ঢাকা ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

আবারও নীতি সুদহার বৃদ্ধির ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় আবারও নীতি সুদহার (পলিসি রেট) বৃদ্ধি করার ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) নীতি সুদহার বিদ্যমান শতকরা ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ হতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে কার্যকর হবে।

 

গত বছরের মার্চ থেকে দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শের সঙ্গে মিল রেখে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর নীতি সুদহার ৯ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্বে আসার পর এ নিয়ে তৃতীয়বারে মতো বাড়ানো হলো। এর আগে প্রথমে সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছিল।

 

নতুন নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুসৃত সংকোচনমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ওভারনাইট রেপোনীতি সুদহার বিদ্যমান শতকরা ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ হতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হলো।

 

এ ছাড়া ব্যাংকসমূহের তারল্য ব্যবস্থাপনা অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে পরিচালন করার লক্ষ্যে নীতি সুদহার করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ)-এর ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুদহার শতকরা ১১ শতাংশ হতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। আর নীতি সুদহার করিডোরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) শতকরা ৮ শতাংশ হতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃ্দ্ধি করে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ সিদ্ধান্ত বুধবার (২৭ অক্টোবর) হতে কার্যকর হবে।

 

বিবিএস-এর তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে দাঁড়ানোর পর চলতি বছরের জুলাইয়ে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়। যা ২০১০-১১ অর্থবছরের পর সর্বোচ্চ। বিগত সরকার গত অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। যদিও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল দেশে।

 

অন্যদিকে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২ সালের মে থেকে বেশ কয়েকবার সংকোচনমূলক নীতি অনুসরণ করছে। বাড়ানো হচ্ছে পলিসি রেট। নীতি সুদহার বাড়ানোর ফলে ব্যাংক ঋণের সুদ বেড়েছে। এতে ঋণ নেওয়া আগের চেয়ে ব্যয়বহুল হয়ে পড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

আবারও নীতি সুদহার বৃদ্ধির ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

আপডেট সময় : ০৫:২০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় আবারও নীতি সুদহার (পলিসি রেট) বৃদ্ধি করার ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) নীতি সুদহার বিদ্যমান শতকরা ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ হতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে কার্যকর হবে।

 

গত বছরের মার্চ থেকে দেশের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শের সঙ্গে মিল রেখে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর নীতি সুদহার ৯ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্বে আসার পর এ নিয়ে তৃতীয়বারে মতো বাড়ানো হলো। এর আগে প্রথমে সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছিল।

 

নতুন নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুসৃত সংকোচনমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ওভারনাইট রেপোনীতি সুদহার বিদ্যমান শতকরা ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ হতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হলো।

 

এ ছাড়া ব্যাংকসমূহের তারল্য ব্যবস্থাপনা অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে পরিচালন করার লক্ষ্যে নীতি সুদহার করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ)-এর ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুদহার শতকরা ১১ শতাংশ হতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। আর নীতি সুদহার করিডোরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) শতকরা ৮ শতাংশ হতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃ্দ্ধি করে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ সিদ্ধান্ত বুধবার (২৭ অক্টোবর) হতে কার্যকর হবে।

 

বিবিএস-এর তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে দাঁড়ানোর পর চলতি বছরের জুলাইয়ে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়। যা ২০১০-১১ অর্থবছরের পর সর্বোচ্চ। বিগত সরকার গত অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। যদিও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল দেশে।

 

অন্যদিকে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২ সালের মে থেকে বেশ কয়েকবার সংকোচনমূলক নীতি অনুসরণ করছে। বাড়ানো হচ্ছে পলিসি রেট। নীতি সুদহার বাড়ানোর ফলে ব্যাংক ঋণের সুদ বেড়েছে। এতে ঋণ নেওয়া আগের চেয়ে ব্যয়বহুল হয়ে পড়ছে।