ঢাকা ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে সারের আর দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩ ২৯৭৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অর্থ ও বানিজ্য ডেস্ক:

 

এ বছরও দেশে সারের দাম আর বাড়বে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। সোমবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, এ বছরেও সারের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। সারের দাম বাড়বে না। কৃষক যাতে পর্যাপ্ত সার পায়, সে জন্য আমরা চাহিদা নির্ধারণ করেছি। মার্চে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি ছিল, তবুও আমরা একটু কমিয়ে চাহিদা নির্ধারণ করেছি। এ সারের চাহিদা ২৭ লাখ টন।

 

তিনি আরও বলেন, ডিএপি লাগে ৫ থেকে ৬ লাখ টন, এটির দাম কমানোর জন্য চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ লাখ টন। টিএসপি সাড়ে সাত লাখ টন, এমএপি ও এমওপির চাহিদা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সার নিয়ে কোনো সংকট সৃষ্টি হতে দেব না। সার নিয়ে কৃষকদের ভোগান্তি হলে আমাদের উৎপাদন কমে যাবে। গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারের দাম এক টাকাও বাড়াননি।

 

গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকলে খুবই কম পরিমাণ সার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী৷

 

তিনি বলেন, শাহজালাল সার কারখানা হওয়ার পর থেকে বিসিআইসির সক্ষমতা অনেক বেড়ে গেছে। আপনারা জানেন, গত দু-তিন বছরে ঠিকমতো গ্যাসের সরবরাহ হচ্ছে না। মাঝে মাঝে সার কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে হয়। একটি সার কারখানা বন্ধ করে আবার নতুন করে চালু করতে গেলে যে প্রেসার উৎপাদন করতে হয়, তাতে পাঁচ থেকে সাত কোটি টাকা খরচ হয়ে যায়। বেশিদিন বন্ধ থাকলে কারখানা অচল হয়ে যায়।

 

এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে বিসিআইসি উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। যদিও প্রয়োজনীয় সার উৎপাদন সম্ভব হয়নি। তবে ইউরিয়া সার যতটা সম্ভব স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে আমরা উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবো।

 

তিনি বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে আমরা অনুরোধ করবো, তারা যাতে সার কারখানাগুলো সচল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ রাখে।

 

গ্যাসের দাম বাংলাদেশে কম হওয়াতে স্থানীয় সার উৎপাদন খরচও বেশি না। তা সত্ত্বেও যদি একেবারে আন্তর্জাতিক দামে যদি বিসিআইসি মন্ত্রণালয়কে দেয়, তাতেও দাম আমাদের অনেক কম পড়বে।

 

প্রতিবছরই পেঁয়াজ সংকট হতো। কিন্তু এবার তা হয়নি বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

দেশে সারের আর দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক

আপডেট সময় : ০৯:০০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

অর্থ ও বানিজ্য ডেস্ক:

 

এ বছরও দেশে সারের দাম আর বাড়বে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। সোমবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, এ বছরেও সারের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। সারের দাম বাড়বে না। কৃষক যাতে পর্যাপ্ত সার পায়, সে জন্য আমরা চাহিদা নির্ধারণ করেছি। মার্চে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি ছিল, তবুও আমরা একটু কমিয়ে চাহিদা নির্ধারণ করেছি। এ সারের চাহিদা ২৭ লাখ টন।

 

তিনি আরও বলেন, ডিএপি লাগে ৫ থেকে ৬ লাখ টন, এটির দাম কমানোর জন্য চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ লাখ টন। টিএসপি সাড়ে সাত লাখ টন, এমএপি ও এমওপির চাহিদা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সার নিয়ে কোনো সংকট সৃষ্টি হতে দেব না। সার নিয়ে কৃষকদের ভোগান্তি হলে আমাদের উৎপাদন কমে যাবে। গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারের দাম এক টাকাও বাড়াননি।

 

গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকলে খুবই কম পরিমাণ সার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী৷

 

তিনি বলেন, শাহজালাল সার কারখানা হওয়ার পর থেকে বিসিআইসির সক্ষমতা অনেক বেড়ে গেছে। আপনারা জানেন, গত দু-তিন বছরে ঠিকমতো গ্যাসের সরবরাহ হচ্ছে না। মাঝে মাঝে সার কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে হয়। একটি সার কারখানা বন্ধ করে আবার নতুন করে চালু করতে গেলে যে প্রেসার উৎপাদন করতে হয়, তাতে পাঁচ থেকে সাত কোটি টাকা খরচ হয়ে যায়। বেশিদিন বন্ধ থাকলে কারখানা অচল হয়ে যায়।

 

এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে বিসিআইসি উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। যদিও প্রয়োজনীয় সার উৎপাদন সম্ভব হয়নি। তবে ইউরিয়া সার যতটা সম্ভব স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে আমরা উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবো।

 

তিনি বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে আমরা অনুরোধ করবো, তারা যাতে সার কারখানাগুলো সচল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ রাখে।

 

গ্যাসের দাম বাংলাদেশে কম হওয়াতে স্থানীয় সার উৎপাদন খরচও বেশি না। তা সত্ত্বেও যদি একেবারে আন্তর্জাতিক দামে যদি বিসিআইসি মন্ত্রণালয়কে দেয়, তাতেও দাম আমাদের অনেক কম পড়বে।

 

প্রতিবছরই পেঁয়াজ সংকট হতো। কিন্তু এবার তা হয়নি বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।