ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

নারীর শরীরে ভুল রক্ত প্রয়োগ, হসপিটালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল স্বাস্থ্য বিভিাগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

 

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে এক নারী রোগীর শরীরে ভুল গ্রুপের রক্ত প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী রোগীর নাম খাদিজা বেগম (৪৯)। তিনি জেলার বেগমগঞ্জের নাজিরপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মৃত বাহার উদ্দিনের স্ত্রী।

 

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে জেলা শহরের জনতা জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী রোগীর পরিবারের মৌখিক অভিযোগে তাৎক্ষণিক হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব ও কেবিন ইউনিট বন্ধ করে দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, শনিবার সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে একই দিন দুপুরের দিকে অভিযুক্ত হসপিটালে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে টিম পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব ও কেবিন ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসকের পরামর্শে খাদিজা বেগম ডোনার সংগ্রহ করে রক্ত দিতে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতালে পরীক্ষায় রোগীর রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ নির্ণয় করা হয়। এরপর ডোনারের থেকে ‘ও’ পজিটিভ রক্ত সংগ্রহ করা হয়। কিন্ত হাসপাতালের নার্স তার শরীরে ‘বি’ পজিটিভ’ রক্ত প্রয়োগ করেন। রোগীর স্বজনরা বিষয়টি বুঝতে পারলে তাদের বাধার মুখে নার্স রক্ত দেয়া বন্ধ করে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি রোগীর স্বজনেরা মৌখিক ভাবে সিভিল সার্জনকে অবহিত করে।

 

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, দুই রোগীর রক্ত এক সাথে থাকায় নার্স ভুল করে অন্য রোগীর রক্ত খাদিজা বেগমের শরীরে পুশ করেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে রক্ত দেয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

নারীর শরীরে ভুল রক্ত প্রয়োগ, হসপিটালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল স্বাস্থ্য বিভিাগ

আপডেট সময় : ০১:০৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

 

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে এক নারী রোগীর শরীরে ভুল গ্রুপের রক্ত প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী রোগীর নাম খাদিজা বেগম (৪৯)। তিনি জেলার বেগমগঞ্জের নাজিরপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মৃত বাহার উদ্দিনের স্ত্রী।

 

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে জেলা শহরের জনতা জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী রোগীর পরিবারের মৌখিক অভিযোগে তাৎক্ষণিক হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব ও কেবিন ইউনিট বন্ধ করে দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, শনিবার সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে একই দিন দুপুরের দিকে অভিযুক্ত হসপিটালে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে টিম পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব ও কেবিন ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসকের পরামর্শে খাদিজা বেগম ডোনার সংগ্রহ করে রক্ত দিতে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতালে পরীক্ষায় রোগীর রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ নির্ণয় করা হয়। এরপর ডোনারের থেকে ‘ও’ পজিটিভ রক্ত সংগ্রহ করা হয়। কিন্ত হাসপাতালের নার্স তার শরীরে ‘বি’ পজিটিভ’ রক্ত প্রয়োগ করেন। রোগীর স্বজনরা বিষয়টি বুঝতে পারলে তাদের বাধার মুখে নার্স রক্ত দেয়া বন্ধ করে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি রোগীর স্বজনেরা মৌখিক ভাবে সিভিল সার্জনকে অবহিত করে।

 

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, দুই রোগীর রক্ত এক সাথে থাকায় নার্স ভুল করে অন্য রোগীর রক্ত খাদিজা বেগমের শরীরে পুশ করেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে রক্ত দেয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।