নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভার ছয়ানিটগবা গ্রামের মৃত শামসুন নাহার (৬২) নামের ওই গৃহবধূ করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য বিভাগকে না জানিয়ে লাশ দাফন করা ওই গৃহবধূর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এনিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪২জন।
শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও করোনা ফোকাল পার্সন ডা. তামজিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ওই গৃহবধূ ব্রেষ্ট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। গত ১১জুন উনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হয়। এরইমধ্যে গত ১৩জুুন সকালে নিজ বাড়ীতে মারা যান ওই নারী। কিন্তু মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের না জানিয়ে মৃতের লাশ দাফন করে তার পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার রাতে আসা রিপোর্টের ফলাফলে ওই গৃহবধূর করোনা পজিটিভ আসে। মৃত নারীর সংস্পর্শে আসা কারো করোনা উপসর্গ থাকলে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। উপজেলায় মোট করোনায় ২জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে জেলায় করোনায় মোট ৪২জনের মৃত্যু হলেও সিভিল সার্জন অফিস থেকে ১৯জুন পর্যন্ত দেখানো হচ্ছে ৩৯জন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, কোভিড, জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা ভিত্তিক তথ্যের সাথে সিভিল সার্জন অফিসের কিছু তথ্য সমন্বয়হীনতা রয়েছে। এবিষয়ে সবার সাথে বৈঠক করা হয়েছে, দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা হবে।
জেলায় করোনায় যাদের মৃত্যু হয়েছেঃ জেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪২জনের। তারা হচ্ছেন, সোনাইমুড়ীতে মোরশেদ আলম (৪৫) নামে এক ইতালি প্রবাসী, সেনবাগে এক রাজমেস্ত্রী মো. আক্কাস (৪৮), বেগমগঞ্জে তারেক হোসেন (৩০) ও আমিনুল ইসলাম মিন্টু (৪৭) নামের দুই ব্যবসায়ী, সোনাইমুড়ীতে ফখরুল ইসলাম বাচ্চু (৫৯) নামের এক কৃষক, বেগমগঞ্জের কুতুবপুরে শহিদুর রহমান (৬৬), চৌমুহনী পৌরসভা করিমপুরের বেলাল উদ্দিন (৫৭), চৌমুহনী পৌরসভার পশ্চিম গণিপুর হাজী আবুল খায়ের পাটোয়ারী (৭৪), নরোত্তমপুরে জতন লাল সাহা (৬৫), সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটার মাঈন উদ্দিন মানিক (৬৫), নোয়াখালী পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড জয়কৃষ্ণপুরের আব্দুর রাজ্জাক ফারুক (৫৫), সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে আব্দুল মান্নান মনু (৬১), বেগমগঞ্জের একলাশপুরের সাখায়েত উল্যাহ (৮০), সেনবাগের কাবিলপুর ইউনিয়নের মহিদীপুর গ্রামের আহসান উল্যাহ (৫৩), কাবিলপুর ইউনিয়নের উত্তর সাহপুর মসজিদের মুয়াজ্জেন মোজাম্মেল হোসেন (৪৪), চৌমুহনী পৌরসভার কাজী মো. সোলায়মান (৬৪), বেগমগঞ্জ একলাশপুরের নূরুল হক (৬২), দূর্গাপুরের নবীর হোসেন (৬৫), শরীফপুর ইউনিয়নের মধ্য খানপুর গ্রামের মো হানিফ (৬০), বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের নূর মোহাম্মদ (৫২), চৌমুহনী পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার বিপ্লব রায় (৬৫) ও আলাইয়পুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মাহমুদুল হাসান (৩০) একই এলাকার আবুল কালাম আজাদ (৬৫), সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ঠক্কর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম আবু (৫৭), চাটখিল পৌরসভার ছয়ানী টগবা এলাকার বুলবুলের নাহার (৫৫), জেলা শহরের সুলতান কলোনীর বাসিন্দা প্রদীপ দাস (৫৮), বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুরের গোলাম হায়দার (৭৫), মিরওয়ারিশপুরের বিবি ফাতেমা (৩৭), উত্তর সাহপুর গ্রামের আবু তাহের (৭৫), বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের মফিজ উল্যাহ (৬৫), সেনবাগের অর্জুনতলা ইউনিয়নের ঈদিলপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম মানিক (৩৫), জেলার শহরের হরিনারায়ণপুরের গৃহবধূ তাসফিয়া বেগম (৪৫), চৌমুহনী চৌরাস্তা আপন নিবাসের বাসিন্দা আবুল কাশেম (৬৫), কবিরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন (৪০), চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর এলাকার তমাল দাস (৪০), জেলা শহর মাইজদীর নাজমুন নাহার (৪১), সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের আটাশপুর গ্রামের নূরুল আমিন (৬৭), বসুরহাট পৌরসভার আজিজুল হক (৮০), সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নবগ্রামের রুহুল আমিন (৬৫), সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের জবিউল হক মোল্লা (৭২), সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ২নং ওয়ার্ডের খোকন চন্দ্র দাস (৬৩) ও চাটখিল পৌরসভার ছয়ানি টগবা গ্রামের সামছুন নাহার (৬২)।