ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

সেনবাগে গণধর্ষণ মামলার আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০ ১৫৬৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী আকরাম (২৫) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উত্তর মানিকপুর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত আকরাম উত্তর মানিকপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৬জুন শনিবার সকালে বাড়ীর সামনে থেকে (১৪) এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে তুলে পাশ্ববর্তী একটি কবরস্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করে আকরাম, ফারুক ও ফাহিমসহ কয়েকজন। ঘটনায় ১১জুন বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফাহিম ও ফারুককে গ্রেফতার করলেও মামলার প্রধান আসামী আকরাম পলাতক ছিল।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী আকরাম অর্জুনতলা ইউনিয়নের উত্তর মানিকপুর গ্রামে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশ উত্তর মানিকপুর এলাকায় পৌঁছলে কোন কিছু বুঝে উঠার আগে আকরাম ও তার সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুঁড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। প্রায় ১০-১৫মিনিট ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধে টিকতে না পেরে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
ওসি জানান, পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে আকরামকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, দুইটি কার্তুজ, একটি চাইনিজ কুড়াল ও ছয়টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। আসামীদের সাথে বন্দুক যুদ্ধে সেনবাগ থানার এক এএসআই ও দুই কনেস্টবল আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে ছিল। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সেনবাগে গণধর্ষণ মামলার আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত

আপডেট সময় : ০৯:৩১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী আকরাম (২৫) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উত্তর মানিকপুর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত আকরাম উত্তর মানিকপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৬জুন শনিবার সকালে বাড়ীর সামনে থেকে (১৪) এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে তুলে পাশ্ববর্তী একটি কবরস্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করে আকরাম, ফারুক ও ফাহিমসহ কয়েকজন। ঘটনায় ১১জুন বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফাহিম ও ফারুককে গ্রেফতার করলেও মামলার প্রধান আসামী আকরাম পলাতক ছিল।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী আকরাম অর্জুনতলা ইউনিয়নের উত্তর মানিকপুর গ্রামে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশ উত্তর মানিকপুর এলাকায় পৌঁছলে কোন কিছু বুঝে উঠার আগে আকরাম ও তার সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুঁড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। প্রায় ১০-১৫মিনিট ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধে টিকতে না পেরে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
ওসি জানান, পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে আকরামকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, দুইটি কার্তুজ, একটি চাইনিজ কুড়াল ও ছয়টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। আসামীদের সাথে বন্দুক যুদ্ধে সেনবাগ থানার এক এএসআই ও দুই কনেস্টবল আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে ছিল। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।