ঢাকা ০৭:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

গ্লোব বায়োটেক এর তৈরি করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের উদ্যোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০ ১২৩৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক রিপোর্ট::

 

বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের (টিকা) ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে সেটাকে বিরাট অগ্রগতি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভ্যাকসিনটি দ্বিতীয় ধাপে এনিমেল মডেলে ট্রায়াল করা হবে। এজন্য ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপরই এই ভ্যাকসিন মানব শরীরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাবে। ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর ভ্যাকসিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাওয়ার জন্য সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। সরকারের অনুমতি পেলেই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হবে।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিনের সফলতা পেয়েছি। এনিমেল মডেলে আমাদের ভ্যাকসিন সফল হয়েছে। এখন আমরা আশা করছি মানবদেহেও এটা সফল হবে। এখন আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যাব। তাদের দেয়া গাইডলাইন অনুযায়ী আমাদের ভ্যাকসিনের পরবর্তী ধাপগুলো সম্পন্ন করব।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ। তিনি বলেন, আমাদের কোম্পানির আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য আমরা সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।

গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড’ ২০১৫ সালে ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস, রক্তস্বল্পতা, উচ্চরক্তচাপ, অটোইমিউন ডিজিজসহ অন্যান্য দুরারোগ্য রোগ নিরাময়ের জন্য বায়োলজিক্স, নোভেল ড্রাগ এবং বায়োসিমিলার উৎপাদনের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক গবেষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকটি দুরারোগ্য ব্যাধির বায়োসিমিলার উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে, যা বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) কঠিন নিয়ম-কানুনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদনের পথে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

গ্লোব বায়োটেক এর তৈরি করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের উদ্যোগ

আপডেট সময় : ০৬:২৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০

ডেস্ক রিপোর্ট::

 

বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের (টিকা) ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে সেটাকে বিরাট অগ্রগতি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভ্যাকসিনটি দ্বিতীয় ধাপে এনিমেল মডেলে ট্রায়াল করা হবে। এজন্য ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপরই এই ভ্যাকসিন মানব শরীরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাবে। ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর ভ্যাকসিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাওয়ার জন্য সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। সরকারের অনুমতি পেলেই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হবে।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে ভ্যাকসিনের সফলতা পেয়েছি। এনিমেল মডেলে আমাদের ভ্যাকসিন সফল হয়েছে। এখন আমরা আশা করছি মানবদেহেও এটা সফল হবে। এখন আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যাব। তাদের দেয়া গাইডলাইন অনুযায়ী আমাদের ভ্যাকসিনের পরবর্তী ধাপগুলো সম্পন্ন করব।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ। তিনি বলেন, আমাদের কোম্পানির আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য আমরা সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।

গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড’ ২০১৫ সালে ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস, রক্তস্বল্পতা, উচ্চরক্তচাপ, অটোইমিউন ডিজিজসহ অন্যান্য দুরারোগ্য রোগ নিরাময়ের জন্য বায়োলজিক্স, নোভেল ড্রাগ এবং বায়োসিমিলার উৎপাদনের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক গবেষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েকটি দুরারোগ্য ব্যাধির বায়োসিমিলার উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে, যা বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) কঠিন নিয়ম-কানুনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদনের পথে।