ঢাকা ০৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

সিলেটে গণধর্ষণ নোয়াখালীতে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের বাধা, আহত-১৮, আটক-৮ 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ৭২৬৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
সিলেট এম.সি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটক রেখে স্ত্রীকে ও খাগড়াছড়িতে মানুষিক প্রতিবন্ধি আধিবাসী নারীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদ এবং ধর্ষনকারীদের শাস্তির দাবিতে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা ছাত্রদল। সমাবেশে পুলিশের বিরুদ্ধে হামলা ও লাঠি চার্জের অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। এতে ছাত্রদলের ১৮ নেতা কর্মী আহত ও ৮জনকে আটক করার দাবি করেছেন দলটি।  
সোমবার সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এরআগে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মাইজদী শহরের পৌর বাজারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আটককৃত ছাত্রদল নেতারা হচ্ছেন, পৌর ছাত্রদল আহবায়ক রাকিব বিল্লাহ তুষার, নোয়াখালী কলেজ শাখা ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সোহাগ, পৌর ছাত্রদল যুগ্ম আহবায়ক রনি সরোয়ার, থানা ছাত্রদল নেতা সুজন হাম্মাদী, পৌর ছাত্রদল নেতা আশ্রাফুল করিম পাবেল, মুশীদুর রহমান রায়হান, মিনার ও এমরান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশব্যাপি গণধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জেলা ছাত্র দলের উদ্যোগে পৌর বাজারের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনের  উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়। দুপুর ১২টার সময় একদল পুলিশ পৌর বাজার এলাকায় ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের ওপর বিনা উসকানীতে এলাপাতাড়ি লাঠি চার্জ করে। এতে করে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ছাত্রদল নেতা নুর হোসেন বাবু, আবুল কালাম, আমিরুল ইসলাম সুজন, সজিব রহমান, রাসেল, মোঃ ওয়াসিম, তারেক নূর, বোরহান উদ্দিন বিশাল, রায়হান রাসু, রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, আবদুল্যাহ আল মামুন, নুর আমিন মুন্না, মোঃ নাবিল, মোঃ কামাল, রাহাত, জিহান, রাজু, মোঃ রুবেল হোসেন, মোঃ ইমাম প্রমুখ। এসময় ছাত্রদলের আট নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বলেন, ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা জামাত শিবির কর্মীদের নিয়ে সরকার বিরোধী কর্মকান্ড করছিল। এছাড়া তারা সমাবেশের নামে  জড়ো হয়ে ভাঙচুর ও অস্থীতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা, সরকার বিরোধী উসকানী মূলক বক্তব্য দিয়েছিল এবং বিনা অনুমতিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে। যার কারনে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৮জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

সিলেটে গণধর্ষণ নোয়াখালীতে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের বাধা, আহত-১৮, আটক-৮ 

আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
সিলেট এম.সি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটক রেখে স্ত্রীকে ও খাগড়াছড়িতে মানুষিক প্রতিবন্ধি আধিবাসী নারীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদ এবং ধর্ষনকারীদের শাস্তির দাবিতে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা ছাত্রদল। সমাবেশে পুলিশের বিরুদ্ধে হামলা ও লাঠি চার্জের অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। এতে ছাত্রদলের ১৮ নেতা কর্মী আহত ও ৮জনকে আটক করার দাবি করেছেন দলটি।  
সোমবার সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এরআগে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মাইজদী শহরের পৌর বাজারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আটককৃত ছাত্রদল নেতারা হচ্ছেন, পৌর ছাত্রদল আহবায়ক রাকিব বিল্লাহ তুষার, নোয়াখালী কলেজ শাখা ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সোহাগ, পৌর ছাত্রদল যুগ্ম আহবায়ক রনি সরোয়ার, থানা ছাত্রদল নেতা সুজন হাম্মাদী, পৌর ছাত্রদল নেতা আশ্রাফুল করিম পাবেল, মুশীদুর রহমান রায়হান, মিনার ও এমরান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশব্যাপি গণধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জেলা ছাত্র দলের উদ্যোগে পৌর বাজারের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনের  উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়। দুপুর ১২টার সময় একদল পুলিশ পৌর বাজার এলাকায় ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের ওপর বিনা উসকানীতে এলাপাতাড়ি লাঠি চার্জ করে। এতে করে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ছাত্রদল নেতা নুর হোসেন বাবু, আবুল কালাম, আমিরুল ইসলাম সুজন, সজিব রহমান, রাসেল, মোঃ ওয়াসিম, তারেক নূর, বোরহান উদ্দিন বিশাল, রায়হান রাসু, রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, আবদুল্যাহ আল মামুন, নুর আমিন মুন্না, মোঃ নাবিল, মোঃ কামাল, রাহাত, জিহান, রাজু, মোঃ রুবেল হোসেন, মোঃ ইমাম প্রমুখ। এসময় ছাত্রদলের আট নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বলেন, ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা জামাত শিবির কর্মীদের নিয়ে সরকার বিরোধী কর্মকান্ড করছিল। এছাড়া তারা সমাবেশের নামে  জড়ো হয়ে ভাঙচুর ও অস্থীতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা, সরকার বিরোধী উসকানী মূলক বক্তব্য দিয়েছিল এবং বিনা অনুমতিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে। যার কারনে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৮জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।