ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ফুটবলে কিক মারায়, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা

চাটখিল প্রতিবেদক, নোয়াখালী:
  • আপডেট সময় : ০৪:২৩:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩ ১২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর চাটখিলে ফুটবলে কিক মারায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ওসমান গণি (১৫) উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের মোকামী বাড়ির মিজানুর রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় সপ্তগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

 

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত রোববার ৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার বসত ঘর সংলগ্ন আঙ্গিনায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

 

নিহতের জেঠাতো ভাই শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার ৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে আমাদের প্রতিবেশী মানিকপুর গ্রামের পুরান বাড়ির মন্টুর ছেলে মুসলিম (১২) বাড়ির সামনের রাস্তা সংলগ্ন আঙ্গিনায় ফুটবল খেলছিল। ওসমান তার পাশেই পাকা নামাজের টং ঘরে বসে মোবাইল টিপছে। হঠাৎ বল এসে ওসমানের পায়ের কাছে পড়লে ওসমান ফুটবলে জোরে কিক মারে। তখন ফুটবলটি পাশের একটি একতলা বিল্ডিংয়ের ছাদে গিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক মুসলিম কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে জানায় ওসমান কাকা তার ফুটবল কিক মেরে ফেলে দিয়েছে। কিছুক্ষন পর মুসলিমের বাবা মো. মন্টু (৩২) একটি লোহা কাঠ নিয়ে এসে ওসমানকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার ভোর রাতের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে শাহ আলম বলেন, হামলাকারী মিন্টুর বেশ কয়েকজন আপন ভাই রয়েছে। এরা সবাই উশৃঙ্খল, মানুষের সাথে ঝগড়াঝাটি তাদের একটা নেশা। আমরা সবাই ঢাকা থাকি। ওসমানের পরিবারও ঢাকা থাকত। কয়দিন আগে তার বাবা গ্রামে একটি বাড়ি করে। হামলাকারী মন্টু ভবন নির্মাণের সময় কাজ চেয়ে ছিল। ওই কাজ না পেয়ে সে ওসমানের পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। না হলে শুধু মাত্র ফুটবলে একটি কিক মারার কারণে একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে।

 

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ওই কিশোর আজকে মারা যায় বলে শুনেছি। এ ঘটনায় নিহতের মা উম্মে হানি রুমা ঘটনার দিন রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ মামলা নেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

ফুটবলে কিক মারায়, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা

আপডেট সময় : ০৪:২৩:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

নোয়াখালীর চাটখিলে ফুটবলে কিক মারায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ওসমান গণি (১৫) উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের মোকামী বাড়ির মিজানুর রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় সপ্তগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

 

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত রোববার ৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার বসত ঘর সংলগ্ন আঙ্গিনায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

 

নিহতের জেঠাতো ভাই শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার ৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে আমাদের প্রতিবেশী মানিকপুর গ্রামের পুরান বাড়ির মন্টুর ছেলে মুসলিম (১২) বাড়ির সামনের রাস্তা সংলগ্ন আঙ্গিনায় ফুটবল খেলছিল। ওসমান তার পাশেই পাকা নামাজের টং ঘরে বসে মোবাইল টিপছে। হঠাৎ বল এসে ওসমানের পায়ের কাছে পড়লে ওসমান ফুটবলে জোরে কিক মারে। তখন ফুটবলটি পাশের একটি একতলা বিল্ডিংয়ের ছাদে গিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক মুসলিম কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে জানায় ওসমান কাকা তার ফুটবল কিক মেরে ফেলে দিয়েছে। কিছুক্ষন পর মুসলিমের বাবা মো. মন্টু (৩২) একটি লোহা কাঠ নিয়ে এসে ওসমানকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার ভোর রাতের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে শাহ আলম বলেন, হামলাকারী মিন্টুর বেশ কয়েকজন আপন ভাই রয়েছে। এরা সবাই উশৃঙ্খল, মানুষের সাথে ঝগড়াঝাটি তাদের একটা নেশা। আমরা সবাই ঢাকা থাকি। ওসমানের পরিবারও ঢাকা থাকত। কয়দিন আগে তার বাবা গ্রামে একটি বাড়ি করে। হামলাকারী মন্টু ভবন নির্মাণের সময় কাজ চেয়ে ছিল। ওই কাজ না পেয়ে সে ওসমানের পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। না হলে শুধু মাত্র ফুটবলে একটি কিক মারার কারণে একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে।

 

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ওই কিশোর আজকে মারা যায় বলে শুনেছি। এ ঘটনায় নিহতের মা উম্মে হানি রুমা ঘটনার দিন রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ মামলা নেয়।