নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে, গত ২১ এপ্রিল সকালে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘষের ঘটনায় অভিযুক্ত জনী ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে আওয়ামী লীগ নেতা গুলি বৃদ্ধ বাহার উদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
ওয়ার্ড় আওয়ামী লীগ নেতা বাহার উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জনি ও তার গ্রুগের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।
সংবাদ সম্মেলনে গুলিবিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা বাহার উদ্দিন জানান, গত ২১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি দোকান থেকে নাস্তা শেষ করে বাড়ি যাওয়ার পথে দেখে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা জনি সহ তার গ্রুগের সদস্যরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটো ছেলেকে দৌড়াচ্ছে, ছেলে দুটো ভয়ে আমার বাড়িতে ডুকে, এসময় জনী একটি পিস্তল হাতে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে চালাতে আমার বাড়িতে ঢুকার চেষ্টা করলে আমি ছোট ছেলে মেয়ে এবং পরিবারের লোকদের গায়ে গুলি লাগবে বলে বাঁধা দেয়,সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গুলি মারে, এ সময় আমার স্ত্রী ধাক্কা মারে জনিকে,তাই গুলিটি আমার পায়ে লাগে এবং আমি প্রাণে বেঁচে গেলাম। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
তিনি আরো বলেন,আমি দুই বারের নির্বাচিত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমার মত ব্যাক্তি দলীয় ছেলেদের কাছে নিরাপদে থাকতে পারেনা এতে সাধারণ জনগনের কি অবস্থা সেটা বলে বুঝাতে পারবেনা । এঘটনায় অমি কবিরহাট থানায় মামলা করে ও আজ পর্যন্ত কোন ফল পাইনি ।
তিনি বলেন, রহস্য জনক কারনে এখন পর্যন্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করছে না কবির হাট থানা পুলিশ।
জনী ও তার দল প্রতিদিন অস্ত্রনিয়ে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে মহড়া দেয় এবং বিভিন্নভাবে আমাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়,এ অবস্থ্যায় আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
গুলিবৃদ্ধ বাহার উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অভিযুক্ত জনি সহ তার সকল সহযোগিকে গ্রেফতার করে তাদের কাছে থাকা বেআইনী অস্ত্র উদ্ধার করে কঠিন শাস্তি দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।