ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০ ২৮৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মো. সেলিম, নোয়াখালী:

জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক
অস্থায়ী অফিস: হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালী। মোবাইল: ০১৭৪৬১২২১০৩, ০১৮১৮২৩৩১৩৭, ০১৭৩০৩৪৬৪৬৮

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

তাং ৭ জুন ২০২০

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও দোষীদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক,নোয়াখালী।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এর প্রেক্ষিতে জানা যায়, নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় একজন গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গৃহবধূর বাড়ী পাশ্ববর্তী সুবর্ণচর উপজেলায়। এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে, মামলা নং ৫/৪/৬/২০২০।

গত শনিবার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,৩জুন বুধবার বিকালে পাশর্^বর্তী সুবর্ণচর উপজেলা থেকে কবিরহাট উপজেলায় এক আত্নীয়ের বাড়ীতে জমি কিনতে আসেন গৃহবধূ(২০)ও তার স্বামী(২৬)। কাজ শেষ না হওয়ায় ঐ আত্নীয়ের বাড়ীতে অবস্থান করেন তারা। রাত ৯.৩০ মিঃ এর সময় স্থানীয় সমাজ কমিটির সভাপতি আঃ ছাত্তার ও সাধারন সম্পাদক আবুল কালামের নেতৃত্বে ৬-৭ জন ব্যক্তি গৃহবধূর আত্নীয়ের বাড়ীতে আসেন। এ সময় তারা ঘরে ঢুকে ঐ দম্পতির মধ্যে সম্পর্ক অবৈধ বলে তাদের বিয়ের কাগজ দেখতে চান। কিছু বুঝে উঠার আগেই গৃহবধূ ও তার স্বামীকে আটক করে বাড়ীর পাশের একটি জায়গায় নিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যান সমাজপতিরা। রাত যখন গভীর তখন দম্পতিকে ছেড়ে দিতে তাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করেন আঃ ছাত্তার ও আবুল কালাম। পড়ে ঐ গৃহবধূর স্বামী তার খালাতো ভাইকে মোবাইল ফোনে বিষযটি জানালে, তিনি পয়ত্রিশ হাজার টাকা মুক্তিপন হিসাবে ছাত্তারের হাতে দিয়ে আরও পঁচিশ হাজার টাকা পড়ে দিবেন মর্মে একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন। টাকা নিয়ে ছাত্তার গৃহবধূকে নিরাপত্তা দিবেন বলে তার মেয়ের বাড়ীতে নিয়ে যান এবং তার স্বামী ও খালাতো ভাইকে পিঠিয়ে জখম করেন। নির্যাতিত গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, ছাত্তার রাতে তার মেয়ের বাড়ী থেকে গৃহবধূকে তার স্বামীর কাছে পৌঁছে দেয়ার নামে বাড়ী থেকে বের করে নিয়ে ফাঁকা রাস্তায় ৫-৬ জন লোকের হাতে ছেড়ে দেন। এ সময় গৃহবধূ তাদের কাছ থেকে বাঁচতে ছাত্তারকে বাবা ডেকেও রক্ষা পাননি। পরে তারা রাস্তার পাশের্^ একটি কলাবাগানে নিয়ে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যান।

গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ‘যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক’ নোয়াখালী এর আহবায়ক মোঃ আবুল কাসেম, যুগ্ম-আহবায়ক এ বি এম আবদুল আলীম সহ সকল নেটওয়ার্ক সদস্যবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসাথে নেটওয়ার্ক প্রতিনিধিবৃন্দ ঘটনার সাথে জড়িত আপরাধীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

বার্তা প্রেরক-

আবুল কাসেম
আহবায়ক,
যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক, নোয়াখালী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০

মো. সেলিম, নোয়াখালী:

জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক
অস্থায়ী অফিস: হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালী। মোবাইল: ০১৭৪৬১২২১০৩, ০১৮১৮২৩৩১৩৭, ০১৭৩০৩৪৬৪৬৮

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

তাং ৭ জুন ২০২০

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও দোষীদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক,নোয়াখালী।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এর প্রেক্ষিতে জানা যায়, নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় একজন গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গৃহবধূর বাড়ী পাশ্ববর্তী সুবর্ণচর উপজেলায়। এ ঘটনায় কবিরহাট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে, মামলা নং ৫/৪/৬/২০২০।

গত শনিবার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,৩জুন বুধবার বিকালে পাশর্^বর্তী সুবর্ণচর উপজেলা থেকে কবিরহাট উপজেলায় এক আত্নীয়ের বাড়ীতে জমি কিনতে আসেন গৃহবধূ(২০)ও তার স্বামী(২৬)। কাজ শেষ না হওয়ায় ঐ আত্নীয়ের বাড়ীতে অবস্থান করেন তারা। রাত ৯.৩০ মিঃ এর সময় স্থানীয় সমাজ কমিটির সভাপতি আঃ ছাত্তার ও সাধারন সম্পাদক আবুল কালামের নেতৃত্বে ৬-৭ জন ব্যক্তি গৃহবধূর আত্নীয়ের বাড়ীতে আসেন। এ সময় তারা ঘরে ঢুকে ঐ দম্পতির মধ্যে সম্পর্ক অবৈধ বলে তাদের বিয়ের কাগজ দেখতে চান। কিছু বুঝে উঠার আগেই গৃহবধূ ও তার স্বামীকে আটক করে বাড়ীর পাশের একটি জায়গায় নিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যান সমাজপতিরা। রাত যখন গভীর তখন দম্পতিকে ছেড়ে দিতে তাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করেন আঃ ছাত্তার ও আবুল কালাম। পড়ে ঐ গৃহবধূর স্বামী তার খালাতো ভাইকে মোবাইল ফোনে বিষযটি জানালে, তিনি পয়ত্রিশ হাজার টাকা মুক্তিপন হিসাবে ছাত্তারের হাতে দিয়ে আরও পঁচিশ হাজার টাকা পড়ে দিবেন মর্মে একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন। টাকা নিয়ে ছাত্তার গৃহবধূকে নিরাপত্তা দিবেন বলে তার মেয়ের বাড়ীতে নিয়ে যান এবং তার স্বামী ও খালাতো ভাইকে পিঠিয়ে জখম করেন। নির্যাতিত গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, ছাত্তার রাতে তার মেয়ের বাড়ী থেকে গৃহবধূকে তার স্বামীর কাছে পৌঁছে দেয়ার নামে বাড়ী থেকে বের করে নিয়ে ফাঁকা রাস্তায় ৫-৬ জন লোকের হাতে ছেড়ে দেন। এ সময় গৃহবধূ তাদের কাছ থেকে বাঁচতে ছাত্তারকে বাবা ডেকেও রক্ষা পাননি। পরে তারা রাস্তার পাশের্^ একটি কলাবাগানে নিয়ে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যান।

গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ‘যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক’ নোয়াখালী এর আহবায়ক মোঃ আবুল কাসেম, যুগ্ম-আহবায়ক এ বি এম আবদুল আলীম সহ সকল নেটওয়ার্ক সদস্যবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসাথে নেটওয়ার্ক প্রতিনিধিবৃন্দ ঘটনার সাথে জড়িত আপরাধীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

বার্তা প্রেরক-

আবুল কাসেম
আহবায়ক,
যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক, নোয়াখালী।