এনকে বার্তা ডেস্ক::
দেশের চলমান মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গ্রাহকদের তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল একসঙ্গে দেওয়ার সুবিধা দিয়েছে সরকার। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিমাসে যে পরিমাণ বিল আসে, গত এপ্রিল ও মে মাসে তার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ আবার কারও কারও চারগুণ বিল করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো। আর গ্রামে প্রতিমাসে যে বিল আসে, তার সঙ্গে অতিরিক্ত ২০০ টাকা যোগ করে দেওয়া হয়েছে। আবার কারো কারো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল বেশি করা হয়েছে। এতে করে গ্রাহকরা পড়েছে চরম র্দূভোগে।
অতিরিক্ত বিল বিষয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. সুলতান আহমেদ শুক্রবার ফোকাস বাংলা নিউজ কে মুঠোফোনে বলেন, কোনো গ্রাহকের তার ব্যবহারের বিদ্যুৎ বিলের এক পয়সাও বেশি নেয়া হবেনা। এই বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর।
ড. সুলতান আহমেদ আরও বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে বিদ্যুৎ বিতরণী কোম্পানীগুলোর মিটার পাঠকরা গ্রাহকের আঙ্গিনায় যেতে পারছেনা। তাই আমরা গ্রাহকের পূর্বের গড় বিল দেখে বিল করা হচ্ছে। তারপরও যদি কোনো গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করতে চান সেই ক্ষেত্রে তারা স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে গেলেই তা সংশোধন করে দিবে। এই বিষয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে সব বিদ্যুৎ বিতরণী কোম্পানীগুলোর উপর কঠোর নজরদারী রেখেছি। মোটকথা নিয়মের মধ্যে থেকে আমরা গ্রাহকদের সন্তুষ্টির মধ্যে রাখতে চাই।
রাজধানীর কিছু গ্রাহকের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। গ্রাহক যাতে ভৌতিক বিল নিয়ে হয়রানীর স্বীকার না হয়, সেই ক্ষেত্রে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিবে। এরপরও যদি কোনো গ্রাহককের অভিযোগ থাকে তাহলে আমার কাছে বিলের কপিসহ আবেদন করলে তা যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।
বিদ্যুৎ গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন, আমরা তো সরকারের কাছে কোনও সুবিধা চাইনি। সরকার সাধারণ মানুষকে করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে স্বেচ্ছায় এই সুবিধা দিয়েছে। বিলম্ব মাশুল বাদ দেওয়ায় সবাই তিন মাসের বিল একসঙ্গে দেওয়ার সুবিধা পাচ্ছে। তাহলে এখন কেন অতিরিক্ত বিল করে সাধারণ গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নও করেছেন অনেক গ্রাহক। আবার অনেক গ্রাহক বলছে, এতে করে বিল গুলো উচ্চ স্লাবে পড়ে যাচ্ছে। আমরা কেন বাড়তি টাকার মাসুল গুনবো?
এদিকে, বিতরণ কোম্পানিগুলো করোনার কারণে অনেক জায়গায় প্রিন্ট করা বিলের বদলে এসএমএস করে বিল পাঠাচ্ছে। যারা এ ধরনের এসএমএস পেয়েছেন, তারা ব্যাংকে বিল দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। কারণ ব্যাংক বলছে, তারা এসএমএসর বিল নেবে না। যদিও এসব গ্রাহককে মোবাইল এ্যাপস ব্যবহার করে বিল দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো। গ্রাহককে বিল পরিশোধের পর ফিরতি এসএমএস সংরক্ষণ করে রাখার জন্যও বলা হচ্ছে। আবার বনশ্রী এলাকায় ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকায় বেশীর ভাগ গ্রাহক বিদ্যুৎ দিতে পারিনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজধানীর বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিলম্ব মাশুল থেকে বিতরণ কোম্পানিগুলো একটি বড় অঙ্কের টাকা আয় করে থাকেন। কিন্তু সরকার মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বিলম্ব মাশুল মওকুফ করে দিয়েছে। এতে করে গ্রাহকরা তিন মাসের বিল একসঙ্গে দেওয়ার সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর আয় কমে গেছে। এছাড়া, তিন মাসের বিল একসঙ্গে দেওয়ার কথা থাকলেও অনেকে তা দিতে পারবে না। এসব দিক বিবেচনা করেই বেশির ভাগ গ্রাহককে বাড়তি বিল করা হয়েছে।
দক্ষিণ বনশ্রীর বাসিন্দা সাত্তার, একরাম, শিবলু ও মুকুল জানান, গত এপ্রিল ও মে মাসে তাদের যে বিল এসেছে তা ব্যবহারের চেয়ে অনেক বেশি। হয়তো মিটার রিডারা বাড়ির আঙ্গিনায় আসলে এই ভৌতিক বিল হতোনা। রামপুরা বনশ্রীর বাসিন্দা আমিনুল হক শোনালেন ভিন্ন কথা।
তিনি বলছেন, এলাকার স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের মিটার রিডাররা সারা বছরই মিটার না দেখে বিদ্যুৎ বিল করছে। কিছু দিন পরপরই তার ঐ বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তার বিল ঠিক করে আনতে হয়। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে একাধিক অভিযোগ দেয়ার পরও ঐ মিটার রিডারের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
দক্ষিণ বনশ্রীর বাসিন্দা চিকিৎসক তুহিন ফয়সাল জানান, গত তিন মাসে তার বাড়িতে অতিরিক্ত রিডিং দিয়ে বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে। করোনার এই পরিস্থিতিতে তার পক্ষে উচ্চ স্লাবে এত বিল দেয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না।
নন্দিপাড়ার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জানান, এপ্রিল ও মে মাসে তার যে বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছে তার মিটার রিডিং থেকে ৯০০শত ইউনিট বেশি দেয়া হয়েছে। তার প্রশ্ন এই বাড়তি বিলের টাকা আমি কেন দিবো?
