নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নুন আন্তে পান্তা পুরায়, থাকার ঘর পাবে কই, এমনি একটি করুন কাহিনির সাথে প্রতিদিন লড়ে যাচ্ছেন নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নস্থ দক্ষিণ আলিপুর গ্রামের এনাম মেম্বারের বাড়ির মৃত এনামুল হকের ছেলে মানষিক প্রতিবন্ধী মহিন উদ্দিন (৪০)।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অন্যের ঘরের সাথে ঠেক লাগিয়ে ভাঙাচুরা একটা ঘরে জীবনের মায়া ত্যাগ করে তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন এই প্রতিবন্ধী মানুষটি। বাবা ছিলেন একজন সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি। মৃত বাবার নাম ডাক এবং সম্মানের দিকে তাকিয়ে ভিক্ষা করেও ক্ষেতে পারছেনা না এই প্রতিবন্ধী যুবক অন্যদিকে মানষিক সমস্যা এবং কানে কম শুনার কারণে তাকে কাজেও নেয়না কোন ব্যাক্তি। তাই বৌ বাচ্চা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এই মহিন উদ্দিন।
চলছে বর্ষা মৌসুম একটু বৃষ্টি হলে ঘরের মধ্যে পানি পড়ার কারণে সব কিছু ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। ঝরে ঝরে পড়ছে ঘরের চালা এবং চারদিকের ব্যাড়া। টাকার অভাবে নতুন ঘরতো দূরের কথা এই ঘরটাও মেরামত করতে পারছেনা।
মহিন উদ্দিন মনের আক্ষেপ নিয়ে বলেন, এমন পরিস্থিতি এলাকার সবাই দেখার পরেও আজ পর্যন্ত তার পাশে কেউ এসে দাঁড়ায়নি, এবং কোন মেম্বার বা চেয়ারম্যানের কাছে থেকেও কোন সাহায্য সহযোগিতা পায়নি সে, তার নামে একটা প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডও করে দেয়নি কোন জনপ্রতিনিধি।
মহিন উদ্দিনের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী একজন বয়রা মানুষ, অন্যদিকে তার মাথাতেও সমস্যা আছে, আমি ৩টি বাচ্চা নিয়ে কি করবো এবং কোথায় গিয়ে মাথা লুকাবো কোন কিছু বুঝতে পারছিনা, আমি চাই দেশের বৃত্তবান ও স্থানীয় এমপি সহ সরকার যদি আমাদের একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে অন্তত খেয়ে না খেয়ে নিরাপদ ভাবে থাকতে পারবো।
ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর মেম্বার বলেন, আসলে আমাদের এলাকার এই ছেলেটি খুব অসহায়, তার বৌ বাচ্চা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে, তার ঘরের দিকে তাকালে খুব খারাপ লাগে, এমন ঘরে অনেক মানুষ গরুও রাখেনা, আরো ভালো এবং মজবুত ঘরে গরু ছাগল লালন পালন করে থাকেন। তাই বলছি আমি চেষ্টা করবো তার পাশে যতটুকু সম্ভব দাঁড়াতে, তার সাথে আরো বলবো দেশের বৃত্তবানরা এই অসহায় পরিবারটির পাশে এসে দাঁড়াতে।