নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আমেনা বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত আরও ৭জন আহত হয়। ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বুধবার বিকাল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ওই নারীর মৃত্যু হয়। নিহত আমেনা বেগম চরজব্বার ইউনিয়নের চর হাছান গ্রামের ভূঁইয়ারহাট এলাকার তছিরের বাড়ীর শাহ আলমের স্ত্রী। আহতরা হচ্ছেন, সুজন, আলমগীর, শামীম, শিপন, কামাল, আজাদ ও লাকী বেগম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে ধানের চারার বীজতলা তৈরি করে সেকান্তর বাড়ীর কবিরের স্ত্রী হালিমা বেগম। বুধবার সকালে তাদের পাশ্ববর্তী বাড়ীর আমেনা বেগমের কয়েকটি হাঁস ওই বীজ তলায় ডুকে চারা নষ্ট করে। এসময় হালিমা বেগম কয়েকটি হাঁস আটক করে বাড়ীতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমেনার ছেলে রহিম হাঁস গুলো ছাড়াতে গিয়ে হালিমা বেগমের সাথে বাকবির্তকে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে রহিম বীজতলার মালিক হালিমাকে মারধর করে চলে আসে। ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হালিমার ছেলে আলমগীর পাল্টা হাঁসের মালিক আমেনাকে মারধর ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। লাঠির আঘাতে আমেনা অচেতন হয়ে গেলে পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
অপরদিকে, দুপুর ২টার দিকে নিহত আমেনার ছেলে রহিম লোকজন নিয়ে পুনঃরায় হালিমার বাড়ীতে হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে হালিমার ভাগ্নে সুজন (২৩) কে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।