পূর্ব মাদারটেকের বাসিন্দা শাহজাহান কবির, নার্গিস বেগম ও আবুল বাশার জানান, এপ্রিল ও মে মাসের তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৭ হাজার টাকা। অথচ বিগত দিনে কখনই তার ৪ হাজার টাকার উপরে বিদ্যুৎ বিল আসেনি। স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করতে গেলে তারা তা সংশোধন করে দেয়নি। তারা আরও অভিযোগ করেন, সিঙ্গাপুর রোড ১ ও ২ নং সড়কের সব বাসাতেই এই ভৌতিক বিল জারি করা হয়েছে।
মুগদার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা রফিক মিয়া জানান, মে মাসের বিদ্যুৎ বিল তার মিটার রিডিং থেকে ৮০০ ইউনিট বেশি বিল করা হয়েছে। স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দেয়ার পর তারা বলছে, আপনি বিল পরিশোধ করে দেন আমরা জুন মাসের বিলের সাথে তা সম্বনয় করে দিবো। তার প্রশ্ন এই বাড়তি বিলের টাকা আমি কোথায় পাবো?
পূর্ব গোড়ানের বাসিন্দা সিয়াম জানান, এপ্রিল ও মে মাসে মিটার থেকে তার বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে ১০৫০ ইউনিট। এতে করে তার বিলের স্লাবও বহু অংশে বেড়ে গেছে। এই অতিরিক্ত টাকা আমি কেনো গুণবো?
পশ্চিম রামপুরার বাসিন্দা হায়দার আলী বলেন, তার গড় বিল আসে ১৩০০ টাকা করে। মে মাসে তার বিল এসেছে ২৮০০ টাকা। এখন আমি কি করবো।
পুরানো ঢাকার রোকনপুরের বাসিন্দা হারুন বলেন, মে মাসের বিদ্যুৎ বিল মিটার রিডিং থেকে ১৫৮০ ইউনিট বেশি এসেছে। বাড়তি টাকা আমি কিভাবে দিবো?
