নোয়াখালী প্রতিনিধি::
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামে রাতের আঁধারে ঘরে ঢুকে কলেজ ছাত্রীকে (১৯), ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মেয়েটির বড়বোন অভিযুক্ত জোবায়েরসহ ০৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন, মামলা নং ৭, ৫ জুলাই ২০২০। গত বৃহস্পতিবার ( ২ জুলাই) গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে।
নেটওয়ার্ক নেতৃবৃন্দ জানান, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের তথ্যানুসারে এবছরের গত ছয় মাসে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৫৪ টি, যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৪৬ টি, যৌতুকের জন্য নির্যাতনে মামলা হয়েছে ৪৫ টি, নারী ও শিশু অপহরণের মামলা হয়েছে ৩৩ টি। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে যথাক্রমে ১১ টি করে। মাসে টি।
নেটওয়ার্ক নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাহিরে গেলে একই বাড়ির জোবায়ের রাতে কৌশলে ওই কলেজ ছাত্রীর শয়নকক্ষে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। এক পর্যায়ে রাত গভীর হলে ওই কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এসে জোবায়েরকে আটক করে। পরে সে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে তার সঙ্গীদের নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা করে। এতে ওই ছাত্রীর পরিবারের ৫ সদস্য আহত হয়। পরে আহতদের সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সোমবার সকালে ভূক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।
নোয়াখালীতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণসহ ক্রমবর্ধমান নারী ও শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক আবুল কাসেম ও যুগ্ন আহ্বায়ক এবিএম আবদুল আলীম সহ নেটওয়ার্ক নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে তীব্র প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে নেতৃবৃন্দ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
বার্তা প্রেরক
আবুল কাসেম
আহ্বায়ক
জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক, নোয়াখালী।