ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমে হবে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যেটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। তবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি তাদের পূর্বের পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি হবে বলে মনে করছে ঋণদাতা এ প্রতিষ্ঠানটি।

 

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ধীরগতির কারণ উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে উৎপাদন প্রবৃদ্ধি সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩/২৪-এর ৫ দশমিক ২ শতাংশ ছিল। চলতি অর্থবছরে ৩ দশমিক ২ থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

বুধবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে থাকবে।

 

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, মধ্যবর্তী পয়েন্ট হবে ৪ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বিশ্বব্যাংক এপ্রিলে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।

 

বর্তমান অর্থবছরের বাজেটে গত আওয়ামী লীগ সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সেই হিসাবে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস সরকারি লক্ষ্যের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী কমে গেলে তা হবে করোনা মহামারির পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

 

সংস্থাটি বলছে, প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণের জন্য বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কিছু কারণ দায়ী। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নির্ভরযোগ্য তথ্য বা পরিসংখ্যানের অভাব এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে অনিশ্চয়তা এসেছে। স্বল্পমেয়াদে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ এবং শিল্প প্রবৃদ্ধিকে স্তব্ধ রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক বন্যা কৃষি উৎপাদনকে আরো পিছিয়ে দেবে। মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদে, আর্থিক খাতে সমালোচনামূলক সংস্কার, অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধি, ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির ফলে প্রবৃদ্ধি ধীরে ধীরে বাড়বে বলে আশা করছে বিশ্বব্যাংক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমে হবে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের

আপডেট সময় : ০৮:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যেটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। তবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি তাদের পূর্বের পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি হবে বলে মনে করছে ঋণদাতা এ প্রতিষ্ঠানটি।

 

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ধীরগতির কারণ উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে উৎপাদন প্রবৃদ্ধি সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩/২৪-এর ৫ দশমিক ২ শতাংশ ছিল। চলতি অর্থবছরে ৩ দশমিক ২ থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

বুধবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে থাকবে।

 

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, মধ্যবর্তী পয়েন্ট হবে ৪ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বিশ্বব্যাংক এপ্রিলে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।

 

বর্তমান অর্থবছরের বাজেটে গত আওয়ামী লীগ সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সেই হিসাবে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস সরকারি লক্ষ্যের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী কমে গেলে তা হবে করোনা মহামারির পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

 

সংস্থাটি বলছে, প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণের জন্য বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কিছু কারণ দায়ী। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নির্ভরযোগ্য তথ্য বা পরিসংখ্যানের অভাব এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে অনিশ্চয়তা এসেছে। স্বল্পমেয়াদে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ এবং শিল্প প্রবৃদ্ধিকে স্তব্ধ রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক বন্যা কৃষি উৎপাদনকে আরো পিছিয়ে দেবে। মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদে, আর্থিক খাতে সমালোচনামূলক সংস্কার, অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধি, ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির ফলে প্রবৃদ্ধি ধীরে ধীরে বাড়বে বলে আশা করছে বিশ্বব্যাংক।