ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

বেগমগঞ্জে ভুয়া ডাক্তারের ২ বছরের কারাদন্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ভুয়া ডাক্তারকে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কাজের অপরাধে হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

 

দন্ডপ্রাপ্ত ভুয়া ডাক্তারের নাম অমর শীল (৩৫)। সে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের উলিপুর গ্রামের গৌরেন্দ্র শীলের ছেলে।

 

শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাতের নেতৃত্বে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার পাবলিক হল এলাকার জেনারেল মা ও শিশু হাসপাতালে এ অভিযান চালানো হয়।

 

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, চৌমুহনী পৌরসভার পাবলিক হল এলাকার জেনারেল মা ও শিশু হাসপাতালে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হাসপাতালটির নিচ তলায় চেম্বারে সহকারী অধ্যাপক (বিএস এমএমইউ), এমবিবিএস, এফসিপিএস, ডিডিভি স্পেশাল ট্রেনিং ইন ডার্মাটোলজি (থাইল্যান্ড)এর ডিগ্রিধারী পরিচয়ে রোগী দেখছিলেন ডাক্তার মো. এনামুল হক। এরপর তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে জানায়, তার প্রকৃত নাম অমর শীল (৩৫)। ২০০৩ সালে বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে থেকে এসএসসি ও ২০০৫ সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এর বেশি তিনি পড়াশোনা করেন নাই। এ হসপিটালে তিনি গত ৪ মাস যাবত চেম্বার করেন। এর আগে তিনি জেলা শহর মাইজদীর ট্রাস্ট ওয়ান হসপিটালে চেম্বার করতেন।

 

অভিযানে জেনারেল ও শিশু হাসপাতাল (প্রা:) কর্তৃপক্ষ ডাক্তার এনামুল হক নামধারী ভুয়া চিকিৎসকের সাথে চুক্তিপত্র বা তার সার্টিফিকেট/ডিগ্রীর সনদপত্র দেখাতে পারে নি। ভুয়া চিকিৎসক ডা. এনামুল হক প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন রোগী দেখতেন। রোগী প্রতি ৭শত টাকা করে ফি নিতেন।

 

পরবর্তীতে তথ্য-প্রমাণ ও তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অমর শীলকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। একই সাথে সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কাজের অপরাধে হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

 

এ সময় অভিযান পরিচালনার সহযোগিতা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস ও বেগমগঞ্জ থানার একদল পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

বেগমগঞ্জে ভুয়া ডাক্তারের ২ বছরের কারাদন্ড

আপডেট সময় : ০৯:০৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক ভুয়া ডাক্তারকে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কাজের অপরাধে হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

 

দন্ডপ্রাপ্ত ভুয়া ডাক্তারের নাম অমর শীল (৩৫)। সে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের উলিপুর গ্রামের গৌরেন্দ্র শীলের ছেলে।

 

শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাতের নেতৃত্বে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার পাবলিক হল এলাকার জেনারেল মা ও শিশু হাসপাতালে এ অভিযান চালানো হয়।

 

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, চৌমুহনী পৌরসভার পাবলিক হল এলাকার জেনারেল মা ও শিশু হাসপাতালে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হাসপাতালটির নিচ তলায় চেম্বারে সহকারী অধ্যাপক (বিএস এমএমইউ), এমবিবিএস, এফসিপিএস, ডিডিভি স্পেশাল ট্রেনিং ইন ডার্মাটোলজি (থাইল্যান্ড)এর ডিগ্রিধারী পরিচয়ে রোগী দেখছিলেন ডাক্তার মো. এনামুল হক। এরপর তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে জানায়, তার প্রকৃত নাম অমর শীল (৩৫)। ২০০৩ সালে বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে থেকে এসএসসি ও ২০০৫ সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এর বেশি তিনি পড়াশোনা করেন নাই। এ হসপিটালে তিনি গত ৪ মাস যাবত চেম্বার করেন। এর আগে তিনি জেলা শহর মাইজদীর ট্রাস্ট ওয়ান হসপিটালে চেম্বার করতেন।

 

অভিযানে জেনারেল ও শিশু হাসপাতাল (প্রা:) কর্তৃপক্ষ ডাক্তার এনামুল হক নামধারী ভুয়া চিকিৎসকের সাথে চুক্তিপত্র বা তার সার্টিফিকেট/ডিগ্রীর সনদপত্র দেখাতে পারে নি। ভুয়া চিকিৎসক ডা. এনামুল হক প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন রোগী দেখতেন। রোগী প্রতি ৭শত টাকা করে ফি নিতেন।

 

পরবর্তীতে তথ্য-প্রমাণ ও তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অমর শীলকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। একই সাথে সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কাজের অপরাধে হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

 

এ সময় অভিযান পরিচালনার সহযোগিতা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস ও বেগমগঞ্জ থানার একদল পুলিশ।