নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছারপুর ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিত ওই কিশোরী চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে বলে জানা গেছে। ঘটনায় চার যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। তবে পুলিশ বলছে ওই কিশোরী একজন ভাসমান প্রতিতা।
সোমবার দুপুরে ধর্ষিতা কিশোরীসহ ৫জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছেন, বসুরহাট-চট্টগ্রাম রুটের বসুরহাট এক্সপ্রেসের হেলপার উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মাজহারুল ইসলামের ছেলে ইমন (১৯), মুছাপুর ২নং ওয়ার্ডের রইসল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৯), রামপুর ৭নং ওয়ার্ডের বাঞ্চারাম এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে সিএনজি চালক জামাল উদ্দিন পিয়াস (২৩) ও একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মক্কানগর এলাকার মৃত মমিনুল হকের ছেলে নসিমন চালক মহি উদ্দিন (৩৫)।
ধর্ষিতা কিশোরী অভিযোগ করে বলেন, চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায় ইমন তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে রবিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বসুরহাট এক্সপ্রেস বাস যোগে কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট বাস স্টান্ডে নিয়ে আসে তাকে। সেখান থেকে ইমনের সহযোগি সিএনজি চালক জামাল উদ্দিন পিয়াস সিএনজি নিয়ে এসে তাকে ও ইমনকে মুছাপুরে সাইফুলের বাড়ীতে নিয়ে যায়। রাতে সাইফুলের বাড়ীর একটি টিনের ঘরে ইমন তাকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। তার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার এলাকার রামচন্দ্রপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাইফুলের বাড়ীর একটি ঘর থেকে রাতে এক নারীর ঘোঙরানির শব্দ পেয়ে ঘরে ভিতর গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় তাদেরকে আটক করে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক জানান, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ওই কিশোরী একজন ভাসমান প্রতিতা। প্রতিয়মান হওয়ায় ওই কিশোরী ও আটককৃত ৪ যুবককে ২৯০ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, রাতে এলাকায় সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাঘুরি করায় এলাকার লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।