ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জালিয়াতি চক্রের ১ সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জালিয়াতি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জব্দ করা হয়।

 

গ্রেফতার আব্দুল কাদের সৌরভ (৩০) চাটখিল পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ির মো.গোলাম মাওলার ছেলে।

 

শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চাটখিল পৌরসভা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ (৩৫) হাঙ্গেরী যাওয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে একলাশপুর ইউনিয়নের গাবুয়া বাজারে যায়। সেখানে তার সহপাঠী ও বন্ধু মহরম আলীর সাথে দেখা হয়। কথা-বার্তার একপর্যায়ে সে জানায় ৩ দিনের ভিতরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সংগ্রহ করে দিতে পারবে। পরবর্তীতে নূর মোহাম্মদ সরল বিশ্বাসে তার নিজের ও তার ভাতিজা এবং এলাকার মসজিদের ইমাম আনোয়ার হোসেনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাবত ৬ হাজার ৮শ টাকা প্রদান করেন। ২-৩ দিন পরে আসামি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের কপি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠায়। নূর মোহাম্মদসহ তার ভাতিজা ও এলাকার ইমাম সে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য ট্রাভেল্স এজেন্সীতে জমা দেয়। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে মো. মুজাহিদুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার নোয়াখালী হিসেবে রামকৃষ্ণ সরকারের নাম, সিল ও স্বাক্ষর সম্বলিত ছিল। ৩ অক্টোবর ট্রাভেলস্ এজেন্সী থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স গুলো নকল বলে জানায়।

 

পুলিশ আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি ও পলাতক আসামি মহররম আলী দীর্ঘদিন থেকে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের সহায়তায় ঢাকায় একটি ট্রাভেলস এজেন্সীর মাধ্যমে বিভিন্ন থানা ও জেলার অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ সুপার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তিত নাম ও সিল তৈরী করে জাল স্বাক্ষর এর মাধ্যমে নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তৈরী করে আসছে। প্রতারক চক্র নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তৈরীর কাজটি এতটাই নিখুঁত ভাবে করে যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স গুলো অনলাইনে থাকে, যার কারণে সহজে যে কেউ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স গুলো নকল হিসেবে ধরতে পারেনা।

 

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জালিয়াতি চক্রের ১ সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ

আপডেট সময় : ০৬:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জালিয়াতি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জব্দ করা হয়।

 

গ্রেফতার আব্দুল কাদের সৌরভ (৩০) চাটখিল পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ির মো.গোলাম মাওলার ছেলে।

 

শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চাটখিল পৌরসভা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ (৩৫) হাঙ্গেরী যাওয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে একলাশপুর ইউনিয়নের গাবুয়া বাজারে যায়। সেখানে তার সহপাঠী ও বন্ধু মহরম আলীর সাথে দেখা হয়। কথা-বার্তার একপর্যায়ে সে জানায় ৩ দিনের ভিতরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সংগ্রহ করে দিতে পারবে। পরবর্তীতে নূর মোহাম্মদ সরল বিশ্বাসে তার নিজের ও তার ভাতিজা এবং এলাকার মসজিদের ইমাম আনোয়ার হোসেনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাবত ৬ হাজার ৮শ টাকা প্রদান করেন। ২-৩ দিন পরে আসামি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের কপি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠায়। নূর মোহাম্মদসহ তার ভাতিজা ও এলাকার ইমাম সে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য ট্রাভেল্স এজেন্সীতে জমা দেয়। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে মো. মুজাহিদুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার নোয়াখালী হিসেবে রামকৃষ্ণ সরকারের নাম, সিল ও স্বাক্ষর সম্বলিত ছিল। ৩ অক্টোবর ট্রাভেলস্ এজেন্সী থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স গুলো নকল বলে জানায়।

 

পুলিশ আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি ও পলাতক আসামি মহররম আলী দীর্ঘদিন থেকে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের সহায়তায় ঢাকায় একটি ট্রাভেলস এজেন্সীর মাধ্যমে বিভিন্ন থানা ও জেলার অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ সুপার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তিত নাম ও সিল তৈরী করে জাল স্বাক্ষর এর মাধ্যমে নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তৈরী করে আসছে। প্রতারক চক্র নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তৈরীর কাজটি এতটাই নিখুঁত ভাবে করে যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স গুলো অনলাইনে থাকে, যার কারণে সহজে যে কেউ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স গুলো নকল হিসেবে ধরতে পারেনা।

 

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।