজন করেন তারা।

উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক জানান, তাদের দুইজনের মধ্যে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক থাকায় এবং আজকে তাদের দুইজনকে স্থানীয়রা আটক করে। আমরা তাদের কথা শুনে এবং তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিয়ের আয়োজন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ধরা পড়ে বিয়ের পিঁড়িতে নারী ভাইস চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৫:০৩:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০

ডেস্কঃ

পরকীয়া প্রেমের জের ধরে অবশেষে ২০ লাখ টাকা দেন মোহরে আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন গাংনী উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াছমীন। বর মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আনসারুল হকের ছেলে গোলাম সরোয়ার ওরফে সবুজ। তিনি এক সন্তানের জনক। তার প্রথম স্ত্রী একজন স্কুলশিক্ষক। ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানার স্বামী শাহাবুদ্দীন আহমেদ প্রায় তিন মাস আগে স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যান। এক সন্তানের জননী ফারহানা গাংনী উপজেলা আওয়ামী মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের উপস্থিতিতে এ বিয়ে পড়ানো হয়।বিয়েতে উকালতির দায়িত্ব পালন করেন গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম।

জানা গেছে, ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াছমীনের গাংনী পৌরসভার চৌগাছা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে স্থানীয়রা আপত্তিকর অবস্থায় তাদের দুইজনকে আটক করে। এরপর খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম, গাংনী থানার ওসি ওবায়দুর রহমানসহ স্থানীয় লোকজন একত্রিত হন। প্রথমে তাদের পরকীয়া প্রেমের কথা অস্বীকার করে ধর্ম ভাই পরিচয় দিলেও পরে ছেলের মোবাইলে দুইজনের আপত্তিকর বিভিন্ন কথোপকথন ও অসামজিক ছবি উদ্ধার করা হয়। পরে ছেলের  স্বীকারোক্তিতে তাদের দুইজনের বিয়ের আয়োজন করেন তারা।

উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক জানান, তাদের দুইজনের মধ্যে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক থাকায় এবং আজকে তাদের দুইজনকে স্থানীয়রা আটক করে। আমরা তাদের কথা শুনে এবং তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিয়ের আয়োজন করা হয়।