ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দুই ভায়ের বিরোধ, ঘর ভাঙচুর সহ গাছ কর্তনের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীতে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছে, এবং উভয় পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে। এমন সময় ছোট ভাই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে বড় ভাই মৃত মুরশিদ আলমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৬০) এর রান্না ঘর সহ আশপাশের গাছপালা কেটে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।

 

গত রবিবার (০৮ অক্টোবর) সকালে জেলার সদর উপজেলার অশ্বদীয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের মুরশিদ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, মুরশিদ আলমের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫), আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা আক্তার (৩৭) ও আনোয়ার হোসেনের ছেলে আবদুল্যাহ (১৮)।

 

দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার পরে আমিন দিয়ে পরিমাপ করে বাবার রেখে যাওয়া সকল সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা করা হয়। কিন্তু আমার ছোট ভাই তা না মেনে দীর্ঘদিন ধরে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতেছে, পরে কোন উপায় না পেয়ে আমি একটি মামলা করি এবং আমার ভাইও একটি মামলা করেন, দুইজনের মামলা চলমান অবস্থায় আমি আমার যায়গায় ঘরের কাজ করতেছিলাম, কোন কথা ছাড়া আমার ছোট ভাই বাহির থেকে অন্তত দুইশতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে আমার রান্নাঘর ভেঙে চুরমার করে পুকুরে ফেলে দেন এবং আশপাশে থাকা সকল ধরনের গাছ কেটে নষ্ট করে দেন।

 

দেলোয়ারের স্ত্রী ও পুত্রবধু অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ঘরে কোন পুরুষ মানুষ নাই, আমার শশুর অসুস্থ মানুষ, এই সুযোগে তারা আমাদের বাড়িতে বাহিরের লোকজন নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা চালায়, আমাদের রান্না করে খাওয়ার মত এখন কোন ঘরও নাই, আমার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায় তারা, এরা সব সময় আমার স্বামী বিদেশ থাকার কারণে বিভিন্ন সময় আমার দিকে খারাপ নজরে তাকায়। আমরা এদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।

 

অন্যদিকে নিজেদের উপর আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি আমাদের বড় ভাই। তার যেই দ্বায়িত্ব পালন করার কথা তিনি সেটা করতে পারেননি, আমারা প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার নিজের মত করে তিনি জায়গা ভাগ করে নেন, যেটা আমরা অন্য চার ভাই মানতে পারিনি, অনেকবার বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেও সবাই ব্যার্থ হন। তাকে আমাদের মা অনেকবার বুঝাতে চেষ্টা করছেন যে চার ভাই সমান ভাগে যায়গা ভাগ করে নিতে, কিন্তু তিনি তা অমান্য করে আমার ঘরের পিছনের যায়গায় রান্না ঘর দিয়ে দখল করে তার জায়গা বলে চালিয়ে যাচ্ছেন, আমাদের মা তার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে মার নামের যায়গা জমি তাকে বাদ দিয়ে বাকি তিন ভাইয়ের নামে লিখে দিয়েছেন।

 

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অশ্বদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে আমার পরিষদ একাধিকবার বসেছি, কিন্তু কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন তাই আমরা কোন সমাধান দিতে পারিনি। তাদের উভয়ের মামলা চলমান রয়েছে আদালতে। যেহেতু আদালতে মামলা রয়েছে সে জন্য আমরা আর কোন কিছু করার নেই। তারা আদালত থেকে সমাধান করে আসলে প্রয়োজনে আমরাসহ উভয়ের পক্ষে আদালতের রায় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত করে দিব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দুই ভায়ের বিরোধ, ঘর ভাঙচুর সহ গাছ কর্তনের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:২১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীতে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছে, এবং উভয় পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে। এমন সময় ছোট ভাই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে বড় ভাই মৃত মুরশিদ আলমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৬০) এর রান্না ঘর সহ আশপাশের গাছপালা কেটে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।

 

গত রবিবার (০৮ অক্টোবর) সকালে জেলার সদর উপজেলার অশ্বদীয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের মুরশিদ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, মুরশিদ আলমের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫), আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মর্জিনা আক্তার (৩৭) ও আনোয়ার হোসেনের ছেলে আবদুল্যাহ (১৮)।

 

দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার পরে আমিন দিয়ে পরিমাপ করে বাবার রেখে যাওয়া সকল সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা করা হয়। কিন্তু আমার ছোট ভাই তা না মেনে দীর্ঘদিন ধরে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতেছে, পরে কোন উপায় না পেয়ে আমি একটি মামলা করি এবং আমার ভাইও একটি মামলা করেন, দুইজনের মামলা চলমান অবস্থায় আমি আমার যায়গায় ঘরের কাজ করতেছিলাম, কোন কথা ছাড়া আমার ছোট ভাই বাহির থেকে অন্তত দুইশতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে আমার রান্নাঘর ভেঙে চুরমার করে পুকুরে ফেলে দেন এবং আশপাশে থাকা সকল ধরনের গাছ কেটে নষ্ট করে দেন।

 

দেলোয়ারের স্ত্রী ও পুত্রবধু অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ঘরে কোন পুরুষ মানুষ নাই, আমার শশুর অসুস্থ মানুষ, এই সুযোগে তারা আমাদের বাড়িতে বাহিরের লোকজন নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা চালায়, আমাদের রান্না করে খাওয়ার মত এখন কোন ঘরও নাই, আমার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায় তারা, এরা সব সময় আমার স্বামী বিদেশ থাকার কারণে বিভিন্ন সময় আমার দিকে খারাপ নজরে তাকায়। আমরা এদের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।

 

অন্যদিকে নিজেদের উপর আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি আমাদের বড় ভাই। তার যেই দ্বায়িত্ব পালন করার কথা তিনি সেটা করতে পারেননি, আমারা প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার নিজের মত করে তিনি জায়গা ভাগ করে নেন, যেটা আমরা অন্য চার ভাই মানতে পারিনি, অনেকবার বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেও সবাই ব্যার্থ হন। তাকে আমাদের মা অনেকবার বুঝাতে চেষ্টা করছেন যে চার ভাই সমান ভাগে যায়গা ভাগ করে নিতে, কিন্তু তিনি তা অমান্য করে আমার ঘরের পিছনের যায়গায় রান্না ঘর দিয়ে দখল করে তার জায়গা বলে চালিয়ে যাচ্ছেন, আমাদের মা তার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে মার নামের যায়গা জমি তাকে বাদ দিয়ে বাকি তিন ভাইয়ের নামে লিখে দিয়েছেন।

 

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অশ্বদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে আমার পরিষদ একাধিকবার বসেছি, কিন্তু কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন তাই আমরা কোন সমাধান দিতে পারিনি। তাদের উভয়ের মামলা চলমান রয়েছে আদালতে। যেহেতু আদালতে মামলা রয়েছে সে জন্য আমরা আর কোন কিছু করার নেই। তারা আদালত থেকে সমাধান করে আসলে প্রয়োজনে আমরাসহ উভয়ের পক্ষে আদালতের রায় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত করে দিব।