শিরোনাম:
জলদস্যুদের গুলিতে মেঘনা নদীতে ২ জেলে নিহত শিশু গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যেগে নোয়াখালীতে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) জুসনে জুলুস উদযাপন চাকুরীজীবি তরুণীকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ, র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার তরুণ মেঘনা নদীতে ২ জেলে গুলিবিদ্ধ, ৫ জেলে অপহরণের অভিযাগ দেশে ফেরার পথে ওমান প্রবাসীর মৃত্যু সুবর্ণচরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নতুন কমিটি’র বঙ্গবন্ধুর প্রতীকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবদেন সাইবার স্পেসে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনার সুবর্ণচরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মতবিনিময় হুজুরের নির্দেশে ছাদ পরিস্কার করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু

তুই কি তোর মেয়েকে নিবি, না নিলে মেরে ফেলব, অতঃপর উদ্ধার মরদেহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
মোটরসাইকেল চাপায় সাইকেল আরোহী কিশোরের মৃত্যু

সেনবাগ প্রতিবেদক:

 

নোয়াখালীর সেনবাগে শ্বশুর বাড়ি থেকে পুলিশ এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে নিহতের স্বামী। নিহতের পরিবারের দাবি গৃহবধূর স্বামী তাকে মারধর করে হত্যা করেছে।

 

নিহত তানজিনা আক্তার (২০) উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বসন্তপুর গ্রামের মমতাজ মিয়ার বাড়ির কাতার প্রবাসী মো. মহিন উদ্দিনের স্ত্রী।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হেেয়ছে। এর আগে, গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মমতাজ মিয়ার বাড়ি থেকে পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করে। একই দিন দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহতের মামাতো ভাই আজিম জানান, গত ২ বছর আগে পারিবারিক ভাবে নাঙ্গলকোট থানার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের সন্ধ্যাইল গ্রামের কান্তর আলীর নতুন বাড়ির মো. তাজুল ইসলামের মেয়ে তানজিনাকে প্রবাসী মহিন উদ্দিনের কাছে বিয়ে দেওয়া হয়। কিছু দিন পরই তাদের পরিবারে কলহ দেখা দেয়। স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তানজিনাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করত। বুধবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে মেয়ের জামাই মহিউদ্দিন তার শ্বশুরকে ফোন দেয়। এরপর সে তার শ্বশুরকে মুঠোফোনে বলে, তুই কি তোর মেয়েকে নিবি, না নিলে মেরে ফেলব। এটার কলরের্কডও রয়েছে। আমরা রেকর্ডটি পুলিশকে শুনেয়েছি। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেয়ের জামাইয়ের পরিবারের সদস্যরা পুনরায় মেয়ের বাবাকে ফোন দিয়ে বলে তানজিনাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন হাসপাতালে আছে। পরে গৃহবধূর স্বজনরা হাসপাতাল গিয়ে দেখে তানজিনা হাসপাতালে নেই। সেখান থেকে তারা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখে একটি ঘরে তানজিনার মরদেহ রাখা আছে। তার মুখ ও গলার বামপাশে আঘাতের আলামত রয়েছে। তার স্বামী তাকে মারধর করে মেরে ফেলে হাসপাতালের নাটক করে।

 

সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রুহুল আমিন বলেন, প্রাথমিক ভাবে মারধর করে মেরে ফেলার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমরা প্রমাণ পেয়েছি স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দেয়। নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনায় মামলা নেওয়া হচ্ছে।

ওসি তদন্ত রুহুল আমিন আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০