ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

কবিরহাটের ধানসিঁড়িতে ব্যবসায়ীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ৫৩৩৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর কবিরহাটে সামছল হক মাঝির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, দোকান লুটপাট ও ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

এতে অন্তত আহত হয়েছে ৪ জন। অন্যদিকে ৯৯৯ এ ও থানা পুলিশকে জানানো হলেও নিরব ভূমিকা পালন করার অভিযোগ উঠেছে কবিরহাট থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের জনতা বাজার (লেঙ্গার দোকান) নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত বুধবার প্রথম ধাপে প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর হামলা করেন সামছল হক মাঝির লোকেরা। হামলায় গুরুত্বর আহত একজন নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে শুক্রবার আবারও পরিকল্পিত ভাবে কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী ধারা সামছল মাঝির নেতৃত্বে আগের মামলার সাক্ষী ও বাজারের নিরীহ ব্যাবসীদের উপর হামলা চালানো হয়।

বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল সওদাগর বলেন, হটাৎ সন্ধ্যার পরে সোনাপুর থেকে শতাধিক ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে আসেন সমছল মাঝি, তারা এসেই দুইটি দোকানে থাকা ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালায়, এবং দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এবং প্রান নাসের উদ্দেশ্যে দোকানিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে সকলের সহযোগিতায় আমরা তাদের উদ্ধার করি।

হামলার শিকার বাজারের ব্যবসায়ি নোমান বলেন, আমি দোকানে বসে ব্যবসা পরিচালনা করছিলাম, এমতাবস্থায় হটাৎ সন্ত্রাসীরা এসে আমার দোকানে ডুকে শাড়ি লুঙ্গি সহ নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এবং আমার ক্যাশে থাকা নগদ ২৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়, পরে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। সবাই যখন আমাকে উদ্ধার করে, আমি ৯৯৯ কল করে অভিযোগ জানালে তারা কবিরহাট থানার ওসিকে কল করতে বলেন। ওসিকে যখন কল করে সকল বিষয় অবগত করি সে আমাদেরকে কোন প্রকারের সহযোগিতা করেননি।

অভিযুক্ত সামছল হক মাঝি তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ নাকচ করে বলেন, আমি তাদের ভয়ে রাস্তায় বের হতে পারিনা এমনকি বাজারঘাটে যেতে পারিনা। আমি তাদের মামলার এক সাক্ষীকে সত্য সাক্ষী দেয়ার জন্য অনুরোধ করতে বাজারে গেলে তারা আমার সাথে মারমুখী আচরণ করলে আমার লোকজনের সাথে একটু বাকবিতন্ডা হয়।

ঘটনার বিষয়ে মুঠোফোনে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এবিষয়ে তার কাছে কোন খোঁজ খবর নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

কবিরহাটের ধানসিঁড়িতে ব্যবসায়ীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৪১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর কবিরহাটে সামছল হক মাঝির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, দোকান লুটপাট ও ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

এতে অন্তত আহত হয়েছে ৪ জন। অন্যদিকে ৯৯৯ এ ও থানা পুলিশকে জানানো হলেও নিরব ভূমিকা পালন করার অভিযোগ উঠেছে কবিরহাট থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের জনতা বাজার (লেঙ্গার দোকান) নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত বুধবার প্রথম ধাপে প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর হামলা করেন সামছল হক মাঝির লোকেরা। হামলায় গুরুত্বর আহত একজন নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে শুক্রবার আবারও পরিকল্পিত ভাবে কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী ধারা সামছল মাঝির নেতৃত্বে আগের মামলার সাক্ষী ও বাজারের নিরীহ ব্যাবসীদের উপর হামলা চালানো হয়।

বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল সওদাগর বলেন, হটাৎ সন্ধ্যার পরে সোনাপুর থেকে শতাধিক ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে আসেন সমছল মাঝি, তারা এসেই দুইটি দোকানে থাকা ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালায়, এবং দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এবং প্রান নাসের উদ্দেশ্যে দোকানিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে সকলের সহযোগিতায় আমরা তাদের উদ্ধার করি।

হামলার শিকার বাজারের ব্যবসায়ি নোমান বলেন, আমি দোকানে বসে ব্যবসা পরিচালনা করছিলাম, এমতাবস্থায় হটাৎ সন্ত্রাসীরা এসে আমার দোকানে ডুকে শাড়ি লুঙ্গি সহ নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এবং আমার ক্যাশে থাকা নগদ ২৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়, পরে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। সবাই যখন আমাকে উদ্ধার করে, আমি ৯৯৯ কল করে অভিযোগ জানালে তারা কবিরহাট থানার ওসিকে কল করতে বলেন। ওসিকে যখন কল করে সকল বিষয় অবগত করি সে আমাদেরকে কোন প্রকারের সহযোগিতা করেননি।

অভিযুক্ত সামছল হক মাঝি তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ নাকচ করে বলেন, আমি তাদের ভয়ে রাস্তায় বের হতে পারিনা এমনকি বাজারঘাটে যেতে পারিনা। আমি তাদের মামলার এক সাক্ষীকে সত্য সাক্ষী দেয়ার জন্য অনুরোধ করতে বাজারে গেলে তারা আমার সাথে মারমুখী আচরণ করলে আমার লোকজনের সাথে একটু বাকবিতন্ডা হয়।

ঘটনার বিষয়ে মুঠোফোনে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এবিষয়ে তার কাছে কোন খোঁজ খবর নেই।