ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

কবিরহাটে হক পরিবারে দেওয়া উপহার পেয়ে খুশি শহস্রাধিক পরিবার !!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৭৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

কবিরহাটের হক পরিবারের সুযোগ্য উত্তরসূরিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অরাজনৈতিক সামাজিক মানবিক সংগঠন “শরীফ, রৌশন, আনিস কল্যাণ ট্রাস্ট” এর উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার অসহায় দুস্ত ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

 

শনিবার (১৫ এপ্রিল) ২দিন ব্যাপী কবিরহাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডস্থ ঘোষবাগ মিয়া বাড়িতে (সাবেক সেনা প্রধান এর বাড়ি) ১ম পর্বে শুক্রবার প্রত্যেক পরিবার প্রতি ১টি করে ৪৫ জনকে সেলাই মেশিন ও ১জন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়। শনিবার ২য় পর্বে ৪৭ জনকে ১০৮ বান ডেউটিন, পরিবার প্রতি একটি করে ৭০জনকে টিউওয়েল ও অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৩০জন লোককে ব্যবসায়িক পুঁজি বিতরণ করা হয় এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অসহায় মানুষদের মাঝে ইফতার করার লক্ষ্যে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সাবেক সেনা প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল হক শাহীন, কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, সাবেক সেনা প্রধান পুত্র মারজুক প্রমূখ।

 

সাবেক সেনা প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক তার পুত্র মারজুক ও রেজাউল হক শাহীনসহ মাঠে ঘুরে সকলের খোঁজ খবর নিয়ে সবার হাতে পানির কল, ডেউটিন, সেলাই মেশিন ও নগদ টাকা তুলে দেন।

 

অনুষ্ঠানে সাবেক সেনা প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ও রেজাউল হক শাহীন বলেন, আমরা লোক দেখানোর জন্য এলাকার মানুষের জন্য কিছু করিনা। আমরা যা করি তা হচ্ছে পরকালে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য করি। আমরা অতিতেও আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করেছি মানুষের জন্য কিছু করার। এখনো আমরা মানুষের জন্য নি:স্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এর আগে আমরা কানে শোনেনা-বোবা ৭টা বাচ্চা শিশুকে সাড়ে ১২লাখ টাকা করে প্রতি বাচ্চার জন্য ব্যায় করে তাদের কানে করনেয়ার অপারেশন করে মেশিন স্থাপন করে দিয়েছি। ১৭জনকে কৃত্রিম পা লাগিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও আরো অনেক অসহায় লোককে চিকিৎসা, পোড়াশোনার খরচসহ নানাবিধ সহযোগিতা করে আসছি। এই সহযোগিতা আমরা যতকাল বেঁচে থাকব ততকালই অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

কবিরহাটে হক পরিবারে দেওয়া উপহার পেয়ে খুশি শহস্রাধিক পরিবার !!

আপডেট সময় : ০৪:১৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

কবিরহাটের হক পরিবারের সুযোগ্য উত্তরসূরিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অরাজনৈতিক সামাজিক মানবিক সংগঠন “শরীফ, রৌশন, আনিস কল্যাণ ট্রাস্ট” এর উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার অসহায় দুস্ত ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

 

শনিবার (১৫ এপ্রিল) ২দিন ব্যাপী কবিরহাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডস্থ ঘোষবাগ মিয়া বাড়িতে (সাবেক সেনা প্রধান এর বাড়ি) ১ম পর্বে শুক্রবার প্রত্যেক পরিবার প্রতি ১টি করে ৪৫ জনকে সেলাই মেশিন ও ১জন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়। শনিবার ২য় পর্বে ৪৭ জনকে ১০৮ বান ডেউটিন, পরিবার প্রতি একটি করে ৭০জনকে টিউওয়েল ও অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৩০জন লোককে ব্যবসায়িক পুঁজি বিতরণ করা হয় এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অসহায় মানুষদের মাঝে ইফতার করার লক্ষ্যে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সাবেক সেনা প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল হক শাহীন, কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, সাবেক সেনা প্রধান পুত্র মারজুক প্রমূখ।

 

সাবেক সেনা প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক তার পুত্র মারজুক ও রেজাউল হক শাহীনসহ মাঠে ঘুরে সকলের খোঁজ খবর নিয়ে সবার হাতে পানির কল, ডেউটিন, সেলাই মেশিন ও নগদ টাকা তুলে দেন।

 

অনুষ্ঠানে সাবেক সেনা প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ও রেজাউল হক শাহীন বলেন, আমরা লোক দেখানোর জন্য এলাকার মানুষের জন্য কিছু করিনা। আমরা যা করি তা হচ্ছে পরকালে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য করি। আমরা অতিতেও আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করেছি মানুষের জন্য কিছু করার। এখনো আমরা মানুষের জন্য নি:স্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এর আগে আমরা কানে শোনেনা-বোবা ৭টা বাচ্চা শিশুকে সাড়ে ১২লাখ টাকা করে প্রতি বাচ্চার জন্য ব্যায় করে তাদের কানে করনেয়ার অপারেশন করে মেশিন স্থাপন করে দিয়েছি। ১৭জনকে কৃত্রিম পা লাগিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও আরো অনেক অসহায় লোককে চিকিৎসা, পোড়াশোনার খরচসহ নানাবিধ সহযোগিতা করে আসছি। এই সহযোগিতা আমরা যতকাল বেঁচে থাকব ততকালই অব্যাহত থাকবে।