পুরানো ঢাকার নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা গোলাম আজম অভিযোগ করেন, স্থানীয় ডিপিডিসির বংশাল অফিস গত এক বছর যাবৎ তার বিদ্যুৎ বিল বেশি করছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে বিলের পরিমাণটা এখন আরও একধাপ বেশি বেড়ে গেছে। কি করবো এখন ভেবে পাচ্ছিনা।
ধানমন্ডির বাসিন্দা আরিফ রহমান বলেন, মিটার রিডিং থেকে এপ্রিল ও মে মাসে বিদ্যুৎ বিল ১৮০০ ইউনিট বেশি দেখানো হয়েছে। স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস বলছে পরের মাসে তা সম্বনয় করে দেয়া হবে। এখন আমি কি করবো। বিলটা না দিলেও জুন মাসে আবার সুদ চলে আসবে।
আদাবরের বাসিন্দা সাংবাদিক আনিস রহমান বলেন, তার বিদ্যুৎ বিল গত তিন মাসে সাড়ে তিন হাজার ইউনিট বেশি এসেছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ডিপিডিসির সংশ্লিষ্ট আদাবর ডিভিশনের কর্মকর্তারা গত ৭/৮ মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল বেশি দিচ্ছে। অভিযোগ দেয়ার পরও তিনি তার প্রতিকার পাননি।
ভৌতিক বিল সর্ম্পকে জানতে চাইলে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন (ডিপিডিসি) কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান ফোকাস বাংলা নিউজ কে মুঠোফোনে বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে আমাদের মিটার পাঠকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং নিতে পারছেন না। সে কারণে মার্চ মাসের বিল দেখে এপ্রিল ও মে মাসের গড় বিল করা হয়েছে। এতে যদি কোনও গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল বেশি এসে থাকে সেক্ষেত্রে ডিপিডিসির কাস্টমার সার্ভিস গুলোতে যোগাযোগ করলেই তারা সেই বিল ঠিক করে দিবে। তিনি আরও বলেন, কোনো গ্রাহক যদি বিলের টাকা পরিশোধও করে দেন তাতে কোনো সমস্য হবে না। জুন মাসের বিলের সাথে তা সংশোধন করে দেয়া হবে। এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
বিকাশ দেওয়ান আরও বলেন, আমরা দুইভাবে গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ বিল পৌঁছে দিচ্ছি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছি প্রত্যেক গ্রাহককে। বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে আমরা কিছু জায়গায় প্রিন্ট কাগজের বিল পৌঁছাতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, মানিকনগর ডিভিশনে আমার বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী গ্রাহকের আঙ্গিনায় বিল বিতরণ করতে গিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের কারণে জনবল সংকটে থেকেও আমরা ঐ এলাকার বিদ্যুৎ বিতরণ সিস্টেম চালিয়ে যাচ্ছি।
বিকাশ দেওয়ান আরও বলেন, তিন মাসের বিলম্ব মাশুল মওকুফ করা হয়েছে। অথচ এখন বেশির ভাগ গ্রাহকই তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছেন না। এতে করে আমরাও বিপদের মধ্যে আছি। তিনি আরও বলেন গ্রাহক চাইলে অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল দিতে পারবে।
এদিকে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন (ডিপিডিসি) কোম্পানি লিমিটেড এর নির্বাহী পরিচালক (আপারেশন) প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ ফোকাস বাংলা নিউজ কে মুঠোফোনে বলেন, ডিপিডিসির আওয়াতাধীন কোনো গ্রাহক যদি অতিরিক্ত বিল পেয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলেই তারা তা সংশোধন করে দিবে। এটা যদি সংশ্লিষ্ট কোনো এনওসিএস অফিস না করে সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হারুন অর রশিদ আরও বলেন, মাদারটেক, বনশ্রী, বাসাবো, খিলগাঁও, মগবাজার, আদাবর, শ্যামপুর, মাতুয়াইল ও নারায়াগঞ্জ অফিসের বেশ কিছু অভিযোগ তিনি শুনেছেন। সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোতে গ্রাহকদের সেই বিলগুলো সংশোধন করার জন্য আমি নির্দেশনা দিয়েছি।
এ বিষয়ে ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী বলেন, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কিছু কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। এই সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার দেখে বিল করা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে আগের মাসের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিল করা হয়েছে। তবে গ্রাহকরা স্থানীয় অফিসে যোগাযোগ করলে বিল সংশোধন করে দিবে।
এদিকে ঢাকার বাইরের গ্রাহকরাও বিল নিয়ে একই ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন। চাঁদপুরের মর্জিনা বেগম জানান, করোনা পরিস্থিতি প্রার্দূভাব হওয়ার পর থেকেই তার বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে। স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দেওয়ার পরও তারা তা ঠিক করে দেয়নি।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মুইন উদ্দিন বলেন,করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে মিটার পাঠকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিল করতে পারছেন না। তাই গত বছরের এই সময়ের বিলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এ মাসে বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে। যদি কোনও গ্রাহক অভিযোগ করেন তা হলে তার বিল স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস সংশোধন করে দিবে।
ঢাকার বাইরের গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়ে একই কথা বলেন ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিক উদ্দিন এবং নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম।
এদিকে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে গ্রাহকদের একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে জানা গেছে। ওই বার্তায় বলা হয়, বর্তমান বিলের সঙ্গে গ্রাহকের প্রকৃত বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ কম বা বেশি, অথবা কোনও অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হলে পরবর্তী মাসের বিলের সঙ্গে তা সমন্বয় করা হবে। কোনও অবস্থাতেই ব্যবহৃত বিদ্যুতের বেশি বিল গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে না। কোনও প্রকার বিলম্ব মাশুল ছাড়াই ফেব্র“য়ারী, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিল আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করা যাবে বলেও ওই বার্তায় জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।খবর ফোকাস বাংলা