ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

স্বাস্থ্য সুরক্ষা যাচাইয়ে ৩৩৪ কারখানায় বিজিএমইএ অডিট টিম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০ ৩২৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনকে বার্তা ডেস্ক:

মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চালুকৃত তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা যাচাই করতে ৩৩৪টি কারখানা পরিদর্শন করেছে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ছয়টি পরিদর্শক দল।

যাচাইকালে ১৩টি কারখানা ছাড়া বাকিগুলোতে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিস্থিতি সন্তোষজনক পেয়েছে এই মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে পরিদর্শক টিম। বিজিএমএই সূত্রে বিষয়টি জানিয়েছে।

বিজিএমইএ জানায়, গতকাল ৫ মে পর‌্যন্ত পরিদর্শক টিমগুলো ৩৩৪ কারখানা পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ৩২১ কারখানায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিস্থিতি সন্তোষজনক পাওয়া গেছে। তবে ১৩টি কারখানার পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিল না। যে কারণে পরিবেশ দ্রুত উন্নতি করার তাগিদ দিয়েছে অডিট টিমগুলো।

অন্যথায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দিবে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ। গত ২৮ এপ্রিল থেকে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিজিএমইএর পরিচালকদের নেতৃত্বে ছয়টি অডিট টিম পরিদর্শন শুরু করে। অডিট টিমগুলো আকস্মিকভাবে কারখানা পরিদর্শন করছে। চারটি জোনে ভাগ করে চলছে পরিদর্শন কাজ।

জোনগুলো হলো- ঢাকা মেট্রোপলিটন, সাভার ও আশুলিয়া, গাজীপুর এবং নারায়নগঞ্জ ও নরসিংদী। এছাড়া শিল্প-কারখানায় করোনা রোগী চিহ্নিত হলে বিজিএমইএ-কে অবহিতকরণের পাশাপাশি বিজিএমইএ হেলথ সেন্টারে কর্মরত ডাক্তারদের সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক সহায়তায় নিয়োজিত রয়েছেন আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এসব চিকিৎসকের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করেও প্রয়োজনীয় সহায়তা নেওয়া যাবে বলে জানা গেছে।

করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পোশাক কারখানায় সীমিত জনবল দিয়ে কাজ শুরু হয়। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার স্বার্থে দুই শিফটে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ক্রেতাদের রপ্তানি আদেশের পণ্য পৌঁছানোর চাপ আছে এরূপ কারখানা খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ।

এ বিষয়ে বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছি যাতে তারা স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করেন। জীবন-জীবিকার সন্ধানে আমাদের নামতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনীতির চাকা আবারও সচল করতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধি যেমন ফ্যাক্টরিতে ঢোকার সময় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, ব্লিচিং মিশ্রিত পানিতে জুতা ভিজিয়ে প্রবেশ করা, থার্মাল স্ক্যান দিয়ে তাপমাত্রা চেক করা, মাস্ক ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কর্ম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে সকল মালিকদের।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

স্বাস্থ্য সুরক্ষা যাচাইয়ে ৩৩৪ কারখানায় বিজিএমইএ অডিট টিম

আপডেট সময় : ০৮:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০

এনকে বার্তা ডেস্ক:

মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চালুকৃত তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা যাচাই করতে ৩৩৪টি কারখানা পরিদর্শন করেছে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ছয়টি পরিদর্শক দল।

যাচাইকালে ১৩টি কারখানা ছাড়া বাকিগুলোতে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিস্থিতি সন্তোষজনক পেয়েছে এই মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে পরিদর্শক টিম। বিজিএমএই সূত্রে বিষয়টি জানিয়েছে।

বিজিএমইএ জানায়, গতকাল ৫ মে পর‌্যন্ত পরিদর্শক টিমগুলো ৩৩৪ কারখানা পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ৩২১ কারখানায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিস্থিতি সন্তোষজনক পাওয়া গেছে। তবে ১৩টি কারখানার পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিল না। যে কারণে পরিবেশ দ্রুত উন্নতি করার তাগিদ দিয়েছে অডিট টিমগুলো।

অন্যথায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দিবে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ। গত ২৮ এপ্রিল থেকে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিজিএমইএর পরিচালকদের নেতৃত্বে ছয়টি অডিট টিম পরিদর্শন শুরু করে। অডিট টিমগুলো আকস্মিকভাবে কারখানা পরিদর্শন করছে। চারটি জোনে ভাগ করে চলছে পরিদর্শন কাজ।

জোনগুলো হলো- ঢাকা মেট্রোপলিটন, সাভার ও আশুলিয়া, গাজীপুর এবং নারায়নগঞ্জ ও নরসিংদী। এছাড়া শিল্প-কারখানায় করোনা রোগী চিহ্নিত হলে বিজিএমইএ-কে অবহিতকরণের পাশাপাশি বিজিএমইএ হেলথ সেন্টারে কর্মরত ডাক্তারদের সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক সহায়তায় নিয়োজিত রয়েছেন আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এসব চিকিৎসকের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করেও প্রয়োজনীয় সহায়তা নেওয়া যাবে বলে জানা গেছে।

করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পোশাক কারখানায় সীমিত জনবল দিয়ে কাজ শুরু হয়। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার স্বার্থে দুই শিফটে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ক্রেতাদের রপ্তানি আদেশের পণ্য পৌঁছানোর চাপ আছে এরূপ কারখানা খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ।

এ বিষয়ে বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছি যাতে তারা স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করেন। জীবন-জীবিকার সন্ধানে আমাদের নামতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনীতির চাকা আবারও সচল করতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধি যেমন ফ্যাক্টরিতে ঢোকার সময় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, ব্লিচিং মিশ্রিত পানিতে জুতা ভিজিয়ে প্রবেশ করা, থার্মাল স্ক্যান দিয়ে তাপমাত্রা চেক করা, মাস্ক ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কর্ম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে সকল মালিকদের।’