ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ৩০৬৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ সাখাওয়াত উল্যার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষখামতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় জামাতের ছাত্রী। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকাতমা গ্রামে গত সোমবার দুপুরে চা দোকানদার বাবার জন্য বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যাচ্ছিলো কন্যা শিশুটি। পথিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে স্থানীয় মোবারক দারোগার বাড়িতে আশ্রয় নেয় শিশুটি। বৃষ্টির কারণে পূর্ব থেকে ওই বাড়িতে অবস্থান করে ঘোষখামতা গ্রামের কালা মিয়া হাজী বাড়ির সাখাওয়াত উল্যা। ওই সময় সে শিশুটিকে একা পেয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে দারোগা বাড়ি সংলগ্ন চা দোকান থেকে লোকজন গিয়ে শিশুটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে।

পরে স্থানীয় একদল যুবক সাখাওয়াত উল্যাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পাশ্ববর্তী মির্জা নগর কাশেম চৌধুরী বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় আজম, সুমন, ইয়াসিনের নেতৃত্বে সাখাওয়াত উল্যার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। একদিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করবে এই মর্মে সে স্ট্যাম্পে মুচলেকা নামায় স্বাক্ষর করে। এর পর দিন সাখাওয়াত স্থানীয় লোকদের ম্যানেজ করে টাকা না দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী শিশুর পিতা জানান, ঘটনার সত্যতা পেয়ে গ্রামের কয়েক জন ব্যাক্তি সাখাওয়াত উল্লাকে এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। যার কোন কিছুই আমাদেরকে জানানো হয়নি। এ ঘটনার পর থেকে লম্পট সাখাওয়াত পালিয়ে রয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনা চলাকালে আমি চেয়ারম্যানের নেতেৃত্ব পরিষদে বৈঠকে ছিলাম। এলাকাবাসী আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি ধর্ষণের চেষ্টাকারী কে পাশ্ববর্তী ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান, এধরনের অভিযোগ নিয়ে কেউ এখন পর্যন্ত থানায় আসেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ সাখাওয়াত উল্যার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষখামতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় জামাতের ছাত্রী। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকাতমা গ্রামে গত সোমবার দুপুরে চা দোকানদার বাবার জন্য বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যাচ্ছিলো কন্যা শিশুটি। পথিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে স্থানীয় মোবারক দারোগার বাড়িতে আশ্রয় নেয় শিশুটি। বৃষ্টির কারণে পূর্ব থেকে ওই বাড়িতে অবস্থান করে ঘোষখামতা গ্রামের কালা মিয়া হাজী বাড়ির সাখাওয়াত উল্যা। ওই সময় সে শিশুটিকে একা পেয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে দারোগা বাড়ি সংলগ্ন চা দোকান থেকে লোকজন গিয়ে শিশুটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে।

পরে স্থানীয় একদল যুবক সাখাওয়াত উল্যাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পাশ্ববর্তী মির্জা নগর কাশেম চৌধুরী বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় আজম, সুমন, ইয়াসিনের নেতৃত্বে সাখাওয়াত উল্যার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। একদিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করবে এই মর্মে সে স্ট্যাম্পে মুচলেকা নামায় স্বাক্ষর করে। এর পর দিন সাখাওয়াত স্থানীয় লোকদের ম্যানেজ করে টাকা না দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী শিশুর পিতা জানান, ঘটনার সত্যতা পেয়ে গ্রামের কয়েক জন ব্যাক্তি সাখাওয়াত উল্লাকে এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। যার কোন কিছুই আমাদেরকে জানানো হয়নি। এ ঘটনার পর থেকে লম্পট সাখাওয়াত পালিয়ে রয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনা চলাকালে আমি চেয়ারম্যানের নেতেৃত্ব পরিষদে বৈঠকে ছিলাম। এলাকাবাসী আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি ধর্ষণের চেষ্টাকারী কে পাশ্ববর্তী ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান, এধরনের অভিযোগ নিয়ে কেউ এখন পর্যন্ত থানায় আসেনি।