নোয়াখালী প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বিচার প্রার্থী এক নারীর (৩০) সাথে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের (মেম্বার) বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত মো. আবু সাঈদ রাসেদ জেলার সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
গত রোববার (৭ মে) দুপুরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কলারহাটের সাবেক মেম্বার ইউসুফ ভিকটিমকে নোয়াখালী ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাসেদের কাছে বিচারের জন্য পাঠায়। ভুক্তভোগী নারী তার পারিবারিক সমস্যার কথা মেম্বারকে খুলে বলে। সব কথা শুনে মেম্বার রাসেদ সমস্যা সমাধান করে দিবে বলে ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে রাত ১০টার পরে ওই নারীর কাছে তাকে ১০মিনিট সময় দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করে। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিচার করে দিবেনা বলে উল্টো মেম্বার হুমকি ধমকি দেয়। এরপর ভিকটিমের মুঠোফোনে কল দেয়। ভয়ে ভিকটিম ফোন তার বোনকে ধরিয়ে দেয়। ফোনে মেম্বার ভুক্তভোগী নারীকে মনে করে তার বোনকে খারাপ ভাষায় কথা বলে। এরপর ইউসুফ মেম্বারকে নিয়ে রাত ১০টার সময় ভিকেটেমর বাড়ি চলে যায়। তখন ভুক্তভোগী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে মেম্বার রাসেদ চলে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবু সাঈদ রাসেদের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান পারভেজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত পবিত্র ওমরা পালনের জন্য বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। তিনি থাকতে ভুক্তভোগী নারী লিখিত অভিযোগ করেন এবং ৭জন ইউপি সদস্যের সামনে মৌখিক ভাবেও ঘটনার বর্ণনা দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।