ঢাকা ০৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

সুধারামে গলাকাটা সেই যুবতীর পরিচয় মিলেছে, গ্রেপ্তার-২

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০ ৪৯৬২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের করমূল্যাপুর গ্রাম থেকে বস্তাবন্ধী অবস্থায় উদ্ধার হওয়া গলাকাটা ওই যুবতীর পরিচয় মিলেছে। ১৯বছর বয়সী ওই যুবতী চাঁদপুর সদর উপজেলার পুরান বাজার এলাকার শাহ আলমের মেয়ে শাহনাজ আক্তার। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তার কথিত প্রেমিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃতদের নোয়াখালী চিফজুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনীতা গুহ এর কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২৬) ও একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে রাসেল (২৪)।

নিহতের বাবা শাহ আলম বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে শাহনাজ তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। দিন পেরিয়ে রাত হলেও সে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তিনি চাঁদপুর সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন আরাফাতের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিএনজি অটোরিকশা চালক ইয়াছিন আরাফাতের সাথে শাহনাজ আক্তারের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে একাধিকবার মেয়েটি চাঁদপুর থেকে বেগমগঞ্জ এসে ইয়াছিনের সাথে দেখা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে শাহনাজ ইয়াছিনের সাথে দেখা করতে কেন্দুরবাগ আসে। তাদের মধ্যে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাকবির্তক হয়। একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাত তিনটার সময় আরাফাত কৌশলে শাহনাজকে কেন্দুরবাগ খন্দকার স-মিলের পিছনের নির্মাণাধীন একটি তিনতলা ভবনের ছাদে নিয়ে নিয়ে যায়।

এরপর তার বন্ধু রাসেলের সহযোগিতায় ব্লেড দিয়ে শাহনাজের গলা কেটে হত্যা শেষে লাশ বস্তাবন্ধী করে সিএনজি যোগে সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের সালেহপুর-রাজগঞ্জ-বেগমগঞ্জ পাকা সড়কের পাশে ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায়। বুধবার সকালে পুলিশ বস্তাবন্ধী অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে শাহনাজের লাশ উদ্ধার করে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বলেন, বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দুরবাগ এলাকা থেকে ইয়াছিন ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

সুধারামে গলাকাটা সেই যুবতীর পরিচয় মিলেছে, গ্রেপ্তার-২

আপডেট সময় : ১১:০১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের করমূল্যাপুর গ্রাম থেকে বস্তাবন্ধী অবস্থায় উদ্ধার হওয়া গলাকাটা ওই যুবতীর পরিচয় মিলেছে। ১৯বছর বয়সী ওই যুবতী চাঁদপুর সদর উপজেলার পুরান বাজার এলাকার শাহ আলমের মেয়ে শাহনাজ আক্তার। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তার কথিত প্রেমিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃতদের নোয়াখালী চিফজুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনীতা গুহ এর কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২৬) ও একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে রাসেল (২৪)।

নিহতের বাবা শাহ আলম বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে শাহনাজ তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। দিন পেরিয়ে রাত হলেও সে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তিনি চাঁদপুর সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন আরাফাতের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিএনজি অটোরিকশা চালক ইয়াছিন আরাফাতের সাথে শাহনাজ আক্তারের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে একাধিকবার মেয়েটি চাঁদপুর থেকে বেগমগঞ্জ এসে ইয়াছিনের সাথে দেখা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে শাহনাজ ইয়াছিনের সাথে দেখা করতে কেন্দুরবাগ আসে। তাদের মধ্যে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাকবির্তক হয়। একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাত তিনটার সময় আরাফাত কৌশলে শাহনাজকে কেন্দুরবাগ খন্দকার স-মিলের পিছনের নির্মাণাধীন একটি তিনতলা ভবনের ছাদে নিয়ে নিয়ে যায়।

এরপর তার বন্ধু রাসেলের সহযোগিতায় ব্লেড দিয়ে শাহনাজের গলা কেটে হত্যা শেষে লাশ বস্তাবন্ধী করে সিএনজি যোগে সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের সালেহপুর-রাজগঞ্জ-বেগমগঞ্জ পাকা সড়কের পাশে ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায়। বুধবার সকালে পুলিশ বস্তাবন্ধী অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে শাহনাজের লাশ উদ্ধার করে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বলেন, বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দুরবাগ এলাকা থেকে ইয়াছিন ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।