ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

রাত পোহালেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত স্মৃতিসৌধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৫৪তম মহান বিজয় দিবস। প্রতি বছর এই দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে একত্রিত হন হাজারো মানুষ। এবারো সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে পুরোপুরি সাজানো হয়েছে।

 

দ্বাদশ ঘণ্টার মধ্যে, দিবসটির প্রথম প্রহরে, রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদেশি অতিথিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধান ফটক খুলে দেওয়া হবে সর্বসাধারণের জন্য। দেশের বিভিন্ন কোণ থেকে জনসাধারণ শ্রদ্ধার সঙ্গে শহিদ বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন।

 

দিবসটি উপলক্ষে স্মৃতিসৌধ চত্বরের আঙিনা সজ্জিত করেছে শোভাযাত্রার রঙে, ফুলের সজীবতায় আর নবজীবনের স্পর্শে। স্মৃতিসৌধ চত্বরের বিভিন্ন সড়ক ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। নতুন ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে, সড়কবাতির লোহার পাইপগুলো নতুন করে রঙ করা হয়েছে আর সৌধের দেয়ালে আলোকসজ্জা যোগ করা হয়েছে। শতাধিক শ্রমিক ও কর্মচারী মাসব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রমে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে পরিচ্ছন্ন ও সজ্জিত করেছেন।

 

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সৌধ চত্বরে সজ্জা:

এ বছর জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৫৪তম বিজয় দিবসের আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকাসহ আশপাশের এলাকা, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন সুষ্ঠু থাকে, সে জন্য পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা, চেকপোস্ট এবং গোয়েন্দা নজরদারি ব্যবস্থাকে আরো জোরদার করা হয়েছে।

 

জাতীয় স্মৃতিসৌধের এলাকা চত্বরের নিরাপত্তার পাশাপাশি আশপাশের এলাকাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। যেসব স্থানে বড় ধরনের জনসমাগম হবে, সেসব স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষভাবে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এসব পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো, যেন জনসাধারণ সহজেই এবং নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।

 

এছাড়া সাভার উপজেলা প্রশাসন এবং গণপূর্ত অধিদফতরের উদ্যোগে স্মৃতিসৌধ চত্বর সাজানো হয়েছে যথাযথভাবে। সৌধের সড়ক-মহাসড়ক, সড়ক বিভাজক এবং রাস্তা ঘাটসহ পুরো এলাকা নতুন করে সাজানো হয়েছে, যেন এটি আরো আকর্ষণীয় ও সুসজ্জিত হয়ে উঠে। বিশেষভাবে বিজয় দিবসের মাহাত্ম্য উদযাপন করার জন্য স্মৃতিসৌধ চত্বরের বিভিন্ন স্থানে রঙিন বাতি, আলোকসজ্জা এবং তোরণ স্থাপন করা হয়েছে। এসব সজ্জার মাধ্যমে রাতের অন্ধকারেও স্মৃতিসৌধ চত্বর আলোকিত হয়ে উঠবে এবং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষদের জন্য এক ব্যতিক্রমী পরিবেশ তৈরি হবে।

 

এ বছরের সৌন্দর্যবর্ধন কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নতুন করে রাস্তা সংস্কার, সড়ক বিভাজক ও সড়ক বাতিগুলোর পুনঃরংকরণ এবং নতুন ফুলের চারা রোপণ। কাজের একটি বড় অংশ ছিল পুরো সৌধ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, যেন স্মৃতিসৌধকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা যায়। পাশাপাশি সৌধের মিনার থেকে শুরু করে পায়ে চলার পথ পর্যন্ত সব জায়গা পরিষ্কার ও সাজানো হয়েছে।

 

স্বাধীনতার স্মৃতি এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা:

১৯৭২ সালে সাভারের নবীনগরে ১০৮ একর ভূমির ওপর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধের। এই স্মৃতিসৌধ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের শহিদদের স্মরণে নির্মিত। স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

 

আজো সেই মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে আসেন রাষ্ট্রপতি, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা, মুক্তিযোদ্ধারা, দেশের জনগণ এবং তরুণ প্রজন্ম। তারা সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি সম্মান প্রকাশ করেন।

বিজয়ের চেতনা:

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে এই দিনটি শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা ও বিজয়ের এক দৃঢ় প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। দিনটি উদযাপনে আয়োজন করা হয়েছে বিজয় মেলা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসব আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব ও শহিদদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে আরো বেশি জানবে এবং তাদের সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসে অনুপ্রাণিত হবে।

 

এবারের বিজয় দিবসকে ঘিরে সাভার এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে নেয়া হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি। স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী নিশ্চিত করেছে, জনগণ যেন নির্বিঘ্নে, শান্তিপূর্ণভাবে বিজয় দিবস উদযাপন করতে পারে।

আন্তর্জাতিক সম্মাননা:

বিজয় দিবসে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং শহিদদের প্রতি তাদের সম্মান প্রদর্শন করবেন। একইসঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা এবং আন্তর্জাতিক অতিথিরাও যোগদান করবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়টি আন্তর্জাতিক মহলে আরো সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

