নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বদলকোর্ট ইউনিয়নে নির্মানাধীন একটি ভবনের ছাদে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ঠ হয়ে সাকিনুর রহমান সামির (১০) এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ভবন মালিকের দাবী বিদ্যুতের ওই লাইনটি নিঁচু। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে লাইনটি সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করা হলেও তা করা হয়নি। এ ঘটনায় এলাকা বাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত সাকিনুর রহমান সামির রুদ্ররামপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী বেলাল হোসেনের ছেলে। সে চাঁদপুর রুদ্ররামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
জানা গেছে, রুদ্ররামপুর গ্রামের আবুল কাশেম একটি দ্বিতল ভবন নির্মান করেন। কিন্তু বিদ্যুতের নিঁচু লাইনের কারনে ছাদের উপর দিয়ে ১১হাজার ভোল্টেজের পল্লী বিদ্যুতের তার রয়েছে। শুক্রবার বিকালে সামির সহপাঠীদের সাথে নির্মানাধীন ওই ভবনের ছাদে খেলতে যায়। খেলার সময় অসাবধানতাবসত ছাদের উপর বিদ্যুতের তারের সাথে লেগে মাথা ও হাত পুড়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সন্ধ্যায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে রাতে ঢাকা নেওয়র পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত সামিরের চাচা জাহাঙ্গীর হোসেন সামিরের মৃত্যুর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।
ভবন মালিক আবুল কাশেম জানান, নির্মান কাজ শুরু থেকেই তার জমির ওপর থেকে বিদ্যুতের তার সরিয়ে নেওয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করেও কোন লাভ হয়নি।
পল্লী বিদ্যুতের চাটখিল অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডি.জি.এম) প্রকৌশলী কামাল হোসেন বলেন, বিদ্যুতের তার সরিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি কোন আবেদন পাননি। আবেদন করলে তিনি ১৫দিনের মধ্যে যথাযথ নিয়ম অনুসরন করে ভবনের ওপর থেকে তার সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতেন।