নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলায় (৩১) একজন, (৫৫) একজন ও চাটখিলে (৪৯) এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২২জন। যারমধ্যে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় ১১জন, সদরে ২জন, সোনাইমুড়ীতে ৩জন, হাতিয়ায় ২জন, সেনবাগে ১জন, কবিরহাটে ২জন ও চাটখিলে ১জন। যার মধ্যে মারা গেছেন সোনাইমুড়ীতে এক ইতালি প্রবাসী ও সেনবাগে এক রাজমেস্ত্রী। সুস্থ হয়ে উঠেছেন সোনাইমুড়ীতে মৃত ইতালী প্রবাসীর স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা নতুন করে আরও ৩জন আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো মোমিনুর রহমান। তিনি বলেন গত ৩মে পাঠানো নমুনা রিপোর্টে বেগমগঞ্জে ২জন ও চাটখিলে একজনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, গত ৩মে তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। এরমধ্যে আলাইয়াপুর ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা (৩১) এর করোনা পজিটিভ এসেছে। তিনি চৌমুহনী পূর্ব বাজারে মোবাইল ব্যবসা করেন। অপরজন চৌমুহনী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড গণিপুর এলকার বাসিন্দা (৫৫) তারও করোনা পজিটিভ এসেছে। তিনি চৌমুহনী গোলাবাড়ীয়া একটি মাছের আড়ৎ এ কাজ করেন। অপরজনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আক্রান্ত দু’জনের শরীরের করোনা উপসর্গ রয়েছে। লকডাউন করা হয়েছে তাদের উভয়ের বাড়ী। তাদের নিজ বাড়ীতে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে তাদের পরিবার ও বাড়ীর লোকজন। তাদের সংস্পর্শে আসা সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক আহমেদ বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের দক্ষিন রামনারায়ণপুর গ্রামের সর্দার বাড়ির বাসিন্দা। তিনি গত ১মে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ীতে আসেন। এলাকায় এসে তিনি ধান কাটতে গেলে স্থানীয় লোকজন তাতে বাধা প্রদান করে এবং বিষয়টি আমাদের অবগত করে। খবর পেয়ে ৩মে স্বাস্থ্য কর্মী পাঠিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে বিআইটিআইডি চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। বর্তমানে স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্ববধানে তাকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। লকডাউন করা হয়েছে তার বাড়ী। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে তার পরিবারসহ ওই বাড়ীর সকল সদস্য। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা অন্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।