ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

বেগমগঞ্জে প্রতিবেশীর ঘরে থেকে চুরি করা ১৪লাখ টাকাসহ সালিশদার গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬২০২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বসত ঘর থেকে চুরি হওয়ার সাত দিন পর নগদ ১৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকাসহ স্থানীয় এক সালিশদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

গ্রেফতার মো.মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (৪২) উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শরীফপুর গ্রামের সবুজ চেয়ারম্যান বাড়ির মৃত হাজী ইব্রাহীমের ছেলে।

 

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি। এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শরীফপুর গ্রাম থেকে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৫নং শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শরীফপুর গ্রামের মাহমুদ উল্যা মিয়ার বাড়ির ফজলুল হকের ঘরে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। ওই সময় চোরচক্র স্টীলের আলমিরা খুলে ড্রয়ারে থাকা নগদ ২৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণের ৯ জোড়া কানের দুল, নেকলেস ১টি, আংটি ৫টি, গলার চেইন ১টি সহ এনআইডি কার্ড, জমির দলিলপত্র, ব্যাংকের চেকবহি এবং মূল্যবান কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী মো.ফজলুল হক (৩০) বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। মামলার তদন্তে পুলিশ জানতে পারে গ্রেফতারকৃত আসামি মিজান বাদী পক্ষের প্রতিবেশী এবং বাদীর বাড়ির বিভিন্ন ছোট খাট বিষয়ের সালিশ মিমাংসাকারী। সে বাদীর বাড়িতে সব সময়ে যাতায়াত করত এবং বাড়ির সকল বিষয়ে সে জানত। বাদী পক্ষ বিভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমে উল্লেখিত ২৬ লাখ টাকা তার ঘরে রাখে। পরবর্তীতে সে ২৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরির বিষয়ে নিজে পরিকল্পনা করে। মামলা তদন্তকালে আসামির সংশ্লিষ্টার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

 

ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, একপর্যায়ে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে চুরি যাওয়া টাকা এবং স্বর্ণালংকার তার পার্শ্ববর্তী রাজু আহম্মদের ঘরে তোষকের নিচে রাখে (উক্ত ঘরে কেউ থাকে না ঘরটি তালাবদ্ধ থাকে) বলে জানায়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজু আহম্মদের বসত ঘরে তল্লাশী করে আসামি মিজানের দেখানো মতে বসত ঘরের ভিতরে থাকা খাটের তোষকের নিচে একটি শপিং ব্যাগে রক্ষিত ১৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং একটি প্লাস্টিকের কোটায় রক্ষিত মোট ১ ভরি ১ আনা ১ রতি স্বর্ণ (কানের দুল ১ জোড়া, টব ১ জোড়া, নাকের নথ ১টি, বেবী আংটি ১টি, নাক ফুল ৬টি, গলার চেইন ১টি) উদ্ধার করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে বসত ঘরের পশ্চিম পাশের পুকুর থেকে বাদী যে ট্রাংকে স্বর্ণালংকার ও টাকা রেখেছিল সে ট্রাংকটি তাহার দেখানো মতে উদ্ধার করা হয়।

 

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এই ঘটনায় পুলিশের তদন্ত অব্যাহত আছে। এই বিষয়ে পরে আরো বিস্তারিত জানানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

বেগমগঞ্জে প্রতিবেশীর ঘরে থেকে চুরি করা ১৪লাখ টাকাসহ সালিশদার গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১০:২৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বসত ঘর থেকে চুরি হওয়ার সাত দিন পর নগদ ১৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকাসহ স্থানীয় এক সালিশদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

গ্রেফতার মো.মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (৪২) উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শরীফপুর গ্রামের সবুজ চেয়ারম্যান বাড়ির মৃত হাজী ইব্রাহীমের ছেলে।

 

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি। এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শরীফপুর গ্রাম থেকে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৫নং শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শরীফপুর গ্রামের মাহমুদ উল্যা মিয়ার বাড়ির ফজলুল হকের ঘরে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। ওই সময় চোরচক্র স্টীলের আলমিরা খুলে ড্রয়ারে থাকা নগদ ২৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণের ৯ জোড়া কানের দুল, নেকলেস ১টি, আংটি ৫টি, গলার চেইন ১টি সহ এনআইডি কার্ড, জমির দলিলপত্র, ব্যাংকের চেকবহি এবং মূল্যবান কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী মো.ফজলুল হক (৩০) বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। মামলার তদন্তে পুলিশ জানতে পারে গ্রেফতারকৃত আসামি মিজান বাদী পক্ষের প্রতিবেশী এবং বাদীর বাড়ির বিভিন্ন ছোট খাট বিষয়ের সালিশ মিমাংসাকারী। সে বাদীর বাড়িতে সব সময়ে যাতায়াত করত এবং বাড়ির সকল বিষয়ে সে জানত। বাদী পক্ষ বিভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমে উল্লেখিত ২৬ লাখ টাকা তার ঘরে রাখে। পরবর্তীতে সে ২৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরির বিষয়ে নিজে পরিকল্পনা করে। মামলা তদন্তকালে আসামির সংশ্লিষ্টার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

 

ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, একপর্যায়ে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে চুরি যাওয়া টাকা এবং স্বর্ণালংকার তার পার্শ্ববর্তী রাজু আহম্মদের ঘরে তোষকের নিচে রাখে (উক্ত ঘরে কেউ থাকে না ঘরটি তালাবদ্ধ থাকে) বলে জানায়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজু আহম্মদের বসত ঘরে তল্লাশী করে আসামি মিজানের দেখানো মতে বসত ঘরের ভিতরে থাকা খাটের তোষকের নিচে একটি শপিং ব্যাগে রক্ষিত ১৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং একটি প্লাস্টিকের কোটায় রক্ষিত মোট ১ ভরি ১ আনা ১ রতি স্বর্ণ (কানের দুল ১ জোড়া, টব ১ জোড়া, নাকের নথ ১টি, বেবী আংটি ১টি, নাক ফুল ৬টি, গলার চেইন ১টি) উদ্ধার করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে বসত ঘরের পশ্চিম পাশের পুকুর থেকে বাদী যে ট্রাংকে স্বর্ণালংকার ও টাকা রেখেছিল সে ট্রাংকটি তাহার দেখানো মতে উদ্ধার করা হয়।

 

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এই ঘটনায় পুলিশের তদন্ত অব্যাহত আছে। এই বিষয়ে পরে আরো বিস্তারিত জানানো হবে।