ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রস ফায়ারে বেগমগঞ্জের যুবদল নেতার মৃত্যু: ৫ বছর পর আদালতে মামলার আবেদন স্ত্রীর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২ ৮৭৪৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীতে বন্দুকযুদ্ধে যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনার ৫ বছর পর নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছে নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম ওরফে পুষ্প বেগম।

 

রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানার আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়।

বিচারক বাদির জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন।

 

মামলার বাদি বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নিহত হুদা মো. আলমের স্ত্রী খুরশিদা বেগম ওরফে পুস্পা বেগম (৩৫)।

 

মামলায় আসামি করা হয়, নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ (বর্তমানে ডিআইজি), সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. শাহজাহান শেখ, বেগমগঞ্জ মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান সাজিদ এবং ওই থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন।

 

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা বেগমগঞ্জের আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুদা মো. আলমকে বিভিন্ন মামলার আসামি বলে সাদা পোশাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ওই রাতে ওসি বিভিন্ন মিডিয়ায় বক্তব্য দেন। তবে রাত ২টা থেকে আড়াইটার মধ্য অস্ত্র উদ্ধারের নামে গ্রেফতার হুদা মো. আলমকে হিংসার বশবতী হয়ে দাসপাড়া গ্রামে নিয়ে ক্রস ফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। পরদিন হাসপাতালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

 

নিহতের পরিবার সেসময় গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ২২ আগস্ট সকালে সাদা পোশাকে পুলিশ আলমকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায় এবং পরদিন বুধবার রাতে তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করে। তৎকালীন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান সাজিদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘নিহত ডাকাত আলমের বিরুদ্ধে থানায় ১০টি ডাকাতি মামলা ছিল। তিনি সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।’

 

মামলায় বাদি পক্ষে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজার রহমান ইলিয়াস ও সাইফুর রহমান প্রামানিক।

 

এসময় নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ বি এম জাকারিয়াসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

ক্রস ফায়ারে বেগমগঞ্জের যুবদল নেতার মৃত্যু: ৫ বছর পর আদালতে মামলার আবেদন স্ত্রীর

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীতে বন্দুকযুদ্ধে যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনার ৫ বছর পর নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছে নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম ওরফে পুষ্প বেগম।

 

রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানার আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়।

বিচারক বাদির জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন।

 

মামলার বাদি বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নিহত হুদা মো. আলমের স্ত্রী খুরশিদা বেগম ওরফে পুস্পা বেগম (৩৫)।

 

মামলায় আসামি করা হয়, নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ (বর্তমানে ডিআইজি), সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. শাহজাহান শেখ, বেগমগঞ্জ মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান সাজিদ এবং ওই থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন।

 

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা বেগমগঞ্জের আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুদা মো. আলমকে বিভিন্ন মামলার আসামি বলে সাদা পোশাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ওই রাতে ওসি বিভিন্ন মিডিয়ায় বক্তব্য দেন। তবে রাত ২টা থেকে আড়াইটার মধ্য অস্ত্র উদ্ধারের নামে গ্রেফতার হুদা মো. আলমকে হিংসার বশবতী হয়ে দাসপাড়া গ্রামে নিয়ে ক্রস ফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। পরদিন হাসপাতালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

 

নিহতের পরিবার সেসময় গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ২২ আগস্ট সকালে সাদা পোশাকে পুলিশ আলমকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায় এবং পরদিন বুধবার রাতে তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করে। তৎকালীন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান সাজিদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘নিহত ডাকাত আলমের বিরুদ্ধে থানায় ১০টি ডাকাতি মামলা ছিল। তিনি সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।’

 

মামলায় বাদি পক্ষে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজার রহমান ইলিয়াস ও সাইফুর রহমান প্রামানিক।

 

এসময় নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ বি এম জাকারিয়াসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।