ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালীতে সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২ ১১৮৮৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি :

 

 

নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুল আলমের বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি থেকে বালু উত্তোলন, বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের নামে অর্থ আদায়, শালিসে জামানত নিয়ে ফেরত না দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইউনিয়নবাসী।

 

শনিবার বিকালে ইউনিয়নের মৌলভাটোলা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে মৌলভীটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য আবদুল হালিম, ইউপি সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাহিদ হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য সাদ্দাম হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুর রহমান, সহসভাপতি মো.লিটন প্রমূখ।

 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মো. নুরুল আলম পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থাকাকালীন ইউনিয়নের স্বীকুত ইয়াবা ব্যবসায়ী, নারী নির্যাতনকারী, ডাকাত-সন্ত্রাসীদের নিয়ে বাহিনী গঠন করে পূর্ব চরমটুয়ার চর বাঞ্চারাম এলাকায় সরকারি জায়গা ও খাল থেকে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে দেয়। লুট করে রাস্তার পাশের সরকারি গাছ। সরকারের বিনামূল্যের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে প্রতিটি মিটার ৮ হাজার টাকা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা হাতিয়ে নিলেও অনেক গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি। শালিসের নামে শত শত সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা জামানত নিয়ে ফেরত দিচ্ছেনা।

 

সমাবেশ স্থালে হাজির হয়ে ভুক্তভোগীরা তাদের পাওনা জামানতের টাকা ও বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য দেয়া টাকা ফেরতের দাবি জানান। শুধু টাকা আত্মসাতের ঘটনাই নয়, নুরুল আলম ও তার সহযোগীদের হামলায় আহত একাধিক ব্যক্তি ব্যানার-পেষ্টুন নিয়ে তাদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেয়।

 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা হাফেজুর রহমান, আবদুল মতিন, সেতারা বেগম, দিলরুবা আক্তার বলেন, নুরুল আলম চেয়ারম্যান থাকাকালীন ইউনিয়নের জন্য বরাদ্ধকৃত সরকারি চালসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা জনগনের মাঝে সঠিকভাবে বন্ঠন না করে নিজে লুটে নিয়েছেন। তার বাড়ির মোরগ-হাঁসে সরকারি চাল খেত, আর আমাদের সন্তানরা ক্ষিদায় কাঁদতো। নুরুল আলম এখানো দলের দোহায় দিয়ে ইউনিয়নের সরকারি জায়গা ও খাল থেকে বালু উত্তোলন, বিদ্যুতের নামে টাকা আদায় ও ইয়াবা ব্যবসায় মদদ দিয়ে যাচ্ছেন। তার এসব অপকর্মে বাঁধা দেওয়ায় যেলোক জেলে থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, সেই জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ফয়সল বারী চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ তুলে সম্মানহানীর চেষ্টা করছে।

 

পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়সল বারী চৌধুরী বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আলম এখনো দলকে ব্যবহার করে ইউনিয়নে সরকারি জায়গা থেকে বালু উত্তোলন, মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে টাকা আদায় করে যাচ্ছেন। ইউনিয়নে মাদক ব্যবসায়ীদের মদদ দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা রটিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আজকে ইউনিয়নের জনগন তার বিরুদ্ধে পুষে ওঠেছে। জনগন তার বিচার দাবি করছে। আশা করছি প্রশাসন তার ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি দিবেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রত্যেক গ্রাম থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে অংশ নেয় সাধারণ মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

নোয়াখালীতে সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ১২:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি :

 

 

নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুল আলমের বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি থেকে বালু উত্তোলন, বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের নামে অর্থ আদায়, শালিসে জামানত নিয়ে ফেরত না দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইউনিয়নবাসী।

 

শনিবার বিকালে ইউনিয়নের মৌলভাটোলা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে মৌলভীটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য আবদুল হালিম, ইউপি সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাহিদ হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য সাদ্দাম হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুর রহমান, সহসভাপতি মো.লিটন প্রমূখ।

 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মো. নুরুল আলম পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থাকাকালীন ইউনিয়নের স্বীকুত ইয়াবা ব্যবসায়ী, নারী নির্যাতনকারী, ডাকাত-সন্ত্রাসীদের নিয়ে বাহিনী গঠন করে পূর্ব চরমটুয়ার চর বাঞ্চারাম এলাকায় সরকারি জায়গা ও খাল থেকে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে দেয়। লুট করে রাস্তার পাশের সরকারি গাছ। সরকারের বিনামূল্যের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে প্রতিটি মিটার ৮ হাজার টাকা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা হাতিয়ে নিলেও অনেক গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি। শালিসের নামে শত শত সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা জামানত নিয়ে ফেরত দিচ্ছেনা।

 

সমাবেশ স্থালে হাজির হয়ে ভুক্তভোগীরা তাদের পাওনা জামানতের টাকা ও বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য দেয়া টাকা ফেরতের দাবি জানান। শুধু টাকা আত্মসাতের ঘটনাই নয়, নুরুল আলম ও তার সহযোগীদের হামলায় আহত একাধিক ব্যক্তি ব্যানার-পেষ্টুন নিয়ে তাদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেয়।

 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা হাফেজুর রহমান, আবদুল মতিন, সেতারা বেগম, দিলরুবা আক্তার বলেন, নুরুল আলম চেয়ারম্যান থাকাকালীন ইউনিয়নের জন্য বরাদ্ধকৃত সরকারি চালসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা জনগনের মাঝে সঠিকভাবে বন্ঠন না করে নিজে লুটে নিয়েছেন। তার বাড়ির মোরগ-হাঁসে সরকারি চাল খেত, আর আমাদের সন্তানরা ক্ষিদায় কাঁদতো। নুরুল আলম এখানো দলের দোহায় দিয়ে ইউনিয়নের সরকারি জায়গা ও খাল থেকে বালু উত্তোলন, বিদ্যুতের নামে টাকা আদায় ও ইয়াবা ব্যবসায় মদদ দিয়ে যাচ্ছেন। তার এসব অপকর্মে বাঁধা দেওয়ায় যেলোক জেলে থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, সেই জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ফয়সল বারী চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ তুলে সম্মানহানীর চেষ্টা করছে।

 

পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়সল বারী চৌধুরী বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আলম এখনো দলকে ব্যবহার করে ইউনিয়নে সরকারি জায়গা থেকে বালু উত্তোলন, মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে টাকা আদায় করে যাচ্ছেন। ইউনিয়নে মাদক ব্যবসায়ীদের মদদ দিয়ে যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা রটিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আজকে ইউনিয়নের জনগন তার বিরুদ্ধে পুষে ওঠেছে। জনগন তার বিচার দাবি করছে। আশা করছি প্রশাসন তার ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি দিবেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রত্যেক গ্রাম থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে অংশ নেয় সাধারণ মানুষ।