ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

সেনবাগে বন্ধুর স্ত্রীকে গণধর্ষণ, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৫

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১০৬৯৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে স্বামীর বন্ধুসহ চারজন মিলে এক গৃহবধূকে (৩২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিদ্দিক উল্যাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে এবং ওই গৃহবধূর জবানবন্ধী রেকর্ড শেষে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ছিদ্দিক উল্যা এবং ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত দিদার, গফুর, সেলিম ও আলমগীর হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭-৮দিন আগে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ওই গৃহবধূর সাথে তার স্বামীর ঝগড়া হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে রেগে গিয়ে নিজের বাবার বাড়ী জেলার কোম্পানীগঞ্জে চলে যান তিনি। পরবর্তীতে ঝগড়ার বিষয়টি নিজের স্বামীর বন্ধু দিদারকে মুঠোফোনে জানায় ওই নারী। সবকিছু শুনে গত ৫ সেপ্টেম্বর দিদার ফেনী পার্কে তার সাথে দেখা করতে বললে ওইদিন সকালে ফেনীতে যায় গৃহবধূ। সারাদিন বিভিন্নস্থানে ঘুরে রাতে স্বামীর বাড়ী সেনবাগে পৌঁছে দিবে বলে গৃহবধূকে নিয়ে ফেনী থেকে সেনবাগের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দিদার। রাত ১০টার দিকে কৌশলে সেনবাগের বীজবাগ ইউনিয়নের কাজীরখিল এলাকার সড়কের পাশের একটি নির্জন স্থানে ওই নারীকে নিয়ে গিয়ে দিদারসহ চারজন মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
গৃহবধূর অভিযোগ, পরদিন সকালে এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার ছিদ্দিক উল্যাহকে জানালে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে তাকে খারাপ মহিলা আখ্যা দিয়ে মারধর করে পুনঃরায় বাবার বাড়ী কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে পাঠিয়ে দেয় ছিদ্দিক উল্যাহ। ঘটনার কোন বিচার না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূ সেনবাগ থানায় হাজির হয়ে দিদারসহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার পর রাতেই বীজবাগের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলায় অভিযুক্ত ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সেনবাগে বন্ধুর স্ত্রীকে গণধর্ষণ, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৫

আপডেট সময় : ০৬:২৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে স্বামীর বন্ধুসহ চারজন মিলে এক গৃহবধূকে (৩২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিদ্দিক উল্যাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে এবং ওই গৃহবধূর জবানবন্ধী রেকর্ড শেষে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ছিদ্দিক উল্যা এবং ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত দিদার, গফুর, সেলিম ও আলমগীর হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭-৮দিন আগে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ওই গৃহবধূর সাথে তার স্বামীর ঝগড়া হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে রেগে গিয়ে নিজের বাবার বাড়ী জেলার কোম্পানীগঞ্জে চলে যান তিনি। পরবর্তীতে ঝগড়ার বিষয়টি নিজের স্বামীর বন্ধু দিদারকে মুঠোফোনে জানায় ওই নারী। সবকিছু শুনে গত ৫ সেপ্টেম্বর দিদার ফেনী পার্কে তার সাথে দেখা করতে বললে ওইদিন সকালে ফেনীতে যায় গৃহবধূ। সারাদিন বিভিন্নস্থানে ঘুরে রাতে স্বামীর বাড়ী সেনবাগে পৌঁছে দিবে বলে গৃহবধূকে নিয়ে ফেনী থেকে সেনবাগের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দিদার। রাত ১০টার দিকে কৌশলে সেনবাগের বীজবাগ ইউনিয়নের কাজীরখিল এলাকার সড়কের পাশের একটি নির্জন স্থানে ওই নারীকে নিয়ে গিয়ে দিদারসহ চারজন মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
গৃহবধূর অভিযোগ, পরদিন সকালে এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার ছিদ্দিক উল্যাহকে জানালে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে তাকে খারাপ মহিলা আখ্যা দিয়ে মারধর করে পুনঃরায় বাবার বাড়ী কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে পাঠিয়ে দেয় ছিদ্দিক উল্যাহ। ঘটনার কোন বিচার না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূ সেনবাগ থানায় হাজির হয়ে দিদারসহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার পর রাতেই বীজবাগের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলায় অভিযুক্ত ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।