ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

কিশোরী অপহরণ, জাল টাকার কারবারী-ওয়ারেন্টের আসামীসহ গ্রেফতার-১০

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

নোয়াখালীর কবিরহাটে অপহরণ মামলা, জাল টাকার কারবারি ও ওয়ারেন্টের আসামীসহ ১০ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে কবিরহাট থানার পুলিশ। গ্রেফতার কৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

সূত্রে জানা যায় উপজেলার ঘোষবাগ থেকে এক কিশোরীকে (১৭) অপহরণের অভিযোগ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার কৃতরা হলেন, উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব লামছি গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে মো. সুজন মিয়া (২৯), উত্তর পূর্ব লামছি গ্রামের আবুল হাসেমরে ছেলে মো. ফারুক (২২) ও একই ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. ইব্রাহীম (৩০)।

 

এর আগে, একই দিন সকালের দিকে উপজেলার পূর্ব লামছি গ্রামের মজিদের হাট থেকে অপহরণকারীদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশ অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করেছে।

 

পুলিশ জানায়, গত রোববার ২২ অক্টোবর দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার লেদু কোম্পানীর হাট বাজার এলাকা থেকে অজ্ঞাত আসামিরা সিএনজি যোগে কিশারীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

 

অপর দিকে পলাতক জাল টাকা কারবারের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার একরাম হোসেন সজিব (২৩) উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে।

 

এর আগে, একই দিন সকালের দিকে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের মুকবুল চৌধুরীহাট থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার ২৫ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের জনতা বাজারে মোটরসাইকেল নিয়ে দুই যুবক বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জনতা বাজারে আসে। ওই সময় তারা এক দোকান থেকে জাল টাকা দিয়ে সিগারেট কিনতে চেষ্টা করেন। কিন্ত এক হাজার টাকার ভাংতি না পেয়ে চলে যান। পরবর্তীতে এক হাজার টাকার একটি জাল নোট দিয়ে একই বাজারের বাবুলের তেল দোকান থেকে মোটরসাইকেলের জন্য ২ লিটার তেল ক্রয় করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেল দোকানদার এক হাজার টাকার নোটটি জাল বলে নিশ্চিত হলে তাৎক্ষণিক নুর ইসলাম নামে এক জাল টাকার কারবারিকে আটক করে। পরে তাকে তল্লাশি করে এক হাজার টাকার ১৫টি জাল নোট উদ্ধার করে। ওই সময় মোটরসাইকেলে থাকা একই উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে একরাম হোসেন সজিব পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জাল নোট গুলো জব্দ করে জাল টাকার কারবারিকে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর পুলিশ জাল টাকা কারবারের মূল হোতা সজিবকে গ্রেফতার করে।

 

অন্য দিকে কবিরহাটা থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত ৫ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার কৃতরা হলেন, ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি বেলাল হোসেন, নুর ইসলাম, দিদার হোসেন, মোঃ সেলিম ও কাজী নজরুল ইসলাম।

 

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে। জাল টাকার মামলায় দুই কারবারি, অপহরণ মামলায় তিন অভিযুক্ত ও বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত পাঁচ আসামী সহ মোট দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা মামলা ও ওয়ারেন্ট তামিল করে বৃহস্পতিবার দুপুরে সবাইকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

কিশোরী অপহরণ, জাল টাকার কারবারী-ওয়ারেন্টের আসামীসহ গ্রেফতার-১০

আপডেট সময় : ০৩:০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

নোয়াখালীর কবিরহাটে অপহরণ মামলা, জাল টাকার কারবারি ও ওয়ারেন্টের আসামীসহ ১০ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে কবিরহাট থানার পুলিশ। গ্রেফতার কৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

সূত্রে জানা যায় উপজেলার ঘোষবাগ থেকে এক কিশোরীকে (১৭) অপহরণের অভিযোগ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার কৃতরা হলেন, উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব লামছি গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে মো. সুজন মিয়া (২৯), উত্তর পূর্ব লামছি গ্রামের আবুল হাসেমরে ছেলে মো. ফারুক (২২) ও একই ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. ইব্রাহীম (৩০)।

 

এর আগে, একই দিন সকালের দিকে উপজেলার পূর্ব লামছি গ্রামের মজিদের হাট থেকে অপহরণকারীদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশ অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করেছে।

 

পুলিশ জানায়, গত রোববার ২২ অক্টোবর দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার লেদু কোম্পানীর হাট বাজার এলাকা থেকে অজ্ঞাত আসামিরা সিএনজি যোগে কিশারীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

 

অপর দিকে পলাতক জাল টাকা কারবারের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার একরাম হোসেন সজিব (২৩) উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে।

 

এর আগে, একই দিন সকালের দিকে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের মুকবুল চৌধুরীহাট থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার ২৫ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের জনতা বাজারে মোটরসাইকেল নিয়ে দুই যুবক বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জনতা বাজারে আসে। ওই সময় তারা এক দোকান থেকে জাল টাকা দিয়ে সিগারেট কিনতে চেষ্টা করেন। কিন্ত এক হাজার টাকার ভাংতি না পেয়ে চলে যান। পরবর্তীতে এক হাজার টাকার একটি জাল নোট দিয়ে একই বাজারের বাবুলের তেল দোকান থেকে মোটরসাইকেলের জন্য ২ লিটার তেল ক্রয় করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেল দোকানদার এক হাজার টাকার নোটটি জাল বলে নিশ্চিত হলে তাৎক্ষণিক নুর ইসলাম নামে এক জাল টাকার কারবারিকে আটক করে। পরে তাকে তল্লাশি করে এক হাজার টাকার ১৫টি জাল নোট উদ্ধার করে। ওই সময় মোটরসাইকেলে থাকা একই উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে একরাম হোসেন সজিব পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জাল নোট গুলো জব্দ করে জাল টাকার কারবারিকে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর পুলিশ জাল টাকা কারবারের মূল হোতা সজিবকে গ্রেফতার করে।

 

অন্য দিকে কবিরহাটা থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত ৫ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার কৃতরা হলেন, ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি বেলাল হোসেন, নুর ইসলাম, দিদার হোসেন, মোঃ সেলিম ও কাজী নজরুল ইসলাম।

 

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে। জাল টাকার মামলায় দুই কারবারি, অপহরণ মামলায় তিন অভিযুক্ত ও বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত পাঁচ আসামী সহ মোট দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা মামলা ও ওয়ারেন্ট তামিল করে বৃহস্পতিবার দুপুরে সবাইকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।