ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

সুবর্ণচরে গরু ব্যবসায়ীকে খুনের রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ, ৫ আসামী শ্রীঘরে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ ৬৪৬৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতেন গরু ব্যবসায়ী দিদারুল আলম ওরফে বেচু (২০) খুনের ঘটনায় পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলার চরকলমী গ্রামের মো. সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. বেলাল (২০), একই গ্রামের মো. মাহফুজের ছেলে মো. রাশেদ (৩০) মৃত আমিনুল হকের ছেলে মো. মাইন উদ্দিন ওরফে পিষ্টু (৩২), মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. লোকমান হোসেন (৩৭), দক্ষিন চরকলমী গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. মহিন উদ্দিন ওরফে চঁন মিয়া (২১)।

 

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।

 

নিহত মো. দিদার উল আলম ওরফে বেচু (২০) উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চরলক্ষী গ্রামের মাইন উদ্দিন বেপারীর ছেলে। শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত ৬ মার্চ বিকেলের দিকে গরু বিক্রি উপজেলার ছমিরহাট থেকে আসার পথে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরলক্ষী গ্রামের গোলাম মাওলার কিল্লা সংলগ্ন শওকতের প্রজেক্টের দক্ষিণ পাশে এ ঘটনা ঘটে।

 

প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি জানায়, গত ৬ মার্চ বিকেলে গরু বিক্রি করে উপজেলার ছমির হাট বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গরু ব্যবসায়ী দিদারকে এক দল ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাত করে তার সাথে থাকা সকল টাকা ও মুঠোফোন নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে স্থানীয় এক অটোচালক তাকে দেখতে পেয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার ১০ মার্চ দুপুরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

 

এসপি আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি মো. বেলালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ও হত্যাকান্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। একই সাথে এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে নিজের ও অপর ৬ আসামির জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তার জবানবন্দি অনুসারে আরো ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয় এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, গাছের ঢাল ও একটি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। গতকাল সোমবার ১৩ মার্চ অপর আসামি মো.রাশেদ (৩০) বিজ্ঞ আদালতে হত্যাকান্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে, ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

সুবর্ণচরে গরু ব্যবসায়ীকে খুনের রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ, ৫ আসামী শ্রীঘরে

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতেন গরু ব্যবসায়ী দিদারুল আলম ওরফে বেচু (২০) খুনের ঘটনায় পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলার চরকলমী গ্রামের মো. সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. বেলাল (২০), একই গ্রামের মো. মাহফুজের ছেলে মো. রাশেদ (৩০) মৃত আমিনুল হকের ছেলে মো. মাইন উদ্দিন ওরফে পিষ্টু (৩২), মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. লোকমান হোসেন (৩৭), দক্ষিন চরকলমী গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. মহিন উদ্দিন ওরফে চঁন মিয়া (২১)।

 

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।

 

নিহত মো. দিদার উল আলম ওরফে বেচু (২০) উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চরলক্ষী গ্রামের মাইন উদ্দিন বেপারীর ছেলে। শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত ৬ মার্চ বিকেলের দিকে গরু বিক্রি উপজেলার ছমিরহাট থেকে আসার পথে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরলক্ষী গ্রামের গোলাম মাওলার কিল্লা সংলগ্ন শওকতের প্রজেক্টের দক্ষিণ পাশে এ ঘটনা ঘটে।

 

প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি জানায়, গত ৬ মার্চ বিকেলে গরু বিক্রি করে উপজেলার ছমির হাট বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গরু ব্যবসায়ী দিদারকে এক দল ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাত করে তার সাথে থাকা সকল টাকা ও মুঠোফোন নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে স্থানীয় এক অটোচালক তাকে দেখতে পেয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার ১০ মার্চ দুপুরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

 

এসপি আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি মো. বেলালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ও হত্যাকান্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। একই সাথে এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে নিজের ও অপর ৬ আসামির জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তার জবানবন্দি অনুসারে আরো ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয় এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, গাছের ঢাল ও একটি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। গতকাল সোমবার ১৩ মার্চ অপর আসামি মো.রাশেদ (৩০) বিজ্ঞ আদালতে হত্যাকান্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে, ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে।