ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, সেনবাগে পুলিশসহ আহত ২০

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২ ২১৬১৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাত বছর বয়সী এক শিশু এবং দুই পুলিশসহ অন্তত্ব ২০জন আহত হয়েছে।

 

সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষকে দুই দিকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় বিএনপির দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির জাতীয় নিবার্হী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের ইটভাটা মাঠে উপজেলা বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে বিএনপি নেতাকর্মিদের বাধা দেয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিরা। এসময় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা ধাওয়া করলে পিছু হটে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

 

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ পুষে ওঠেছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিরা। কিন্তু বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া খেয়ে তারা মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যায়। নেতাকর্মীদের আহত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে গিয়ে পড়ে ও ইটপাটকেলের আঘাতে বিএনপির ৫-৬জন কর্মী আঘাত পেয়েছে।

 

সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ডুমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কানন বলেন, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ডুমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন একই ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে আমার নেতৃত্বে গাজির হাট মোড় থেকে এক বিক্ষাভ মিছিল গাজিরহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে। একপর্যায়ে আমাদের মিছিলে বিএনপি নেতা কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির মিছিল থেকে গাজির টেক বাজারের পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালানো হয়। এসময় বিএনপি নেতাকর্মিরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাজিরহাট মোড়ের বেশ কয়েকটি দোকানপাট এবং ডুমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়। এ সময় আমাদের ১৫-২০জন নেতাকর্মি আহত হয়। এক শিশুসহ ২জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলেও তিনি জানান।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে পরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন।

 

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, দুই পুলিশসহ তিনজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, সেনবাগে পুলিশসহ আহত ২০

আপডেট সময় : ০১:২৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাত বছর বয়সী এক শিশু এবং দুই পুলিশসহ অন্তত্ব ২০জন আহত হয়েছে।

 

সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষকে দুই দিকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় বিএনপির দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির জাতীয় নিবার্হী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের ইটভাটা মাঠে উপজেলা বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে বিএনপি নেতাকর্মিদের বাধা দেয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিরা। এসময় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা ধাওয়া করলে পিছু হটে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

 

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ পুষে ওঠেছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিরা। কিন্তু বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া খেয়ে তারা মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যায়। নেতাকর্মীদের আহত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে গিয়ে পড়ে ও ইটপাটকেলের আঘাতে বিএনপির ৫-৬জন কর্মী আঘাত পেয়েছে।

 

সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ডুমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কানন বলেন, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ডুমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন একই ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে আমার নেতৃত্বে গাজির হাট মোড় থেকে এক বিক্ষাভ মিছিল গাজিরহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে। একপর্যায়ে আমাদের মিছিলে বিএনপি নেতা কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির মিছিল থেকে গাজির টেক বাজারের পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালানো হয়। এসময় বিএনপি নেতাকর্মিরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাজিরহাট মোড়ের বেশ কয়েকটি দোকানপাট এবং ডুমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়। এ সময় আমাদের ১৫-২০জন নেতাকর্মি আহত হয়। এক শিশুসহ ২জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলেও তিনি জানান।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে পরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন।

 

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, দুই পুলিশসহ তিনজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।