নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলায় ১৩বছরের এক কিশোর ও হাতিয়ায় এক স্বাস্থ্যকর্মী (৫৫) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯জন। যারমধ্যে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৯জন, সদরে ২জন, সোনাইমুড়ীতে ৩জন, হাতিয়ায় ২জন, সেনবাগে ১জন ও কবিরহাটে ২জন। যাদের মধ্যে মারা গেছেন সোনাইমুড়ীতে এক ইতালি প্রবাসী ও সেনবাগে এক রাজমেস্ত্রী।
বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো মোমিনুর রহমান। তিনি বলেন গত ২৯এপ্রিল পাঠানো নমুনা রিপোর্টে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও বেগমগঞ্জে এক কিশোরের করোনা পজিটিভ এসেছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, গত ২৮এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে করোনা শনাক্ত হওয়া আলাইয়াপুরের হাজী বেলাল হোসেন প্রকাশ বেলাল ড্রাইভার (৬৫) আক্রান্ত এ কিশোরের বাবার অটোরিকশা উঠেছিল। যেহেতু কিশোরের পিতা বেলাল ড্রাইভারের সংস্পর্শে এসেছিল তাই গত ২৯এপ্রিল তার বাবা-মা’সহ তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওইদিন মোট ৬জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। যার মধ্যে কিশোরের করোনা পজিটিভ আসলেও তার বাবা-মা সহ বাকী পাঁচজনের নেগেটিভ এসেছে। লকডাউন করা হয়েছে তার বাড়ী। ওই কিশোরের কোন উপসর্গ না থাকায় তাকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ওই বাড়ীর ১০টি পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার তার সংস্পর্শে আসা সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
এদিকে হাতিয়া উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার রোগ নিয়ন্ত্রণ ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, গত ২৯এপ্রিল হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও তার মেয়ে ঢাকা ইডেন কলেজের ছাত্রীসহ তিন জনের নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম ভেটেনারি ইউনিভার্সিটি থেকে আসা রিপোর্টে দুইজনের নেগেটিভ আসলেও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের করোনা পজিটিভ এসেছে। তার বাড়ী হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নে। তিনি পরিবারের ৪সদস্য নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি কোয়ার্টারে থাকেন। নমুনা সংগ্রহের পর থেকে তার ইডেন পড়–য়া মেয়েসহ সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। বর্তমানে তাদের সবাইকে হাসপাতালের কোয়ার্টারে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আগে আক্রান্ত হওয়া হাসপাতালের কর্মী (আয়া) থেকে তিনি সংক্রমিত হতে পারেন বালে ধারণা করা হচ্ছে।