ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

কোম্পানীগঞ্জ বাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন ওবায়দুল কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২ ১০০৮৯ বার পড়া হয়েছে

ছবিঃ ওবায়দুল কাদের

সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ মাসুদ রানা, নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ (২ ডিসেম্বর) শুক্রবার উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য প্রদান কালে উপজেলা বাসীর কাছে গত দুইবছরের সমস্যাগুলোর জন্য ক্ষমা চান। ওবায়দুল কাদের বলেন, গত দুইবছর কোম্পানীগঞ্জে যে পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল সেজন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। এখানকার স্থানীয় এমপি হিসেবে সেসময় আমি আপনাদের পাশে থাকতে পারিনি।

 

তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে এখানে দু দু’টি তাজা প্রাণ শেষ হয়ে গেছে। সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও সিএনজি চালক আলাউদ্দিনকে হারিয়েছে তাদের পরিবার। বহু নেতাকর্মী হামলা মামলার স্বীকার হয়েছে। বিশেষ করে ব্যাবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক বেশি। পুরো কোম্পানীগঞ্জ তখন আতংকের নগরে পরিনত হয়েছিল। যা আজও আমি ভুলতে পারিনি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি দলের সেক্রেটারি, সভানেত্রীর সাথে প্রতিদিন কথা বলতে হয় নানান বিষয়ে। কিন্তু আপনাদের সংঘর্ষের কারণে লজ্জায় আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করি নি অনেকদিন। এমনকি নেত্রীর ফোন ও রিসিভ করি নি।

 

আজ আপনারা সবাই একত্রিত হয়েছেন দেখে আমার ভালো লাগছে। আমি আর কোম্পানীগঞ্জে কোন প্রকার অশান্তি দেখতে চাই না। সবাই মিলেমিশে দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করেন। আগামী নির্বাচনের জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, আমি আমার ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জা কে ক্ষমা করে দিয়েছি। আরেক ছোট ভাই সদর সুবর্ণচরের এমপি একরাম কে-ও ক্ষমা করে দিয়েছি। ইচ্ছে ছিল আজ আপনাদের সাথে সামনাসামনি দাঁড়িয়ে কথা বলবো। কিন্তু আপনারা তো জানেন আমি দলের সাধারণ সম্পাদক, অনেক ব্যাস্ততার মধ্যে সময় পার করতে হয়, সেজন্য যেতে পারিনি। যেতে পারলে আমারো ভালো লাগতো, মনটা আরও ভালো হয়ে যেত। তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের ও উচিৎ কোম্পানীগঞ্জের সকল মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

 

কারণ তারা যদি আমাকে এমপি নির্বাচিত না করতো আজকে আমি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পারতাম না। আপনারাও নেতা হতে পারতেন না। অথচ আপনাদের ভুল বুঝাবুঝির কারণে এই মানুষগুলো গত দুইবছর অনেক কষ্ট করেছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের বিবাদমান দু গ্রুপের সমস্যা গুলো সমাধান করে সবাইকে এক টেবিলে নিয়ে আসতে পারার জন্য হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন কে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বপন তার যে সাংগঠনিক দক্ষতা দেখিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ বাসী তা সবসময় মনে রাখবে। পাশাপাশি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন ও এ সমস্যাগুলো নিরসনে আমাদেরকে সবধরনের সহযোগিতা করেছে, আমি তাকেও আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 

তিনি বলেন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে বিএনপি জামাত জ্বালাও পোড়াও শুরু করেছে। তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। দেশের মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন গুলো তুলে ধরতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোনপ্রকার সমস্যা সৃষ্টি করা যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

কোম্পানীগঞ্জ বাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২

মোঃ মাসুদ রানা, নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আজ (২ ডিসেম্বর) শুক্রবার উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য প্রদান কালে উপজেলা বাসীর কাছে গত দুইবছরের সমস্যাগুলোর জন্য ক্ষমা চান। ওবায়দুল কাদের বলেন, গত দুইবছর কোম্পানীগঞ্জে যে পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল সেজন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। এখানকার স্থানীয় এমপি হিসেবে সেসময় আমি আপনাদের পাশে থাকতে পারিনি।

 

তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে এখানে দু দু’টি তাজা প্রাণ শেষ হয়ে গেছে। সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও সিএনজি চালক আলাউদ্দিনকে হারিয়েছে তাদের পরিবার। বহু নেতাকর্মী হামলা মামলার স্বীকার হয়েছে। বিশেষ করে ব্যাবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক বেশি। পুরো কোম্পানীগঞ্জ তখন আতংকের নগরে পরিনত হয়েছিল। যা আজও আমি ভুলতে পারিনি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি দলের সেক্রেটারি, সভানেত্রীর সাথে প্রতিদিন কথা বলতে হয় নানান বিষয়ে। কিন্তু আপনাদের সংঘর্ষের কারণে লজ্জায় আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করি নি অনেকদিন। এমনকি নেত্রীর ফোন ও রিসিভ করি নি।

 

আজ আপনারা সবাই একত্রিত হয়েছেন দেখে আমার ভালো লাগছে। আমি আর কোম্পানীগঞ্জে কোন প্রকার অশান্তি দেখতে চাই না। সবাই মিলেমিশে দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করেন। আগামী নির্বাচনের জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, আমি আমার ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জা কে ক্ষমা করে দিয়েছি। আরেক ছোট ভাই সদর সুবর্ণচরের এমপি একরাম কে-ও ক্ষমা করে দিয়েছি। ইচ্ছে ছিল আজ আপনাদের সাথে সামনাসামনি দাঁড়িয়ে কথা বলবো। কিন্তু আপনারা তো জানেন আমি দলের সাধারণ সম্পাদক, অনেক ব্যাস্ততার মধ্যে সময় পার করতে হয়, সেজন্য যেতে পারিনি। যেতে পারলে আমারো ভালো লাগতো, মনটা আরও ভালো হয়ে যেত। তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের ও উচিৎ কোম্পানীগঞ্জের সকল মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

 

কারণ তারা যদি আমাকে এমপি নির্বাচিত না করতো আজকে আমি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পারতাম না। আপনারাও নেতা হতে পারতেন না। অথচ আপনাদের ভুল বুঝাবুঝির কারণে এই মানুষগুলো গত দুইবছর অনেক কষ্ট করেছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের বিবাদমান দু গ্রুপের সমস্যা গুলো সমাধান করে সবাইকে এক টেবিলে নিয়ে আসতে পারার জন্য হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন কে ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বপন তার যে সাংগঠনিক দক্ষতা দেখিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ বাসী তা সবসময় মনে রাখবে। পাশাপাশি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন ও এ সমস্যাগুলো নিরসনে আমাদেরকে সবধরনের সহযোগিতা করেছে, আমি তাকেও আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 

তিনি বলেন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে বিএনপি জামাত জ্বালাও পোড়াও শুরু করেছে। তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। দেশের মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন গুলো তুলে ধরতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোনপ্রকার সমস্যা সৃষ্টি করা যাবে না।