ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের প্রথম ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৭:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০ ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিবেদক:

প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের ইতিহাসে প্রথম ভার্চুয়াল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১৬ হাজার ২৭৬ কোটি তিন লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত টাকার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৪ হাজার ৪০১ কোটি ৫২ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা (ঋণ) থেকে ব্যয় হবে এক হাজার ৮৮১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সের যুক্ত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো-:

তিন হাজার ১২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম এবং প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প তৃতীয় পর্যায়ে মোট ব্যয় ছয় হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা।

বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় এক হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন করা হয় এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ সহায়তায় কভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্ড অ্যান্ড প্যানডেমিক রেসপন্স নামে এক হাজার ১২৭ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।

এছাড়া ৩৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনগার প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্প সংশোধনের জন্য সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এবং এক হাজার ২৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্প সংশোধনের জন্য একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা’ প্রকল্প ও ‘মানসম্পন্ন মসলা বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণ’ প্রকল্প এ ভার্চুয়াল সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার ১, ২, ৬-৮, এবং ৬-৮ (এক্সটেনশন) এর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৫ কোটি টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের প্রথম ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৪:২৭:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০

প্রতিবেদক:

প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের ইতিহাসে প্রথম ভার্চুয়াল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১৬ হাজার ২৭৬ কোটি তিন লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত টাকার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৪ হাজার ৪০১ কোটি ৫২ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা (ঋণ) থেকে ব্যয় হবে এক হাজার ৮৮১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সের যুক্ত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো-:

তিন হাজার ১২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম এবং প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প তৃতীয় পর্যায়ে মোট ব্যয় ছয় হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা।

বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় এক হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন করা হয় এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ সহায়তায় কভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্ড অ্যান্ড প্যানডেমিক রেসপন্স নামে এক হাজার ১২৭ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।

এছাড়া ৩৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনগার প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্প সংশোধনের জন্য সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এবং এক হাজার ২৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্প সংশোধনের জন্য একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা’ প্রকল্প ও ‘মানসম্পন্ন মসলা বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণ’ প্রকল্প এ ভার্চুয়াল সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার ১, ২, ৬-৮, এবং ৬-৮ (এক্সটেনশন) এর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৫ কোটি টাকা।