ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ছাত্রলীগ নেতাকে কোপাল জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মিরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২ ৭৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশি আমজাদ হোসেন শিবু (২৬) কে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মিদের বিরুদ্ধে।

 

গতকাল বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

 

হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা শিবু বলেন, বীজবাগ ইউনিয়নের জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা হচ্ছে জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকায় অতীতে কেউ জোরাল ভাবে ছাত্রলীগের কর্মকান্ড চালাতে পারেনি। তিনি ওই এলাকায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মিরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলা দেখে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলে সাবেক ইউপি চেয়াম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা হারুনুর রশীদ ওরফে ল্যাংড়া হারুনের (৪৫) নেতৃত্বে ৮-১০জন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মি তার পথরোধ করে। এরপর অস্ত্রধারী শিবির নেতা ছানা উল্যাহ (৩২),রাজু (২৮), কামরুল (২৭) ও জামায়াত নেতা সুন্দর হারুন (৪৪) আমার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ছানা উল্যাহ ধারারো কিরিচ দিয়ে আমার মাথায় কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। পরে আমার শৌরচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা আমাকে রাস্তার ওপর ফেলে চলে যায়।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বীজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা হারুনুর রশীদ ওরফে ল্যাংড়া হারুন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ছানা উল্যাহ কে গত দুই মাস ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মিরা তার বাড়িতে থাকতে দিচ্ছেনা। সে গতকাল একটি মামলার হাজিরা দিতে এলাকায় আসে। তখন ছাত্রলীগের ২৫-৩০জন নেতাকর্মি তার উপর হামলা চালায়। ওই সময় তাদের স্ট্যাম্পের আঘাতে ছাত্রলীগ নেতা শিবুর মাথা পেটে যায়। ছানা উল্যাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্রগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ উপজেলা জামায়াতের আমীর ইয়াছিন করিম বলেন, হারুন সহ অন্য যারা এ হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তারা আমাদের সংগঠনের কেউ নয়। এক সময় তারা ছিল কিন্ত অনেক আগেই তাদের সংগঠন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা নিজেরা নিজেদের মত করে দলের পরিচয় দেয়।

 

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

ছাত্রলীগ নেতাকে কোপাল জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মিরা

আপডেট সময় : ১১:৪৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশি আমজাদ হোসেন শিবু (২৬) কে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মিদের বিরুদ্ধে।

 

গতকাল বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

 

হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা শিবু বলেন, বীজবাগ ইউনিয়নের জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা হচ্ছে জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকায় অতীতে কেউ জোরাল ভাবে ছাত্রলীগের কর্মকান্ড চালাতে পারেনি। তিনি ওই এলাকায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মিরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলা দেখে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলে সাবেক ইউপি চেয়াম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা হারুনুর রশীদ ওরফে ল্যাংড়া হারুনের (৪৫) নেতৃত্বে ৮-১০জন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মি তার পথরোধ করে। এরপর অস্ত্রধারী শিবির নেতা ছানা উল্যাহ (৩২),রাজু (২৮), কামরুল (২৭) ও জামায়াত নেতা সুন্দর হারুন (৪৪) আমার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ছানা উল্যাহ ধারারো কিরিচ দিয়ে আমার মাথায় কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। পরে আমার শৌরচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা আমাকে রাস্তার ওপর ফেলে চলে যায়।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বীজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা হারুনুর রশীদ ওরফে ল্যাংড়া হারুন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ছানা উল্যাহ কে গত দুই মাস ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মিরা তার বাড়িতে থাকতে দিচ্ছেনা। সে গতকাল একটি মামলার হাজিরা দিতে এলাকায় আসে। তখন ছাত্রলীগের ২৫-৩০জন নেতাকর্মি তার উপর হামলা চালায়। ওই সময় তাদের স্ট্যাম্পের আঘাতে ছাত্রলীগ নেতা শিবুর মাথা পেটে যায়। ছানা উল্যাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্রগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ উপজেলা জামায়াতের আমীর ইয়াছিন করিম বলেন, হারুন সহ অন্য যারা এ হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তারা আমাদের সংগঠনের কেউ নয়। এক সময় তারা ছিল কিন্ত অনেক আগেই তাদের সংগঠন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা নিজেরা নিজেদের মত করে দলের পরিচয় দেয়।

 

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।