ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

রামগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাটি কাঁটার নারী শ্রমীক নিয়োগে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুন ২০২০ ৩৬০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ

রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ”র বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের(আর ই আর এমপি প্রকল্পের) অধীনে মাটি কাঁটার কাজে নারী শ্রমিক নিয়োগে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। টাকা দিয়েও চাকুরি না পায়নি বলে তিনজন অসহায় নারী। এই বিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল হাসান একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছেন বলে জানান তিনি।

ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকরা ২ জুন মঙ্গলবার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, রাস্তায় মাটি কাঁটার কাজে ৪ বছর মেয়াদি চুক্তি ভিত্তিক নারী শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে ইছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ১৭ জন নারী শ্রমিকে কাজে নিয়োগের কথা বলে ১০ হাজার টাকা আদায় করে । টাকা দিয়ে চাকুরী পায়নি ফাতেমা বেগম, কাজরী বেগম, সংগীতা রানী দাস ও হোসনে আরা বেগম।

নারী শ্রমিক সংগীতা রানী দাস অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান তার কাছে টাকা চাননি কিন্তু তাকে র্ধম ত্যাগ করে মুসলিম হওয়ার জন্য বলেছেন। মুসলি হলে তার আর কোনো টাকা লাগবে না। তাকে চাকুরী দেওয়া হবে বলেন ইছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদ উল্যা।
এদের মধ্যে ১০ জনকে নিয়োগ দেয় এলজিআরডি বাকী সাত জনকে নিয়োগ না দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে চেয়ারম্যান বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে।

অভিযোগকারী নারী শ্রমিকরা বলেন,চেয়ারম্যান রাস্তায় মাটি কাঁটার কাজ দিবে বলে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে কিন্তু তিনি আমাদের চাকুরি দেয়নি। যারা আমাদের থেকে বেশি টাকা দিয়েছে তাদেরকে চাকুরী দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন হোসনে আরা বেগম।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা এলজিআরডি অফিস আমার কাছে তালিকা চাইলে আমি ১৭ জনের তালিকা দেই ১০ জন নিয়োগ পায়। বাকী ৭ জন নিয়োগ না পাওয়া ক্ষোভে এ মিথ্যা আভিযোগ করে। এলাকায় তার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ কাজ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

রামগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল হাসান বলেন টাকা লেনদেনের বিষয়ে আমাদের অফিসের কেউ জড়িত নয়। স্থানীয় ইছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আসছে। আমি এ বিষয়ে উপ-সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম কে দিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওযা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

রামগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাটি কাঁটার নারী শ্রমীক নিয়োগে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:২১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুন ২০২০

লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ

রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ”র বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের(আর ই আর এমপি প্রকল্পের) অধীনে মাটি কাঁটার কাজে নারী শ্রমিক নিয়োগে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। টাকা দিয়েও চাকুরি না পায়নি বলে তিনজন অসহায় নারী। এই বিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল হাসান একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছেন বলে জানান তিনি।

ভুক্তভোগী নারী শ্রমিকরা ২ জুন মঙ্গলবার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, রাস্তায় মাটি কাঁটার কাজে ৪ বছর মেয়াদি চুক্তি ভিত্তিক নারী শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে ইছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ১৭ জন নারী শ্রমিকে কাজে নিয়োগের কথা বলে ১০ হাজার টাকা আদায় করে । টাকা দিয়ে চাকুরী পায়নি ফাতেমা বেগম, কাজরী বেগম, সংগীতা রানী দাস ও হোসনে আরা বেগম।

নারী শ্রমিক সংগীতা রানী দাস অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান তার কাছে টাকা চাননি কিন্তু তাকে র্ধম ত্যাগ করে মুসলিম হওয়ার জন্য বলেছেন। মুসলি হলে তার আর কোনো টাকা লাগবে না। তাকে চাকুরী দেওয়া হবে বলেন ইছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদ উল্যা।
এদের মধ্যে ১০ জনকে নিয়োগ দেয় এলজিআরডি বাকী সাত জনকে নিয়োগ না দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে চেয়ারম্যান বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে।

অভিযোগকারী নারী শ্রমিকরা বলেন,চেয়ারম্যান রাস্তায় মাটি কাঁটার কাজ দিবে বলে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে কিন্তু তিনি আমাদের চাকুরি দেয়নি। যারা আমাদের থেকে বেশি টাকা দিয়েছে তাদেরকে চাকুরী দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন হোসনে আরা বেগম।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা এলজিআরডি অফিস আমার কাছে তালিকা চাইলে আমি ১৭ জনের তালিকা দেই ১০ জন নিয়োগ পায়। বাকী ৭ জন নিয়োগ না পাওয়া ক্ষোভে এ মিথ্যা আভিযোগ করে। এলাকায় তার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ কাজ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

রামগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল হাসান বলেন টাকা লেনদেনের বিষয়ে আমাদের অফিসের কেউ জড়িত নয়। স্থানীয় ইছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আসছে। আমি এ বিষয়ে উপ-সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম কে দিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওযা হবে।