ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম, পিটুনি দিয়ে তরুণকে হত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাটখিল প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ হত্যাকান্ডের কোন কারণ জানাতে পারেনি।

 

রোববার (২৬ মে) ভোর রাতের দিকে উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহত আহাদ আহমেদ ওরফে হাম্বা (২০) উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারির বাড়ির বাবর হোসেনের ছেলে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শক্রতার জের ধরে ভোর রাতের দিকে নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ওমর ফারুক পাটোয়ারীকে তার ভাড়া বাসা মাদরাসা আলা পাঠান বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। খবর পেয়ে মেম্বারের অনুসারী ও স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আহাদের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায়। একপর্যায়ে তাকে তার বাড়িতে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

 

নোয়াখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. মানিক বলেন, আহাদ আগে থেকেই মাদকাসক্ত ও বেপরোয়া ছিল। রোববার ভোর রাতের দিকে সে মেম্বারের ঘরের দরজায় হাত দিয়ে টোকা দেয়। এরপর মেম্বার ফারুক দরজা খুলতেই তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী আহাদের বাড়িতে গেলে সেখানে সে ছালেহ আহমদ নামে আরও এক ব্যক্তিকে জখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আহাদের বাড়িতে তাকে ধরে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুত্বর আহত মেম্বারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

 

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, ফারুক মেম্বারের ঘরে গিয়ে আহাদ নামে এক ছেলে তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে। এক সময় গণপিটুনির মত অবস্থায় সে মারা যায়।

 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরো বলেন, নিহত আহাদ শরীফ বাহিনীর সদস্য ছিল। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তবে তার বিরুদ্ধে থানায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা ছিলনা। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম, পিটুনি দিয়ে তরুণকে হত্যা

আপডেট সময় : ১২:০৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

চাটখিল প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ হত্যাকান্ডের কোন কারণ জানাতে পারেনি।

 

রোববার (২৬ মে) ভোর রাতের দিকে উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহত আহাদ আহমেদ ওরফে হাম্বা (২০) উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারির বাড়ির বাবর হোসেনের ছেলে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শক্রতার জের ধরে ভোর রাতের দিকে নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ওমর ফারুক পাটোয়ারীকে তার ভাড়া বাসা মাদরাসা আলা পাঠান বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। খবর পেয়ে মেম্বারের অনুসারী ও স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আহাদের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায়। একপর্যায়ে তাকে তার বাড়িতে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

 

নোয়াখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. মানিক বলেন, আহাদ আগে থেকেই মাদকাসক্ত ও বেপরোয়া ছিল। রোববার ভোর রাতের দিকে সে মেম্বারের ঘরের দরজায় হাত দিয়ে টোকা দেয়। এরপর মেম্বার ফারুক দরজা খুলতেই তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী আহাদের বাড়িতে গেলে সেখানে সে ছালেহ আহমদ নামে আরও এক ব্যক্তিকে জখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আহাদের বাড়িতে তাকে ধরে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুত্বর আহত মেম্বারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

 

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, ফারুক মেম্বারের ঘরে গিয়ে আহাদ নামে এক ছেলে তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করে। এক সময় গণপিটুনির মত অবস্থায় সে মারা যায়।

 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরো বলেন, নিহত আহাদ শরীফ বাহিনীর সদস্য ছিল। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তবে তার বিরুদ্ধে থানায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা ছিলনা। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।