আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে পশুর পাঁচটি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। গতকাল এক সভায় ডিএসসিসি এলাকায় পাঁচটি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. রাসেল সাবরিন বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিএসসিসি এলাকায় এবার পাঁচটি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকিগুলোর দরপত্র অনুযায়ী ১৯ তারিখ শেষ সময়। এরপর বাকি হাটগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাকি হাটগুলো বসার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কম, তবে এ বিষয়ে পরে সভা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অনলাইন হাট চালু করেছে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এমন কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে রাসেল সাবরিন বলেন, অনলাইন হাট বিষয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমরাও পরে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তবে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ডিএসসিসি এলাকায় চূড়ান্ত হওয়া পাঁচটি হাটের মধ্যে রয়েছেÑকমলাপুর লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, আফতাবনগর ব্লক-ই, এফজি’র সেকশন ১ ও ২ নম্বর এলাকা, হাজারীবাগ লেদার টেকনোলজি কলেজ-সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘের মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা এবং পোস্তগোলা শ্মশানঘাট-সংলগ্ন খালি জায়গা।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ডিএসসিসি এলাকায় ১৪টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে তিনটি হাট ইজারা নিতে কেউ দরপত্র জমা দেয়নি। এছাড়া দুটিতে সরকারি দরের চেয়ে কম মূল্যে দরপত্র জমা পড়েছে, যে কারণে আবার দরপত্র আহ্বান করা হয়।
গত ২৯ জুন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে দরপত্রগুলো খোলেন ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন। সেখানে দেখা যায়, ১৪টি হাটের মধ্যে ধূপখোলা মাঠ-সংলগ্ন খালি জায়গায় নির্ধারিত অস্থায়ী পশুর হাট, শ্যামপুর বালুর মাঠ এবং দনিয়া কলেজ মাঠ-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গায় অস্থায়ী হাটের জন্য কোনো দরপত্র জমা পড়েনি।
ধূপখোলা মাঠ-সংলগ্ন খালি জায়গার অস্থায়ী হাটের জন্য সরকারি দর ছিল ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৩৪ টাকা, দনিয়া কলেজ মাঠ-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার জন্য সরকারি দর ছিল এক কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৬৭ টাকা এবং শ্যামপুর বালুর মাঠ-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার অস্থায়ী হাটের জন্য সরকারি দর ছিল এক কোটি দুই লাখ ১১ হাজার ৩৩৫ টাকা। কিন্তু এই তিনটি হাটের জন্য কোনো দরপত্র জমা পড়েনি।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির অস্থায়ী দুটি কোরবানির পশুর হাটে সরকারি দরের চেয়ে কম মূল্যে দরপত্র জমা পড়েছে। এই দুটি হচ্ছে মেরাদিয়া বাজার ও আরমানিটোলা মাঠ-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার অস্থায়ী পশুর হাট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেরাদিয়া বাজার-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার হাটের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৯০ লাখ তিন হাজার টাকা। তবে সরকারি দর ছিল এক কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা। অন্যদিকে আরমানিটোলা মাঠ-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার অস্থায়ী হাটের সর্বোচ্চ দর উঠেছে এক কোটি ১৫ লাখ টাকা, যার সরকারি দর ছিল এক কোটি ৬৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৪ টাকা।