ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থ’ শুল্ক কমিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০ ৭৯৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক রিপিার্ট::

 

মিল মালিকরা চুক্তিমূল্যে সরবরাহ না করায় শুল্ক কমিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে আমদানি শুল্ক কমিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হবে।’

এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার হলেও মিল মালিকরা চুক্তিমূল্যে সরকারকে চাল সরবরাহ করছিলেন না। চালকল মালিকরা সরকারকে চাল না দিলে প্রয়োজনে আমদানি করা হবে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই হুঁশিয়ার করে আসছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।

চলতি বছর সাড়ে ১৯ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে সরকার। সে অনুযায়ী, ৩৬ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজিতে আট লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনার কথা ছিল।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কিছু মিল মালিক ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করতে গরিমসি করে সরকারের কাছে চালের দাম বাড়ানোর দাবি তোলেন। অনেক মিল মালিক এখন চুক্তিমূল্যে চাল না দেওয়ায় মজুদের লক্ষ্য পূরণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে সরকার। এরপরই বিদেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থ’ শুল্ক কমিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০৫:২২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০

ডেস্ক রিপিার্ট::

 

মিল মালিকরা চুক্তিমূল্যে সরবরাহ না করায় শুল্ক কমিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে আমদানি শুল্ক কমিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হবে।’

এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার হলেও মিল মালিকরা চুক্তিমূল্যে সরকারকে চাল সরবরাহ করছিলেন না। চালকল মালিকরা সরকারকে চাল না দিলে প্রয়োজনে আমদানি করা হবে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই হুঁশিয়ার করে আসছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।

চলতি বছর সাড়ে ১৯ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে সরকার। সে অনুযায়ী, ৩৬ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজিতে আট লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কেনার কথা ছিল।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কিছু মিল মালিক ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করতে গরিমসি করে সরকারের কাছে চালের দাম বাড়ানোর দাবি তোলেন। অনেক মিল মালিক এখন চুক্তিমূল্যে চাল না দেওয়ায় মজুদের লক্ষ্য পূরণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে সরকার। এরপরই বিদেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।