ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

প্রবাসীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়: দুই পুলিশ ক্লোজড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ ৬৬৮২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুবাই ফেরত প্রবাসী মো. মহিন উদ্দিনকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।

 

ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফুল ইসলাম খান ও কনস্টেবল মুরাদ হোসেন।

 

গতকাল সোমবার (১৩ মার্চ) নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ওই অফিস আদেশে প্রশাসনিক কারণে তাদেরকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা (ক্লোজড) করা হয় বলে বলা হয়েছে। এর আগে, গত শুক্রবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের করিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

জানা যায়, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

ভুক্তভোগী ও লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে দেশে ফেরার সময় মহিনকে আরেক প্রবাসী ব্যবসায়ী দুবাই এয়ারপোর্টে কিছু সোনা, একটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ঢাকায় পৌঁছে দিতে দেয়। ঢাকা এয়ারপোর্টে যে ব্যক্তি মহিনের ছবি তাকে দেখাবে সে সামগ্রী গুলো তার থেকে নিয়ে যাবে। ঢাকা এয়ারপোর্টে দুই ব্যক্তি ছবি দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের সামগ্রী গুলো নিয়ে যান। এরপর মহিন বাড়িতে পৌঁছালে দুবাই থেকে ওই প্রবাসী তার জিনিসপত্র পায়নি বলে অভিযোগ তুলেন। একপর্যায়ে গত ৩ মার্চ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (এসআই) শরীফুল ইসলাম প্রবাসী মহিনের বাড়িতে গিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ বা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে তাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে এবং আগামী ২০ মার্চের মধ্যে ছয় লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। অন্যথায় তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। শেষে ২০ হাজার টাকা নগদ দিয়ে ছাড়া পান ওই প্রবাসী।

 

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত দুইজনকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বিজয়া সেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

 

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, এক প্রবাসীর অভিযোগের আলোকে অভিযুক্তদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

প্রবাসীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়: দুই পুলিশ ক্লোজড

আপডেট সময় : ০১:৪০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুবাই ফেরত প্রবাসী মো. মহিন উদ্দিনকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।

 

ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফুল ইসলাম খান ও কনস্টেবল মুরাদ হোসেন।

 

গতকাল সোমবার (১৩ মার্চ) নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ওই অফিস আদেশে প্রশাসনিক কারণে তাদেরকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা (ক্লোজড) করা হয় বলে বলা হয়েছে। এর আগে, গত শুক্রবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের করিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

জানা যায়, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

ভুক্তভোগী ও লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে দেশে ফেরার সময় মহিনকে আরেক প্রবাসী ব্যবসায়ী দুবাই এয়ারপোর্টে কিছু সোনা, একটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ঢাকায় পৌঁছে দিতে দেয়। ঢাকা এয়ারপোর্টে যে ব্যক্তি মহিনের ছবি তাকে দেখাবে সে সামগ্রী গুলো তার থেকে নিয়ে যাবে। ঢাকা এয়ারপোর্টে দুই ব্যক্তি ছবি দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের সামগ্রী গুলো নিয়ে যান। এরপর মহিন বাড়িতে পৌঁছালে দুবাই থেকে ওই প্রবাসী তার জিনিসপত্র পায়নি বলে অভিযোগ তুলেন। একপর্যায়ে গত ৩ মার্চ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (এসআই) শরীফুল ইসলাম প্রবাসী মহিনের বাড়িতে গিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ বা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে তাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে এবং আগামী ২০ মার্চের মধ্যে ছয় লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। অন্যথায় তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। শেষে ২০ হাজার টাকা নগদ দিয়ে ছাড়া পান ওই প্রবাসী।

 

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত দুইজনকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বিজয়া সেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

 

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, এক প্রবাসীর অভিযোগের আলোকে অভিযুক্তদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।