রাত পোহালেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত স্মৃতিসৌধ

আপডেট সময় : ১০:৫১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

৫৪তম মহান বিজয় দিবস। প্রতি বছর এই দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে একত্রিত হন হাজারো মানুষ। এবারো সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে পুরোপুরি সাজানো হয়েছে।

 

দ্বাদশ ঘণ্টার মধ্যে, দিবসটির প্রথম প্রহরে, রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদেশি অতিথিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধান ফটক খুলে দেওয়া হবে সর্বসাধারণের জন্য। দেশের বিভিন্ন কোণ থেকে জনসাধারণ শ্রদ্ধার সঙ্গে শহিদ বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন।

 

দিবসটি উপলক্ষে স্মৃতিসৌধ চত্বরের আঙিনা সজ্জিত করেছে শোভাযাত্রার রঙে, ফুলের সজীবতায় আর নবজীবনের স্পর্শে। স্মৃতিসৌধ চত্বরের বিভিন্ন সড়ক ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। নতুন ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে, সড়কবাতির লোহার পাইপগুলো নতুন করে রঙ করা হয়েছে আর সৌধের দেয়ালে আলোকসজ্জা যোগ করা হয়েছে। শতাধিক শ্রমিক ও কর্মচারী মাসব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রমে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে পরিচ্ছন্ন ও সজ্জিত করেছেন।

 

নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সৌধ চত্বরে সজ্জা:

এ বছর জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৫৪তম বিজয় দিবসের আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকাসহ আশপাশের এলাকা, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন সুষ্ঠু থাকে, সে জন্য পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা, চেকপোস্ট এবং গোয়েন্দা নজরদারি ব্যবস্থাকে আরো জোরদার করা হয়েছে।

 

জাতীয় স্মৃতিসৌধের এলাকা চত্বরের নিরাপত্তার পাশাপাশি আশপাশের এলাকাগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। যেসব স্থানে বড় ধরনের জনসমাগম হবে, সেসব স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষভাবে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এসব পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো, যেন জনসাধারণ সহজেই এবং নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।

 

এছাড়া সাভার উপজেলা প্রশাসন এবং গণপূর্ত অধিদফতরের উদ্যোগে স্মৃতিসৌধ চত্বর সাজানো হয়েছে যথাযথভাবে। সৌধের সড়ক-মহাসড়ক, সড়ক বিভাজক এবং রাস্তা ঘাটসহ পুরো এলাকা নতুন করে সাজানো হয়েছে, যেন এটি আরো আকর্ষণীয় ও সুসজ্জিত হয়ে উঠে। বিশেষভাবে বিজয় দিবসের মাহাত্ম্য উদযাপন করার জন্য স্মৃতিসৌধ চত্বরের বিভিন্ন স্থানে রঙিন বাতি, আলোকসজ্জা এবং তোরণ স্থাপন করা হয়েছে। এসব সজ্জার মাধ্যমে রাতের অন্ধকারেও স্মৃতিসৌধ চত্বর আলোকিত হয়ে উঠবে এবং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষদের জন্য এক ব্যতিক্রমী পরিবেশ তৈরি হবে।

 

এ বছরের সৌন্দর্যবর্ধন কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নতুন করে রাস্তা সংস্কার, সড়ক বিভাজক ও সড়ক বাতিগুলোর পুনঃরংকরণ এবং নতুন ফুলের চারা রোপণ। কাজের একটি বড় অংশ ছিল পুরো সৌধ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, যেন স্মৃতিসৌধকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা যায়। পাশাপাশি সৌধের মিনার থেকে শুরু করে পায়ে চলার পথ পর্যন্ত সব জায়গা পরিষ্কার ও সাজানো হয়েছে।

 

স্বাধীনতার স্মৃতি এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা:

১৯৭২ সালে সাভারের নবীনগরে ১০৮ একর ভূমির ওপর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধের। এই স্মৃতিসৌধ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের শহিদদের স্মরণে নির্মিত। স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

 

আজো সেই মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে আসেন রাষ্ট্রপতি, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা, মুক্তিযোদ্ধারা, দেশের জনগণ এবং তরুণ প্রজন্ম। তারা সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি সম্মান প্রকাশ করেন।

বিজয়ের চেতনা:

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে এই দিনটি শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা ও বিজয়ের এক দৃঢ় প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। দিনটি উদযাপনে আয়োজন করা হয়েছে বিজয় মেলা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসব আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব ও শহিদদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে আরো বেশি জানবে এবং তাদের সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসে অনুপ্রাণিত হবে।

 

এবারের বিজয় দিবসকে ঘিরে সাভার এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে নেয়া হয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি। স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী নিশ্চিত করেছে, জনগণ যেন নির্বিঘ্নে, শান্তিপূর্ণভাবে বিজয় দিবস উদযাপন করতে পারে।

আন্তর্জাতিক সম্মাননা:

বিজয় দিবসে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং শহিদদের প্রতি তাদের সম্মান প্রদর্শন করবেন। একইসঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা এবং আন্তর্জাতিক অতিথিরাও যোগদান করবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়টি আন্তর্জাতিক মহলে আরো সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।