সংবাদ শিরোনাম ::
চাটখিলে পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০৩:৫১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০ ১৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় পাওনা ১৮০টাকা আদায় করতে গিয়ে ঘরে একা পেয়ে এক তরুণীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার সকালে আসামীদের কারাগারে ও ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ও ২২ধারা জবানবন্দির জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, ধর্ষক নাঈম হোসেন (২২) ও তার সহযোগী ইউসুফ সুদানি (২৩)।
পুলিশ জানায়, পাশ^বর্তী জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ওই তরুণীর বাবা চাটখিল পৌরসভার ভীমপুর মহল্লায় ভাড়া বাসায় থাকেন। মধ্য ভীমপুর এলাকায় নাঈমদের দোকান থেকে ওই তরুণীর বাবা ১৮০টাকা বাকীতে সদাই আনেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ১৮০টাকা নেওয়ার জন্য আব্দুল মান্নানের ছেলে নাঈম তরুনীর বাসায় যায়।
নাঈম ঘরে ঢুকে তার বাবা মার কথা জিজ্ঞাসা করে দোকান বাকী টাকা চায়। এসময় তার বাবা মা বাড়িতে নেই বললে নাঈম তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। আশপাশের লোকজন ঘটনাটি দেখে নাঈমকেকে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে ধর্ষক নাঈমের বন্ধু একই এলাকার রফিক মোল্লার ছেলে ইউসুফ সুদানি (২৩) তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
শনিবার সন্ধ্যায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে নাঈম হোসেন ও ইউসুফ সুদানিকে আসামী করে চাটখিল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাঈম ও ইউসুফ সুদানিকে গ্রেফতার করে।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দোকানের বাকী টাকা আনতে গিয়ে ঘরে একা পেয়ে তরুণীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে নাঈম। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকালে ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও ২২ ধারা জবানবন্দির জন্য জেলা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।