সারাদেশে চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদে নোয়াখালীর সব বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দেওয়া বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রাইভেট হাসপাতালে আসা সেবা প্রত্যাশী লোকজন। এদিকে সারাদেশে হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক ও ভুল ব্যাখায় চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদ এবং গ্রেপ্তারকৃত ডা. মিলি, ডা. মুনা ও ডা. শাহাজাদীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সামনে ‘নোয়াখালী প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশন’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
ফেয়ার ডায়াগনস্টিকের স্বত্বাধিকারী আবদুল হান্নান জনির সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফিরোজ, সদর উপজেলা সভাপতি ও রয়্যাল হসপিটাল ইউনিট-২ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু, ইউনাইটেড হসপিটালের চেয়ারম্যান মো. নূর নবী, ট্রাস্ট ওয়ান হসপিটালের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘আমরা চিকিৎসকের নিরাপদ কর্মপরিবেশ চাই। একজন মুমুর্ষ রোগীকে নির্ভয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে চাই। চিকিৎসকরা নিগ্রহ এবং মামলায় পড়লে চিকিৎসা সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
চিকিৎসকেরা রোগীদের প্রতি খুবই আন্তরিক ও যতœশীল উল্লেখ করে আন্দোলনরতরা বলেন, অনেকের ধারণা করেন যে চিকিৎসকেরা কোনো কারণ ছাড়া সিজার করে ফেলেন। এটা সম্পুর্ণ ভুল ধারণা। নিরাপদ প্রসব, মা ও সন্তানের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনবোধে সিজার করা হয়। ডা. মিলির বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা করা হয়েছে। কোনো তদন্ত ছাড়াই ডা. মুনা ও ডা. শাহজাদী’কে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা এই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তারকৃতদের স্বসম্মানে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি