ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

হাতিয়ায় ৫৯ ভূমিহীন-গৃহহীন‌ পরিবারের মাঝে উপহারের ঘরের চাবি হস্তান্তর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩ ১৮৮৬৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উত্তম সাহা, হাতিয়া সংবাদদাতা:-

 

 

মুজিববর্ষে ”বাংলাদেশের একজন মানুষ ও গৃহহীন থাকবেনা” প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে চতুর্থ পর্যায়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ৫৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

বুধবার সকালে দেশব্যাপী প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর হাতিয়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে জমির দলিল ও পাকা ঘরের চাবি উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কায়সার খসরু ।

 

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী ৬‌ হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদাউস । এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কেফায়েত‌ উল্লাহ্, পৌরসভার মেয়র কেএম‌ ওবায়েদ উল্লাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার, হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবু বকর সিদ্দিক প্রমূখ।

 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা একে এমাম নছুরুল হক এবং হাতিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার, ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজেদ উদ্দিন, শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ আল আমিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন মুহিন, ও যুবলীগের সভাপতি শাহ আজিজুর রহমান মিরাজ প্রমুখ।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কায়সার খসরু জানান, হাতিয়া উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ে ৫৯টি ঘর নির্মাণের বরাদ্ধ পাওয়া যায়। এ গুলো হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ খরচ হয়েছে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত হাতিয়ায় প্রথম ধাপে ২৪৮টি, ২য় ধাপে ১০০টি এবং ৩য় ধাপে ৯১টি ঘর ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রদান করা হয়েছে।

 

হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী লুৎফুর নাহার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া জমি ও ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি। আগে বেড়ীর পাশে অনেক কষ্ট করে থাকতাম, এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক সুখে আছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

হাতিয়ায় ৫৯ ভূমিহীন-গৃহহীন‌ পরিবারের মাঝে উপহারের ঘরের চাবি হস্তান্তর

আপডেট সময় : ০৯:৪১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

উত্তম সাহা, হাতিয়া সংবাদদাতা:-

 

 

মুজিববর্ষে ”বাংলাদেশের একজন মানুষ ও গৃহহীন থাকবেনা” প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে চতুর্থ পর্যায়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ৫৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

বুধবার সকালে দেশব্যাপী প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর হাতিয়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে জমির দলিল ও পাকা ঘরের চাবি উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কায়সার খসরু ।

 

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী ৬‌ হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদাউস । এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কেফায়েত‌ উল্লাহ্, পৌরসভার মেয়র কেএম‌ ওবায়েদ উল্লাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার, হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবু বকর সিদ্দিক প্রমূখ।

 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা একে এমাম নছুরুল হক এবং হাতিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার, ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজেদ উদ্দিন, শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ আল আমিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন মুহিন, ও যুবলীগের সভাপতি শাহ আজিজুর রহমান মিরাজ প্রমুখ।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কায়সার খসরু জানান, হাতিয়া উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ে ৫৯টি ঘর নির্মাণের বরাদ্ধ পাওয়া যায়। এ গুলো হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ খরচ হয়েছে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত হাতিয়ায় প্রথম ধাপে ২৪৮টি, ২য় ধাপে ১০০টি এবং ৩য় ধাপে ৯১টি ঘর ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রদান করা হয়েছে।

 

হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী লুৎফুর নাহার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া জমি ও ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি। আগে বেড়ীর পাশে অনেক কষ্ট করে থাকতাম, এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক সুখে আছি।