কবিরহাটে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৪ পালিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪
কবিরহাটে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৪ পালিত

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি।’ এই প্রতিপাদ্যে সারাদেশের ন্যায় কবিরহাট উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, নোয়াখালী কর্তৃক আয়োজিত বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২৪ পালন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২ঘটিকায় কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের প্রধান গেইটে এক র‌্যালির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সভাকক্ষে এক আলোচনাসভা ও কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় সকল ক্যাগরি হতে ১ জন করে শ্রেষ্ট নির্বাচন করা হয়। শ্রেষ্ট উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো.ইব্রাহিম খলিল উল্যাহ নির্বাচিত হয়েছেন। শ্রেষ্ট পরিবার কল্যাণ পরিদর্শকা নির্বাচিত হয়েছেন, সুন্দরপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের তাসলিমা আক্তার। নরোত্তমপুর ইউনিয়ন শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দীন, বাটইয়া ইউনিয়ন শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা সহকারী ফাতেমা আক্তার, শ্রেষ্ঠ সেচ্ছাসেবীদের সম্মাননা সনদ ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।

 

মেডিকেল অফিসার মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনরুদ্ধ সাহা’র সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোওয়ার উদ্দিন।

 

কবিরহাট পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এফপিআই দিপক চন্দ্রপাল ও সুন্দলপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. ইব্রাহিম খলিল উল্যাহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসাদুল হক খান, ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল খান প্রমূখ।

 

এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির তৎকালীন গভর্নিং কাউন্সিল এই দিনটি পালন করার কথা বিবেচনা করেন। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথম এই দিনটি পালন করা হয়। প্রথম বছরই বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশ এই দিনটি পালন করে। তারপর থেকেই সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১১ জুলাই পালন করা হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হচ্ছে।

 

বক্তারা আরো বলেন, পরিবার পরিকল্পনা সেবাগ্রহীতার হার বৃদ্ধি পেলে মা ও শিশুমৃত্যু কমে, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ রোধ হয়। সন্তান কম থাকলে স্বল্প আয়েও আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকা যায়। পরিকল্পিত পরিবার খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মানবাধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে পরিবার পরিকল্পনার বিকল্প নেই।

 

পরে কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা তাসলিমা আক্তার, সুন্দলপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. ইব্রাহিম খলিল উল্যাহ, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক জামাল উদ্দিন, পরিবার কল্যাণ সহকারি ফাতেমা আক্তার ও সেচ্চাসেবি নুরুন্নাহারকে শ্রেষ্টত্ব পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ধানসিঁড়িতে ১০ সয্য বিশিষ্ট শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে একজন আয়া, একজন পিয়ন ও একজন নাইট গার্ডের বেতনভাতাধী পরিষদ এবং পরিবার কল্যাণে স্বাস্থ্য কর্মীদের সকল কাজে সহযোগিতা করার জন্য ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল খাঁনকে শ্রেষ্টত্ব পুরস্কার ও সনদ প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোওয়ার উদ্দিন।

 

উল্লেখ্য বাংলাদেশের মধ্যে নোয়াখালীর কবিরহাটই একমাত্র উপজেলা, যেখানে জিরো হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু আছে। যারফলে এ উপজেলায় মা ও শিশু মৃত্যুর হার অনেকটাই কমেছে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০